মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৭- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৭৮৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মাল লাভ করিয়াছে, তাহার সে মালে যাকাত দেয়া হইবে না যাবৎ না উহার প্রতি বর্ষ গোজারিয়া যায়। —তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং এরূপ একদল বিশেষজ্ঞের নাম উল্লেখ করিয়াছেন, যাহারা হাদীসটিকে 'মউকুফ' বা ইবনে ওমরের কথা বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৮৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৮। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার হযরত আব্বাস (রাঃ) আপন যাকাত বৰ্ষ পূর্ণ হইবার পূর্বে দেওয়া সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেন এবং তিনি তাঁহাকে ইহার অনুমতি দিলেন। –আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৮৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৯। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) একদা খোতবা দান করিলেন এবং বলিলেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন ইয়াতীমের অভিভাবক হইয়াছে যাহার মাল রহিয়াছে, সে যেন উহাকে ব্যবসায় লাগায় এবং ফেলিয়া না রাখে, — যাহাতে যাকাত উহাকে শেষ করিয়া দেয়। —তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, ইহার সনদে গোলমাল রহিয়াছে। কেননা, ইহার রাবী মুসান্না ইবনে সাব্বাহ যঈফ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৯০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৯০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইন্তেকাল করিলেন, অতঃপর হযরত আবু বকর খলীফা নির্বাচিত হইলেন এবং আরবদের মধ্যে যাহারা কাফের হইবার কাফের হইয়া গেল (অর্থাৎ, যাকাত অস্বীকার করিল এবং খলীফা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিতে ইচ্ছা করিলেন), তখন হযরত ওমর খলীফা আবু বকরকে বলিলেন, কিরূপে আপনি লোকদের সহিত যুদ্ধ করিবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি নির্দেশ প্রাপ্ত হইয়াছি মানুষের সহিত যুদ্ধ করিতে, যাবৎ না তাহারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলে, যখন কেহ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলিল, আমা হইতে তাহার জান ও মাল রক্ষা করিল। (বাকি তাহার অন্তরে কি) তাহার হিসাব আল্লাহর কাছে। (ইয়ামামাবাসীরা তো কলেমা পড়ে ও নামায আদায় করে।) হযরত আবু বকর বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয় তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিব যাহারা সালাত (নামায) ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে (অর্থাৎ, সালাতকে স্বীকার করে, আর যাকাতকে অস্বীকার করে)। কেননা, যাকাত মালের হক। আল্লাহর কসম! যদি তাহারা একটি বকরীর বাচ্চা উসূল করিতেও আমাকে বাধা দান করে, যাহা তাহারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে প্রদান করিত, তাহা হইলেও আমি উহার জন্য তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিব। হযরত ওমর বলিলেন, এখন আমি বুঝিতে পারিলাম যে, এছাড়া আর কিছুই নহে যে, আল্লাহ্ তা'আলা যুদ্ধের জন্য আবু বকরের অন্তরকে খুলিয়া দিয়াছেন। (অর্থাৎ, তিনি সত্য উপলব্ধি করিতে পারিয়াছেন।) অতঃপর আমিও উপলব্ধি করিলাম যে, উহা সত্য। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৯১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৯১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের কাহারও সংরক্ষিত মাল কিয়ামতের দিন কেশহীন বিষাক্ত সাপ হইবে এবং উহা হইতে উহার অধিকারী পলায়ন করিতে চাহিবে; কিন্তু উহা তাহাকে অনুসন্ধান করিতে থাকিবে, যাবৎ না সে (খাদ্যরূপে) উহার মুখে আপন অঙ্গুলীসমূহ দেয়। – আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান