মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২০৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৪। হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, হুযুর, আপনি কিরূপে রোযা রাখেন (বলুন—যাহাতে আমি উহার অনুসরণ করিতে পারি? হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার উপর বড় রাগ করিলেন। হযরত ওমর যখন তাহার রাগ দেখিলেন বলিলেন, আল্লাহকে পরওয়ারদেগাররূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে এবং হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবীরূপে পাইয়া আমরা খুশী হইয়াছি। আমরা আল্লাহর নিকট পানা চাহি আল্লাহর ক্রোধ এবং তাহার রাসূলের ক্রোধ হইতে। হযরত ওমর এই বাক্যগুলি বরাবর বলিতে রহিলেন যাহাতে তাহার ক্রোধ থামিয়া গেল। অতঃপর হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তাহার কাজ কেমন, যে সারা বছর রোযা রাখে? হুযুর বলিলেন, সে রোযাও রাখে না এবং বে-রোযাও থাকে না; অথবা তিনি বলিলেন, সে রোযা রাখেও নাই এবং রোযা ছাড়েও নাই। পুনঃ হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করিলেন, হুযুর! তাহার কাজ কেমন, যে দুই দিন রোযা রাখে এবং এক দিন রোযা ছাড়ে? হুযুর বলিলেন, এইরূপ রাখিতে সক্ষম হয় কি কেহ। অতঃপর হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার কাজ কেমন, যে এক দিন রোযা রাখে আর এক দিন রোযা ছাড়ে? হুযুর বলিলেন, ইহা দাউদ নবীর রোযা। পুনরায় হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার কাজ কেমন, যে এক দিন রোযা রাখে এবং দুই দিন ছাড়ে? তিনি বলিলেন, আমি কামনা করি যে, আমাকে এইরূপ শক্তি দেওয়া হউক। অতঃপর রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন প্রত্যেক মাসের তিন দিন এবং এ রমযান হইতে ঐ রমযান—ইহা হইল পূর্ণ বছরের রোযা আর আরাফার দিনের রোযা - আমি আশা করি, আল্লাহর নিকট উহা মুছিয়া দিবে উহার পূর্বের বছরের ও পরের বছরের গোনাহ্ এবং আশুরার রোযা আমি আশা করি, আল্লাহর নিকট উহা মুছিয়া দিবে উহার পূর্বেকার বছরের গোনাহ্। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৫। হযরত আবু কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবারের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল। উত্তরে তিনি বলিলেন : সোমবারেই আমি দুনিয়াতে আসিয়াছি এবং সোমবারেই প্রথম আমার উপর কুরআন নাযিল করা হইয়াছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৬। হযরত মুআযা আদাভিয়া হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা বিবি আয়েশাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোযা রাখিতেন? আয়েশা বলিলেন, হ্যাঁ। মুআযা বলেন, অতঃপর আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, মাসের কোন তিন দিনে তিনি রোযা রাখিতেন? আয়েশা বলিলেন, হুযূর মাসের যে কোন দিনে রোযা রাখিতে দ্বিধাবোধ করিতেন না। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৭। হযরত আবু আইউব আনসারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে রমযানের রোযা রাখিয়াছে এবং পরে রাখিয়াছে। শাওয়ালের ছয় দিন, ইহা তাহার পূর্ণ বৎসরের রোযার সমান হইবে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৮। আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই দিনে রোযা রাখিতে নিষেধ করিয়াছেন— রোযার ঈদের দিনে ও কোরবানীর ঈদের দিনে।—মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪৯। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: দুই দিন কোন রোযা নাই—রোযার ঈদের দিন ও কোরবানীর ঈদের দিন। (ইহা হারাম।) — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫০

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫০। হযরত নুবাইশা হুয়ালী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আইয়ামে তাশরীক হইল পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫১

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: তোমাদের কেহ যেন শুধু জুমা বারে রোযা না রাখে, উহার পূর্বে অথবা পরে রোযা রাখা ব্যতীত। — মোত্তাঃ -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫২

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: রাত্রিসমূহের মধ্যে শুধু জুমার রাত্রিকে নামায পড়ার জন্য খাস করিও না এবং দিনসমূহের মধ্যেও কেবল জুমার দিনকেই রোযার জন্য খাস করিও না, যদি না উহা তোমাদের কাহারও রোযা রাখার তারিখে পড়ে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৩। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে আল্লাহর রাস্তায় (অথবা আল্লাহ্র ওয়াস্তে) একটি রোযা রাখিবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার চেহারাকে দোযখের আগুন হইতে সত্তর বছরের পথ দূরে রাখিবেন। (অর্থাৎ, বহু দূরে রাখিবেন।) — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন : আব্দুল্লাহ্, আমাকে কি সংবাদ দেওয়া হয় নাই যে, তুমি সারা দিন রোযা রাখ এবং সারা রাত্রি নামায পড়? আমি বলিলাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হুযূর বলিলেন : এইরূপ করিও না। রোযা রাখ আর বে-রোযাও কাটাইও। নামাযও পড় এবং ঘুম যাও! কেননা, তোমার উপর তোমার শরীরেরও হক রহিয়াছে, তোমার উপর তোমার চোখেরও হক রহিয়াছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক রহিয়াছে এবং তোমার উপর তোমার সাক্ষাৎকারীদেরও হক রহিয়াছে। সে রোযা রাখে নাই, যে রোযা রাখিয়াছে সারা বৎসর। প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযাই সারা বছরের রোযা। অতএব, প্রত্যেক মাসে রোযা রাখ তিন দিন এবং প্রত্যেক মাসে কুরআন পড় একবার। আমি বলিলাম, হুযূর ! আমি ইহা অপেক্ষা অধিক পারি। হুযূর বলিলেন, তবে তুমি শ্রেষ্ঠ (নিয়মের) রোযা রাখিবে হযরত দাউদ নবীর রোযা, এক দিন রোযা আর এক দিন বে-রোযা এবং কুরআন খতম করিবে সপ্তাহে একবার, ইহার অধিক করিবে না। — বুখারী, মুসলিম (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখিতেন। – তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার বন্দার আমলসমূহ (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। অতএব, আমি চাহি যে, আমার আমল পেশ করা হউক আমার রোযার অবস্থায়। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৭। হযরত আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা আমাকে বলিলেনঃ হে আবু যর! যখন তুমি মাসের তিন দিন রোযা রাখিবে তখন উহার ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখিবে। — তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান