মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৭০৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭০৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার নবী করীম (ﷺ) একটি কবরে প্রবেশ করিলেন রাতে। অতএব, তাঁহার জন্য বাতি জ্বালান হইল, অতঃপর তিনি মুর্দাকে কেবলার দিক (ডানদিক) হইতে গ্রহণ করিলেন এবং বলিলেনঃ আল্লাহ্ তোমায় রহম করুন! তুমি ছিলে বড় কোমল প্রাণ, বড় কুরআন তেলাওয়াতকারী। — তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭০৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, যখন কোন মুর্দাকে কবরে রাখা হইত নবী করীম (ﷺ) বলিতেনঃ "বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহি।” অপর বর্ণনায় রহিয়াছে, ওয়া আলা সুন্নতি রাসূলিল্লাহি। অর্থাৎ, আল্লাহর নামে, আল্লাহর সাহায্যে, রাসূলুল্লাহর দ্বীনের উপরে বা রাসূলুল্লাহর তরীকের উপরে (রাখা হইতেছে)। —আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । আবু দাউদের বর্ণনায় দ্বিতীয়টি।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭০৮। ইমাম জা'ফর ইবনে মুহাম্মাদ তাঁহার পিতা ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (রঃ) হইতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) এক মুর্দারের (কবরের) উপরে আপন দুই হাত একত্র করিয়া তিন কোষ মাটি দিয়াছেন এবং তিনি তাহার পুত্র ইবরাহীমের কবরের উপরে পানি ছিটাইয়াছেন এবং উহার উপর কাঁকর স্থাপন করিয়াছেন। —বগী শরহে সুন্নাহ্য়। ইমাম শাফেয়ী শুধু শেষ বাক্য বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭০৯। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন—কবরে চুনকাম করিতে, উহার উপর লেখিতে এবং উহাকে পায়ে মাড়াইতে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১০। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ)-এর কবরের উপর পানি ছিটান হইয়াছিল, আর যিনি পানি ছিটাইয়াছিলেন, তিনি ছিলেন বেলাল ইবনে রাবাহ্। তিনি একটি মশক দ্বারা পানি ছিটাইয়াছিলেন এবং হুযূরের মাথার দিক হইতে আরম্ভ করিয়া তাহার পা পর্যন্ত পৌঁছিয়াছিলেন। – বায়হাকী দালায়েলে নবুওতে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১১। হযরত মোত্তালেব ইবনে আবু ওদাআহ্ (রাঃ) বলেন, যখন ওসমান ইবনে মাযউন ইন্তেকাল করিলেন, তাঁহার লাশ বাহিরে আনা হইল, অতঃপর দাফন করা হইল। নবী করীম (ﷺ) এক ব্যক্তিকে হুকুম দিলেন, তাঁহার নিকট একটি পাথর আনিতে; কিন্তু সে উহা উঠাইতে পারিল না। (ইহা দেখিয়া) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বয়ং পাথরের দিকে গেলেন এবং আপন দুই হাতের আস্তিন গুটাইলেন। মোত্তালেব বলেন, যে ব্যক্তি নিজে হুযূর (ﷺ)-এর এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করিয়া আমাকে বলিয়াছেন, তিনি বলেন, আমি যেমন এখনও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাহুদ্বয়ের শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করিতেছি, যখন তিনি হাতের আস্তিন গুটাইয়াছিলেন। অতঃপর হুযূর উহা উঠাইলেন এবং নিজে নিয়া তাহার কবরের শিরানায় স্থাপন করিলেন, অতঃপর বলিলেনঃ ইহাতে আমি আমার ভাইয়ের কবর চিনিতে পারিব এবং আমার পরিবারের কেহ মারা গেলে তাহার নিকট দাফন করিতে পারিব। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১২। তাবেয়ী কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাঃ) বলেন, আমি একবার আমার ফুফু বিবি আয়েশার নিকট গেলাম এবং বলিলাম, আম্মা! আমাকে নবী করীম (ﷺ) এবং তাঁহার সঙ্গীদ্বয়ের কবর দেখান! তখন তিনি পর্দা সরাইয়া আমাকে তিনটি কবর দেখাইলেন, যাহা অধিক উঁচুও নহে এবং যমীনের সাথে সমানও নহে - (বরং বিঘত পরিমাণ উঁচু) যাহাতে আরসার লাল কাঁকর ঢালা হইয়াছিল। (আসা—মদীনার নিকট স্থানবিশেষ।) — আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৩। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে আনসারীদের এক ব্যক্তির জানাযাতে গেলাম। আমরা কবরের নিকট পৌঁছিলাম; কিন্তু তখনও কবর প্রস্তুত হয় নাই। অতএব, নবী করীম (ﷺ) কেবলামুখী হইয়া বসিয়া গেলেন, আর আমরা তাঁহার সাথে বসিয়া গেলাম। –আবু দাউদ এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু নাসায়ী ও ইবনে মাজাহর বর্ণনায় শেষের দিকে অতিরিক্ত এই বাক্য রহিয়াছে, যেন আমাদের মাথার উপর পাখী বসিয়াছে। (অর্থাৎ, আমরা চুপচাপ বসিয়া রহিলাম।)

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা তাহার জীবনকালে হাড় ভাঙ্গার অনুরূপ। —মালেক, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৫। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কন্যা (উম্মে কুলসুম)-এর দাফনে হাজির হইলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন কবরের পাড়ে বসা আছেন, আমি দেখিলাম, তখন তাঁহার দুই চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দিতেছিল। এ সময় তিনি বলিলেনঃ তোমাদের মধ্যে কি কেহ এমন আছে, যে এ রাতে স্ত্রী-সহবাস করে নাই? তখন আবু তালহা বলিলেন, (হুযূর !) আমি আছি। হুযুর বলিলেন, তুমি তাহার কবরে প্রবেশ কর (এবং তাহাকে নামাও)। তখন আবু তালহা তাহার কবরে প্রবেশ করিলেন। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৬। হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) মরণকালে তাঁহার পুত্র (আব্দুল্লাহ্)-কে বলিয়াছিলেন, যখন আমি মরিয়া যাইব, তখন যেন আমার সাথে কোন বিলাপকারিণী স্ত্রীলোক এবং আগুন না থাকে। যখন তোমরা আমাকে দাফন করিবে, আমার উপর ধীরে ধীরে মাটি ঢালিবে। অতঃপর তোমরা আমার কবরের পার্শ্বে অবস্থান করিবে, যতক্ষণ সময় একটি উট যবেহ্ করিয়া উহার গোশত বন্টন করিতে লাগে — যাহাতে আমি তোমাদের কারণে স্বস্তি লাভ করিতে পারি এবং আমার পরওয়ারদেগারের প্রেরিত ফেরেস্তাগণকে কি উত্তর দিয়া বিদায় করিব তাহা বুঝিতে পারি। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেহ যখন মরিবে, তাহাকে ঘরে আব্দ্ধ রাখিবে না এবং তাড়াতাড়ি তাহাকে তাহার কবরে পৌঁছাইয়া দিবে। অতঃপর তাহার মাথার নিকট সূরা বাকারার প্রথম দিক এবং পায়ের দিকে বাকারার শেষের দিক পাঠ করিবে। —বায়হাকী ইহা তাঁহার শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, ইহা মউকুফ হাদীস অর্থাৎ, হুযুরের বাণী নহে, আব্দুল্লাহর বাণী।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৮। তাবেয়ী ইবনে আবি মুলাইকা (রঃ) বলেন, যখন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর [(রাঃ) মক্কার নিকবর্তী] 'হুবশিয়া' নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন, তখন তাঁহাকে মক্কায় আনা হয় এবং তথায় দাফন করা হয়। অতঃপর (তাঁহার ভগ্নী) বিবি আয়েশা যখন মক্কা গমন করেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরের কবরের নিকট যান এবং (কবি তামীম ইবনে নুওয়ায়রার এই দুইটি পংক্তি) আবৃত্তি করেন, “দীর্ঘ দিন যাবৎ আমরা (দুই ভাইবোন) জাযীমার দুই সহচরের ন্যায় কাল যাপন করিতেছিলাম, যাহাতে বলা হইয়াছিল যে, তাহারা আর কখনও বিচ্ছিন্ন হইবে না—কিন্তু আমরা যখন বিচ্ছিন্ন হইলাম, দীর্ঘ দিন এক সাথে থাকা সত্ত্বেও মনে হইতেছে যে, আমরা এক রাত্রিও এক সাথে বাস করি নাই।” অতঃপর তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম ! যদি আমি আপনার মৃত্যুকালে উপস্থিত থাকিতাম, তাহা হইলে আপনি যেখানে ইন্তেকাল করিয়াছেন, সেখানে ছাড়া অন্য কোথাও আপনাকে দাফন করিতাম না এবং যদি আমি দাফনে উপস্থিত থাকিতাম, তবে এখন আপনার যেয়ারতেও আসিতাম না। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭১৯। হযরত আবু রাফে' (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত সা'দ ইবনে মুআযকে কবরে নামাইয়াছিলেন এবং তাঁহার কবরের উপর পানি ছিটাইয়া ছিলেন। —ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৭২০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭২০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি মুর্দার জানাযা পড়িলেন, অতঃপর তাহার কবরের নিকট গেলেন এবং তাহার মাথার দিকে তিন কোষ মাটি দিলেন। — ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান