মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৫৬০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন মুসলমানকে যখন শারীরিক বিপদে ফেলা হয়, তখন ফেরেস্তাকে বলা হয়, তাহার জন্য লিখিতে থাক, সে যে নেককাজ বরাবর করিত। অতঃপর যদি আল্লাহ্ তাহাকে আরোগ্য দান করেন, তাহাকে (গোনাহর কলুষ হইতে) ধুইয়া পাক করিয়া লন, আর যদি তাহাকে উঠাইয়া লন, তাহাকে মাফ করিয়া দেন এবং তাহার প্রতি রহম করেন। — উক্ত হাদীস দুইটি শরহে সুন্নাহ্ রেওয়ায়ত করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬১। হযরত জাবের ইবনে আতীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করিয়া শহীদ হইয়াছে, এইরূপ ব্যক্তি ব্যতীতও সাত জন শহীদ রহিয়াছে—(১) মহামারীতে মৃত ব্যক্তি শহীদ, (২) ডুবিয়া মারা গিয়াছে এইরূপ ব্যক্তি শহীদ, (৩) ‘যাতুল জানব' রোগে যে মরিয়াছে সে শহীদ, (৪) যে পেটের রোগে মরিয়াছে সে শহীদ এবং (৫) যে পুড়িয়া মরিয়াছে সে শহীদ, (৬) যে কিছু চাপা পড়িয়া মরিয়াছে সে শহীদ এবং (৭) প্রসব কষ্টে যে স্ত্রীলোক মারা গিয়াছে সে শহীদ। — মালেক, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬২। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, হুযূর বিপদ দ্বারা সর্বাপেক্ষা অধিক পরীক্ষা করা হয় কাহাদের? হুযুর বলিলেনঃ নবীদের, অতঃপর তাহাদের তুলনায় যাহারা উত্তম তাহাদের। মানুষ তাহার দ্বীনদারীর অনুপাতে বিপদগ্রস্ত হয়। যদি সে তাহার দ্বীনের ব্যাপারে শক্ত হয়, তাহার বিপদও শক্ত হয়। যদি তাহার দ্বীনের ব্যাপারে শিথিলতা থাকে, তাহার বিপদও সহজ হয়। তাহার এইরূপ বিপদ হইতে থাকে, শেষ পর্যন্ত সে পৃথিবীতে চলাফেরা করে, অথচ তাহার কোন গোনাহ্ থাকে না। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহু ও দারেমী। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ্।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি কাহারও সহজে মউত হওয়ার কারণে ঈর্ষা করি না, যখন হইতে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মৃত্যু-কষ্ট দেখিয়াছি। — তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে দেখিয়াছি যখন তিনি মৃত্যুবরণ করিতেছিলেন। তাঁহার নিকট একটি পানি ভর্তি বাটি ছিল, তিনি সেই বাটিতে বার বার হাত ডুবাইতেন, অতঃপর উহা দ্বারা আপন মুখমণ্ডল মুছিতেন। এবং বলিতেন, “আল্লাহ্! তুমি আমাকে সাহায্য কর মউতের কষ্টে।” — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৫। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ যখন তাঁহার বন্দার সহিত কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তাহাকে আগেভাগে দুনিয়াতেই শাস্তি দান করেন এবং যখন কোন বন্দার সহিত অকল্যাণের ইচ্ছা রাখেন, তাহার পাপের শাস্তি দানে বিরত থাকেন; অবশেষে কিয়ামতের দিন তাহাকে উহার পূর্ণ শাস্তি দিবেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বড় প্রতিফল বড় বিপদের বিনিময়েই। আল্লাহ্ যখন কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসেন তাহাদিগকে বিপদ দ্বারা পরীক্ষা করেন। সুতরাং যে ইহাতে সন্তুষ্ট থাকে তাহার জন্য (আল্লাহ্) সন্তোষই রহিয়াছে এবং যে অসন্তুষ্ট হয়, তাহার জন্য অসন্তোষই রহিয়াছে। — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিন নর বা নারীর প্রতি বিপদ লাগিয়াই থাকে—তাহার আপন শরীরে, তাহার মাল-সম্পদে অথবা তাহার সন্তান-সন্তুতির ব্যাপারে, যাবৎ না সে আল্লাহর সহিত সাক্ষাৎ করে। তখন তাহার উপর কোন গোনাহর বোঝাই থাকে না। — তিরমিযী। মালেক তাহার অনুরূপ। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান বরং সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৮। মুহাম্মাদ ইবনে খালেদ সুলামী তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, তাঁহার দাদা বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন বন্দার জন্য যখন আল্লাহর পক্ষ হইতে কোন মর্যাদা নির্ধারিত হয়, যাহা সে আমল দ্বারা লাভ করিতে পারে না, তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে তাহার শরীর সম্পর্কে অথবা তাহার সন্তান-সন্ততির সম্পর্কে বিপদগ্রস্ত করেন। অতঃপর তাহাকে উহাতে ধৈর্যধারণের শক্তি দেন, যাহাতে সে ঐ মর্যাদা লাভ করিতে পারে, যাহা তাহার জন্য আল্লাহর পক্ষ হইতে নির্ধারণ করা হইয়াছে। – আহমদ ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৬৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে শিখখীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আদম সন্তানকে সৃষ্টি করা হইয়াছে, অথচ তাহার পার্শ্বে নিরানব্বইটি বিপদ রহিয়াছে। যদি উহারা সকলেই তাহার ব্যাপারে লক্ষ্যচ্যুত হয়, অন্ততঃ সে বার্ধক্যরূপ বিপদে পতিত হয় এবং অবশেষে মৃত্যুবরণ করে। -তিরমিযী; আর তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭০। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সুখ-শান্তিভোগী ব্যক্তিরা কিয়ামতের দিন যখন দেখিবে, বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের সওয়াব দেওয়া হইতেছে, তখন আক্ষেপ করিবে—আহা, যদি তাহাদের চামড়া দুনিয়াতে কাঁচি দ্বারা কাটা হইত! —তিরমিযী; আর তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭১। হযরত আমের রাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার রোগ সম্পর্কে আলোচনা করিলেন এবং বলিলেনঃ মু'মিনের যখন রোগ হয়, অতঃপর আল্লাহ্ তাহাকে আরোগ্য দান করেন, ইহা তাহার অতীতের গোনাহর জন্য কাফ্ফারা এবং ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার বস্তু হয়; কিন্তু মুনাফিক যখন রোগাক্রান্ত হয়, অতঃপর তাহাকে আরোগ্য দান করা হয়, সে সেই উটের ন্যায় হয় যাহাকে তাহার মালিক বাঁধিয়াছিল অতঃপর ছাড়িয়া দিল। সে বুঝিল না যে, কেন তাহাকে বাঁধিয়াছিল এবং কেন তাহাকে ছাড়িয়া দিল। তখন এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! রোগ আবার কি? আল্লাহর কসম, আমি তো কখনও রোগাক্রান্ত হই নাই। হুযুর বলিলেন, আমাদের নিকট হইতে উঠিয়া যাও! তবে তুমি আমাদের অন্তর্গত নও। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭২। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা যখন কোন রোগীর নিকট যাইবে, তাহার জীবন সম্পর্কে তাহাকে সান্ত্বনা দান করিবে। ইহা নিয়তির কোন কিছু উল্টাইতে পারিবে না; কিন্তু তাহার মন সান্ত্বনা লাভ করিবে। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৩। হযরত সুলায়মান ইবনে সুরাদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন যাহাকে তাহার পেটের রোগ হত্যা করিয়াছে, তাহাকে কবরে শাস্তি দেওয়া হইবে না। – আহ্মদ ও তিরমিযী; কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, এক ইহুদী যুবক নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমত করিত। নবী করীম (ﷺ) (তাহার মৃত্যু শয্যায়) তাহাকে দেখিতে গেলেন এবং তাহার শিয়রে বসিয়া বলিলেনঃ (হে অমুক,) মুসলমান হইয়া যাও! সে তাহার পিতার দিকে তাকাইল। তাহার পিতা তখন তাহার নিকটে ছিল। তাহার পিতা বলিল, আবুল কাসেমের কথা মানিয়া লও। সুতরাং সে মুসলমান হইয়া গেল। নবী করীম (ﷺ) তাহার নিকট হইতে বাহির হইয়া বলিলেন, আল্লাহ্র শোকর তিনি তাহাকে দোযখ হইতে মুক্তি দিলেন। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে পীড়িতকে দেখিতে যায়, আসমান হইতে একজন ফিরিশতা তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলেন, মোবারক হও তুমি এবং মোবারক হউক তোমার এই পথ চলা। তুমি বেহেশতের একটি স্থান তৈয়ার করিলে। – ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যে রোগে ওফাত পাইয়াছেন, সে রোগের সময় একদিন হযরত আলী তাঁহার নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিলেন। লোকে জিজ্ঞাসা করিল, আজ সকাল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কেমন যাইতেছে? তিনি বলিলেন, আলহামদুলিল্লাহ্, সকাল ভালই যাইতেছে। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৭। তাবেয়ী হযরত আতা ইবনে আবু রাবাহ্ বলেন, আমাকে একবার হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলিলেন, (আতা!) আমি কি তোমাকে একটি বেহেশতী মেয়েলোক দেখাইব না? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, এই কাল মেয়েলোকটি। সে একবার নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং উলঙ্গ হইয়া যাই। আল্লাহর নিকট আমার জন্য দো'আ করুন। হুযূর বলিলেনঃ যদি তুমি ইচ্ছা কর সবর করিতে পার, তখন তোমার জন্য জান্নাত রহিয়াছে। আর যদি ইচ্ছা কর আমি দো'আ করিব, আল্লাহ্ যেন তোমাকে আরোগ্য দান করেন। সে বলিল, আমি সবর করিব। অতঃপর বলিল, হুযুর! আমি উলঙ্গ হইয়া যাই। দো'আ করুন আমি যেন উলঙ্গ না হই। হুযূর তাহার জন্য সেই দো'আ করিলেন। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৮। তাবেয়ী ইয়াহ্ইয়া ইবনে সায়ীদ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যমানায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হইল, অপর এক ব্যক্তি বলিল, সে বড় খোশনসীব, মরিয়া গেল, অথচ কোন রোগে ভুগিল না। ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আহ! তোমাকে কে বলিল, সে বড় খোশনসীব ? যদি আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে কোন রোগে ফেলিতেন, আর তাহার গোনাহ্ মাফ করিয়া দিতেন (কত না ভাল হইত) ! —মালেক মুরসালরূপে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫৭৯

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৭৯। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস ও হযরত সুনাবেহী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তাহারা উভয়ে এক পীড়িত ব্যক্তিকে দেখিতে গেলেন এবং তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ সকাল কেমন যাইতেছে ? সে বলিল, আল্লাহর মেহেরবানীতে ভালই যাইতেছে। ইহা শুনিয়া শাদ্দাদ বলিলেন, তোমার প্রতি গোনাহ্ মাফ এবং অপরাধ মার্জনার সুসংবাদ হউক! কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি — আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ আমি যখন আমার বন্দাদের মধ্যে কোন মু'মিন বন্দাকে রোগগ্রস্ত করি আর আমার এই রোগগ্রস্ত করা সত্ত্বেও সে আমার শোকর করে – সে তাহার এই রোগশয্যা হইতে উঠিবে সমস্ত গোনাহ হইতে পাক সাফ হইয়া সেই দিনের ন্যায় যেদিন তাহার মা তাহাকে প্রসব করিয়াছিল। হুযূর বলিয়াছেন – আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা (ফিরিশতাদের) বলেনঃ আমি আমার বন্দাকে বন্ধ করিয়া রাখিয়াছি এবং রোগগ্রস্ত করিয়া রাখিয়াছি। অতএব, তোমরা তাহার সুস্থ অবস্থায় তাহার জন্য যাহা লিখিতে তাহাই লিখিতে থাক। — আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান