মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৯৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
১৯৫৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মানব সন্তানের নেক আমল বাড়ান হইয়া থাকে; প্রত্যেক নেক আমল দশ গুণ হইতে সাত শত গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: রোযা ব্যতীত। কেননা, রোযা আমারই জন্য এবং আমিই উহার প্রতিফল দান করিব (যত ইচ্ছা তত)। সে আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তি ও খানা-পিনার জিনিস ত্যাগ করে।

রোযাদারের জন্য দুইটি (প্রধান) আনন্দ রহিয়াছে, একটি তাহার ইফতারের সময় এবং অপরটি বেহেশতে আপন পরওয়ারদেগারের সাক্ষাৎ লাভের সময়। নিশ্চয় রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের যুশ্ব অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়। রোযা হইতেছে মানুষের জন্য (দোযখের আগুন হইতে রক্ষার) ঢালস্বরূপ। সুতরাং যখন তোমাদের কাহারও রোযার দিন আসে, সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং অনর্থ শোরগোল না করে। যদি কেহ তাহাকে গালি দেয় অথবা তাহার সাথে ঝগড়া করিতে চায়, সে যেন বলে, আমি একজন রোযাদার। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৯৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন রমযান মাসের প্রথম রাত্রি আসে, শয়তান ও অবাধ্য জিন্‌ সকলকে শৃংখলে আব্দ্ধ করা হয়। দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়, অতঃপর উহার কোন দরজাই খোলা হয়। না এবং বেহেশতের দরজাসমূহ খোলা হয়, অতঃপর উহার কোন দরজাই বন্ধ করা হয় না। এ মাসে এক আহ্বানকারী আহ্বান করিতে থাকে, হে ভালোর অন্বেষণকারী অগ্রসর হও, হে মন্দের অন্বেষণকারী থাম। আল্লাহ্ তা'আলা এই মাসে বহু ব্যক্তিকে দোযখ হইতে মুক্তি দেন, আর ইহা প্রত্যেক রাত্রিতেই হইয়া থাকে। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান