মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৭৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৫৮। হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান, যদি তুমি বিপদের প্রথম সময় সবর কর এবং সওয়াবের আশা রাখ, তাহা হইলে আমি তোমার জন্য জান্নাত ব্যতীত কোন সওয়াবে সন্তুষ্ট হইব না। – ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৫৯। হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান পুরুষ বা নারী কোন বিপদে পড়িবে, অতঃপর উহাকে স্মরণ করিবে— যদিও দীর্ঘ দিন পরে হয় এবং তজ্জন্য ‘ইন্নালিল্লাহি’ পড়িবে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে তখন নূতন করিয়া সওয়াব দিবেন, যেদিন সে বিপদে পড়িয়াছিল সে দিনের পরিমাণ সওয়াব। —আহমদ ও বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬০

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কাহারও জুতার দোয়াল ছিঁড়িয়া যায়, তখন সে যেন ‘ইন্নালিল্লাহি' পড়ে! কেননা, ইহাও বিপদের অন্তর্গত। (আর এতটুকু বিপদের পরিবর্তেও আল্লাহ্ তা'আলা সওয়াব দান করিয়া থাকেন। )

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬১

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৬১। সাহাবিয়া হযরত উম্মুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমি (আমার স্বামী) আবুদ্দারদাকে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন, আমি আবুল কাসেম (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা হযরত ঈসা নবী (আঃ)কে বলিয়াছিলেনঃ হে ঈসা! আমি তোমার পর এমন একটি উম্মতের সৃষ্টি করিব, যাহাদের নিকট যখন সুখবর কিছু পৌছিবে, তাহারা আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করিবে এবং যখন তাহাদের প্রতি দুঃখকর কিছু বর্তাইবে, সবর করিবে এবং সওয়াবের আশা রাখিবে, অথচ তখন তাহাদের সহাশক্তি ও বুদ্ধি থাকিবে না। ঈসা (আঃ) বলিলেন, হে আমার প্রভু! ইহা তাহাদের পক্ষে কি করিয়া সম্ভবপর হইবে, যখন তাহাদের না সহ্যশক্তি থাকিবে, না বুদ্ধি। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিলেনঃ আমি তাহাদিগকে আমার সহ্যশক্তি ও আমার বুদ্ধি হইতে কিছু দান করিব। — হাদীস দুইটি বায়হাকী শোআবুল ঈমানে রেওয়ায়ত করিয়াছেন ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৬৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে যে রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর তাঁহার নিকট থাকার পালা আসিত, সে সে রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শেষরাতে বকী'য়ে গারকাদের দিকে বাহির হইয়া যাইতেন এবং (কবরবাসীকে) এইরূপ সালাম করিতেনঃ "সালাম হউক তোমাদের প্রতি হে মু'মিন দলের বাসস্থানের অধিবাসী -গণ! অল্প সময়ের পর (কিয়ামতের দিন) তোমরা লাভ করিবে যাহা তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে, আর আমরাও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের সহিত শীঘ্রই যুক্ত হইতেছি। হে আল্লাহ্ ! তুমি বকীয়ে গারকাদের অধিবাসীদের ক্ষমা কর।” – মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৬৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! কবর যিয়ারতকালে আমি কি বলিব? হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ এইরূপ বলিবে, “সালাম হউক মু'মিন ও মুসলিমদের বাসস্থানের অধিবাসীদের প্রতি এবং দয়া করুন আল্লাহ্ আমাদের মধ্যে যাহারা প্রথমে গিয়াছে তাহাদের এবং যাহারা পরে আসিবে তাহাদের প্রতি। আমরাও ইনশাআল্লাহ্ শীঘ্রই তোমাদের সহিত যুক্ত হইব।” —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৬৮। তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে নো'মান (রঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নাম করিয়া বলেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমুআবারে আপন মা-বাপের অথবা তাঁহাদের মধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করিবে, তাহাকে মাফ করিয়া দেওয়া হইবে এবং মা-বাপের সহিত সদ্ব্যবহারকারী বলিয়া লেখা হইবে। বায়হাকী তাঁহার শোআবুল ঈমানে মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৬৯। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি তোমাদিগকে কবর যিয়ারত করিতে নিষেধ করিয়াছিলাম। এখন তোমরা উহা করিতে পার। কেননা, উহা দুনিয়ার আসক্তিকে কমায় এবং আখেরাতকে স্মরণ করায়। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৭০

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৭০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহর লা'নত (অভিশাপ) হউক কবর যিয়ারতকারিণী নারীদের প্রতি। —আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান; বরং সহীহ্। তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, এ হাদীসের ব্যাখ্যায় কোন কোন আহলে এলম ব্যক্তি মনে করেন যে, ইহা নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক কবর যিয়ারতের অনুমতি দানের পূর্বের কথা। যখন তিনি ইহার অনুমতি দিয়াছেন পুরুষ ও স্ত্রী উভয় ইহাতে শামিল রহিয়াছে। আর কেহ মনে করেন যে, হুযুর নারীদের পক্ষে কবর যিয়ারত করাকে নাপছন্দই করিয়াছেন—তাহাদের ধৈর্যের স্বল্পতা এবং অস্থিরতার, আধিক্যের কারণে।
তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান; বরং সহীহ্। তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, এ হাদীসের ব্যাখ্যায় কোন কোন আহলে এলম ব্যক্তি মনে করেন যে, ইহা নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক কবর যিয়ারতের অনুমতি দানের পূর্বের কথা। যখন তিনি ইহার অনুমতি দিয়াছেন পুরুষ ও স্ত্রী উভয় ইহাতে শামিল রহিয়াছে। আর কেহ মনে করেন যে, হুযুর নারীদের পক্ষে কবর যিয়ারত করাকে নাপছন্দই করিয়াছেন—তাহাদের ধৈর্যের স্বল্পতা এবং অস্থিরতার, আধিক্যের কারণে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান