মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৫৮৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৮৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বিমারী দেখার ব্যাপারে সুন্নত হইতেছে —বিমারীর নিকট স্বল্পক্ষণ বসা এবং তথায় শোরগোল না করা। অতঃপর তিনি (ইহার সমর্থনে) বলেন, মৃত্যু-শয্যায় যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট লোকের কথাবার্তা ও মতভেদ বেশী হইয়া গিয়াছিল, তখন তিনি বলিয়াছিলেন, আমার নিকট হইতে উঠিয়া যাও। —রযীন

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বিমারী দেখা স্বল্পক্ষণ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯১। হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যাবের বর্ণনায়, উত্তম বিমারী দেখা হইল ত্বরিত উঠিয়া যাওয়া। বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার নবী করীম (ﷺ) জনৈক বিমারীকে দেখিতে যাইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কি খাইতে ইচ্ছা হয় ? সে বলিল, গমের রুটি খাইতে আমার ইচ্ছা হয়। তখন নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ যাহার নিকট গমের রুটি আছে, সে যেন তাহার এই ভাইয়ের জন্য উহা পাঠায়। অতঃপর নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, যখন তোমাদের কোন রোগী কিছু খাইতে ইচ্ছা করে, তাহাকে উহা খাওয়াইবে। — ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, একবার মদীনায় এক ব্যক্তি মারা গেল, সে মদীনায়ই জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। নবী করীম (ﷺ) তাহার জানাযা পড়াইলেন, অতঃপর বলিলেনঃ আহা! লোকটি যদি তাহার জন্মস্থান ব্যতীত অপর কোথাও মারা যাইত। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, কেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্। হুযুর বলিলেন, যখন কোন ব্যক্তি আপন জন্মস্থান ব্যতীত অপর কোথাও মারা যায়, তাহার জন্য জান্নাতে তাহার জন্মস্থান হইতে তাহার শেষ পদক্ষেপ পর্যন্ত মাপা হয়। — নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সফরের মউত শাহাদত। — ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে রুগ্নাবস্থায় মারা গিয়াছে, সে শহীদ হইয়া মারা গিয়াছে, তাহাকে কবর আযাব হইতে রক্ষা করা হইবে এবং সকাল-সন্ধ্যা তাহাকে বেহেশতের রিযিক দেওয়া হইবে। —ইবনে মাজাহ্ ও বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯৬। হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যুদ্ধে শহীদগণ ও ঘরে বিছানায় মৃত ব্যক্তিগণ তাউনে মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে পরওয়ারদেগারে আলমের নিকট দাবী পেশ করিবেন। শহীদগণ বলিবেন, ইহারা আমাদের ভাই। ইহারা ঘায়ে নিহত হইয়াছে, যেইরূপে আমরা নিহত হইয়াছি। আর ঘরে বিছানায় মরা ব্যক্তিগণ বলিবেন, ইহারা আমাদের ভাই। ইহারা তাহাদের ঘরে মরিয়াছে, যেভাবে আমরা মরিয়াছি। তখন পরওয়ারদেগার — তাবারাকা ও তা'আলা বলিবেনঃ ইহাদের ঘায়ের দিকে দেখ, ইহাদের ঘা যদি শহীদগণের ঘায়ের অনুরূপ হয়, তাহা হইলে তাহারা শহীদগণের অন্তর্গত এবং শহীদগণের সাথেই থাকিবে। পরে দেখা যাইবে যে, তাহাদের ঘা শহীদগণের ঘায়েরই অনুরূপ। —আহমদ ও নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৫৯৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৯৭। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তাউন হইতে পলায়নকারী জেহাদ হইতে পলায়নকারীর অনুরূপ এবং উহাতে সবরকারী—তাহার জন্য শহীদের সওয়াব রহিয়াছে। – আহমদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬০৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা
১৬০৬। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক দিন বলিলেন, তোমরা যদি চাহ আমি তোমাদিগকে বলিব যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা মু'মিনদিগকে প্রথমে কি বলিবেন এবং মু'মিনগণ আল্লাহ্ তা'আলাকে প্রথমে কি বলিবে। আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হুযূর বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা মু'মিনদের বলিবেনঃ তোমরা কি আমার সাক্ষাৎ লাভকে ভালবাসিয়াছিলে? তাহারা উত্তর করিবে, হ্যাঁ, নিশ্চয় ইয়া রবানা! তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেনঃ (গোনাহ্ করা সত্ত্বেও) কেন ভালবাসিয়া ছিলে ? তাহারা বলিবে, আমরা আপনার ক্ষমা ও মার্জনার আশা রাখিয়াছিলাম। তখন আল্লাহ্ বলিবেনঃ তবে আমার ক্ষমা তোমাদের জন্য অবধারিত হইয়া গেল। —বগবী শরহে সুন্নায় এবং আবু নোআইম হিলইয়ায়।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা
১৬০৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দুনিয়ার সমস্ত সুখ-স্বাদ ধ্বংসকারী মৃত্যুর স্মরণ বেশী বেশী করিয়া করিবে। (ইহা তোমাদিগকে গোনাহ্ হইতে বাঁচাইয়া রাখিবে।) — তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা
১৬০৮। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) একদিন তাঁহার সাহাবীগণকে বলিলেন, আল্লাহকে লজ্জা করার মত লজ্জা করিবে। তাহারা বলিলেন, 'আলহামদু লিল্লাহ্' আমরা আল্লাহকে লজ্জা করিয়া থাকি, হে আল্লাহর নবী! হুযূর বলিলেনঃ তাহা নহে; বরং যে ব্যক্তি আল্লাহকে লজ্জা করার মত লজ্জা করে, সে যেন হেফাযত করে আপন শিরকে এবং শির যাহাকে রক্ষা করিয়াছে তাহাকে এবং হেফাযত করে আপন পেটকে এবং পেট যাহাকে ধারণ করিয়াছে তাহাকে। অধিকন্তু স্মরণ করে মৃত্যুকে এবং মৃত্যুর পর মাটিতে বিলীন হইয়া যাওয়াকে। আর যে আখেরাতকে চায়, সে যেন ত্যাগ করে দুনিয়ার বিলাস-ব্যাসনকে। যে এ সকল করিয়াছে সে-ই আল্লাহকে লজ্জা করার মত লজ্জা করিয়াছে। —আহমদ ও তিরমিযী। কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা
১৬০৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মৃত্যু হইল মু'মিনের তোফা। – বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা
১৬১০। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিন মরে তাহার কপালের ঘামের সাথে। – তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান