মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৭- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৮৯১

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে রোযাদার হিসাবে ভোরে উঠিয়াছে? উত্তরে হযরত আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, হুযূর এ অধীন। অতঃপর হুযুর জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে কোন জানাযার নামাযে শরীক হইয়াছে? হযরত আবু বকর বলিলেন, এ অধীন। আবার ছয়ূর জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে কোন দরিদ্রকে থানা খাওয়াইয়াছে? হযরত আবু বকর বলিলেন, এ অধীন। পুনরায় হুযুর জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে কোন রোগীকে দেখিতে গিয়াছে? এবারও হযরত আবু বকর বলিলেন, এ অধীন। ইহা শুনিয়া হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন এতগুলি সদগুণ যাহার মধ্যে একত্র হইবে, সে নিশ্চয় বেহেশতে যাইবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: মুসলিম মহিলাগণ। তোমাদের মধ্যে কোন প্রতিবেশীনী যেন আপন প্রতিবেশীনীকে উট বা ছাগলের একটি খুর দান করাকেও তুচ্ছ জ্ঞান না করে (অর্থাৎ, সামান্য হইলেও যেন দান করে)। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৩। হযরত জাবের ও হোযায়ফা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। প্রত্যেক ভাল কাজই একটি দান। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৪। হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কোন ভাল কাজকেই তুচ্ছ মনে করিবে না, যদিও হয় উহা তোমার ভাইয়ের সহিত প্রসন্ন মুখে সাক্ষাৎ করা। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৫। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: প্রত্যেক মুসলমানেরই দান করা উচিত। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, যদি দান করিবার কিছু না পায় ? হুযুর বলিলেন, তখন সে যেন আপন হাতে কাজ করে, অতঃপর উহা দ্বারা নিজেও উপকৃত হয় এবং অন্যকেও দান করে। তাঁহারা বলিলেন, হুযূর। যদি সে এই ক্ষমতা না রাখে অথবা ইহা করিতে না পারে (রাবীর সন্দেহ)? হুযুর বলিলেন, তখন সে উৎপীড়িত অভাবগ্রস্তের (শারীরিক) সাহায্য করিবে। তাহারা বলিলেন, যদি সে এইরূপও করিতে না পারে? হুযুর বলিলেন, তখন সে যেন ভাল কাজের উপদেশ হইলেও দেয়। তাহারা বলিলেন, যদি সে ইহাও না করে? হুযুর বলিলেন, তখন সে যেন অন্ততঃ মন্দ কাজ হইতে বিরত থাকে। ইহাই তাহার পক্ষে দান। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পরিবর্তেই প্রত্যেক দিবসে যাহাতে সূর্য উদিত হয় একটি দান হওয়া উচিত। দুই ব্যক্তির মধ্যে ন্যায় বিচার করাও একটি দান এবং কোন ব্যক্তিকে তাহার সওয়ারীতে উঠিতে সাহায্য করা (অর্থাৎ,) তাহাকে তাহার সওয়ারীতে উঠাইয়া দেওয়া অথবা তাহার কোন আসবাব উহার উপর উঠাইয়া দেওয়াও একটি দান। কাহারও সাথে উত্তম কথা বলাও একটি দান। নামাযের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপও একটি দান এবং রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করাও একটি দান। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: প্রত্যেক আদম সন্তানকেই তিনশত ষাটটি (৩৬০) গ্রন্থি সহকারে সৃষ্টি করা হইয়াছে। অতএব, যে ঐ তিনশত ষাট সংখ্যা পরিমাণ আল্লাহু আকবর বলিল, আলহাম্দু লিল্লাহ্ বলিল। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলিল, আস্তাগফিরুল্লাহ্ বলিল অথবা মানুষের চলার পথ হইতে একটি পাথর বা কাঁটা বা হাড় সরাইয়া দিল, অথবা কাহাকেও কোন ভাল কাজের উপদেশ দিল, অথবা কোন খারাপ কাজ হইতে নিষেধ করিল, ঐ ৩৬০ সংখ্যা পরিমাণ — সে দিন সে চলিতে রহিল (বাচিয়া রহিল) নিজকে দোযখ হইতে দূরে রাখিয়া। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৮। হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। প্রত্যেক সুবহানাল্লাহ্ বলাই একটি সদকা, প্রত্যেক আল্লাহ আকবর বলাই একটি সদকা, প্রত্যেক আলহামদু লিল্লাহ্ বলাই একটি সদকা, প্রত্যেক 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলাই একটি সদকা এবং ভাল কাজের উপদেশ দেওয়াও একটি সদকা এবং মদ কাজ হইতে নিষেধ করাও একটি সদকা। এমন কি আপন স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও একটি সদকা। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। আমাদের কেহ তাহার কাম প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করিবে আর উহাতেও কি তাহার সওয়াব হইবে। হুযুর বলিলেন, তোমরা বল দেখি। যদি তোমাদের কেহু উহা হারামে স্থাপন করিত, তবে তাহার পক্ষে উহাতে গোনাহ্ হইত কিনা ? এইরূপে যখন সে উহাকে হালালে স্থাপন করিল তাহাতেও তাহার সওয়াব হইবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কিন্তু উত্তম দান দুধেল উটনী ও দুধেল ছাগী যাহা দুধ পানের জন্য কাহাকেও ধারে দেওয়া হয়— যাহা সকালে এক ভাণ্ড দুধ দেয় ও বৈকালে এক ভাণ্ড। --মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০০

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমানই একটি বৃক্ষ রোপণ করিবে অথবা কোন শস্য বপন করিবে অতঃপর উহা হইতে মানুষ অথবা পক্ষী অথবা পশু কিছু খাইবে নিশ্চয় ইহা তাহার জনা দানরূপে পরিগণিত হইবে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০১

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, যাহা চুরি হইয়া যায় তাহাও তাহার জন্য দানরূপে পরিগণিত হয়।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০২

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা বলিয়াছেনঃ একটি বেশ্যা স্ত্রীলোককে মাফ করিয়া দেওয়া হয় যে একটি কূপের পাড়ে অবস্থিত একটি কুকুরের নিকট দিয়া যাইতে দেখিল, কুকুরটি ছাপাইতেছে এবং পিপাসায় মারা যাইবার উপক্রম হইয়াছে। ইহা দেখিয়া সে নিজের মোজা খুলিয়া মাথার উড়নীতে বাঁধিল, অতঃপর কুকুরটির জন্য পানি উঠাইল। ইহার ফলে তাহাকে মাফ করিয়া দেওয়া হইল। এসময় হুয়ূরকে জিজ্ঞাসা করা হইল, হুযুর! পশুর সেবায়ও কি আমাদের জন্য সওয়াব রহিয়াছে? তিনি বলিলেন, প্রত্যেক প্রাণীর সেবায়ই সওয়াব রহিয়াছে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৩। হযরত ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন একটি স্ত্রীলোককে একটি বিড়ালের দরুন শাস্তি দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে আটকাইয়া রাখিয়াছিল, যাহাতে সে ভয়ে মরিয়া গেল। সে উহাকে খাদ্যও দিত না এবং ছাড়িয়াও দিত না যাহাতে সে যমীনের কীট পতঙ্গ ধরিয়া খায়। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এক ব্যক্তি রাস্তায় পতিত একটি গাছের ডালের নিকট দিয়া যাওয়াকালে বলিল, অবশ্যই আমি ইহা মুসলমানদের পথ হইতে সরাইয়া ফেলিব যাহাতে ইহা তাহাদিগকে কষ্ট না দেয়, (অতঃপর সে উহাকে সরাইয়া ফেলিল) ফলে তাহাকে বেহেশতে দেওয়া হইল। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আমি এক ব্যক্তিকে একটি গাছের কারণে বেহেশতে বেড়াইতে দেখিয়াছি, সে গাছটিকে কাটিয়া রাস্তার উপর হইতে সরাইয়াছিল যাহা মানুষকে কষ্ট দিত। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৬। হযরত আবু বারযা আসলামী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বলিলাম, হে আল্লাহর নবী আমাকে এমন একটি বিষয় শিক্ষা দিন যাহা দ্বারা আমি উপকৃত হইতে পারি! হুযূর (ছাঃ) বলিলেনঃ তবে তুমি মুসলমানদের পথ হইতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করিবে। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, যখন নবী করীম (ﷺ) হিজরত করিয়া মদীনা আগমন করিলেন, আমি তাঁহার নিকট আসিলাম। যখন আমি তাঁহার চেহারা নিরীক্ষণ করিলাম বুঝিতে পারিলাম যে, তাঁহার চেহারা কোন (ভণ্ড মিথ্যুকের চেহারা নহে। তখন তিনি প্রথমে যে কথাটি বলিলেন, তাহা হইল এই, লোক সকল ! তোমরা সালামের বহুল প্রচলন করিবে, (দরিদ্রকে) অন্ন দান করিবে, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করিবে এবং রাতে (তাহাজ্জুদ) নামায পড়িবে, লোক যখন ঘুমে থাকে, তাতে তোমরা স্বচ্ছন্দে বেহেশতে প্রবেশ করিবে। – তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা দয়াময়ের এবাদত করিবে, (দরিদ্রকে) অন্ন দান করিবে এবং সালামের প্রচলন করিবে, ইহাতে তোমরা স্বচ্ছন্দে বেহেশতে প্রবেশ করিবে। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান