মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৪৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহেই যবাহ্ করিতেন বা নহর করিতেন। — বোখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৮। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: গরু সাত জনের পক্ষ হইতে এবং উট সাত জনের পক্ষ হইতে (কোরবানী করা যাইতে পারে)। মুসলিম ও আবু দাউদ। পাঠ আবু দাউদের।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৯। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যখন যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশক আসে আর তোমাদের কেহ কোরবানী করিবার ইচ্ছা রাখে, সে যেন নিজের কেশ ও চর্মের কোন কিছু স্পর্শ না করে (না কাটে)। অপর বর্ণনায় আছে, সে যেন কোন কেশ না ছাঁটে এবং কোন নখ না কাটে। আরেক বর্ণনায় রহিয়াছে, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখিবে এবং কোরবানীর ইচ্ছা রাখিবে, সে যেন নিজের চুল ও নিজের নখসমূহের কিছু না কাটে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নাই যাহাতে কোন আমল আল্লাহ্ তা'আলার নিকট প্রিয়তর এই দশ দিন অপেক্ষা। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (অপর দিনে) আল্লাহর রাস্তায় জেহাদও নহে? হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আল্লাহর রাস্তায় জেহাদও নহে; কিন্তু যে ব্যক্তি আপন জান ও মাল লইয়া বাহির হইয়াছে আর উহার কিছুই লইয়া ফিরে নাই। — বোখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬১।হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) এক কোরবানীর দিনে দুইটি ধূসর রংয়ের শিংওয়ালা খাসী দুম্বা যবাহ্ করিলেন এবং যখন উহাদের কেবলামুখী করিলেন, বলিলেনঃ “আমি আমার চেহারাকে ফিরাইলাম তাঁহার দিকে যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করিয়াছেন, সকল দিক হইতে বিমুখ হইয়া এবং নিজকে ইবরাহীমের দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়া; আর আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নহি (যাহারা দেব-দেবীর নামে যবাহ্ করিয়া থাকে)। উপরন্তু আমার নামায, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বমণ্ডলের পালনকর্তা আল্লাহর উদ্দেশ্যে। তাঁহার কোন শরীক নাই। আমি ইহারই জন্য আদিষ্ট হইয়াছি এবং আমি মুসলমানদের (আত্মসমর্পণকারীদের) অন্তর্গত। হে খোদা! তোমার পক্ষ হইতেই প্রাপ্ত এবং তোমারই জন্য উৎসর্গিত। তুমি কবুল কর মুহাম্মাদের পক্ষ হইতে এবং তাহার উম্মতগণের পক্ষ হইতে।” অতঃপর হুযূর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' বলিয়া যবাহ্ করিলেন। —আমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। কিন্তু আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করিয়াছেন, আপন হাতে যবাহ্ করিলেন এবং বলিলেন, "বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' হে আল্লাহ্! ইহা আমার পক্ষে এবং আমার উম্মতগণের মধ্যে যাহারা কোরবানী করিতে পারে নাই তাহাদের পক্ষে কবূল কর!

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬২। তাবেয়ী হানাশ (রঃ) বলেন, আমি হযরত আলীকে দুইটি দুম্বা কোরবানী করিতে দেখিলাম এবং জিজ্ঞাসা করিলাম, এই কি? (দুইটি কেন ?) তিনি উত্তর করিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ওসিয়ত করিয়া গিয়াছেন, আমি যেন তাঁহার পক্ষ হইতে কোরবানী করি? সুতরাং আমি তাঁহার পক্ষ হইতে (একটি) কোরবানী করিতেছি।—আবু দাউদ, তিরমিযীও অনুরূপ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের নির্দেশ দিয়াছেন, আমরা যেন (কোরবানীর পশুর) চোখ ও কান উত্তমরূপে দেখিয়া লই এবং আমরা যেন কোরবানী না করি যে পশুর কানের অগ্রভাগ কাটা গিয়াছে, যাহার কানের শেষ ভাগ কাটা গিয়াছে অথবা যাহার কান গোলাকারে ছেদিত হইয়াছে বা যাহার কান পাশের দিকে ফাড়িয়া গিয়াছে তাহার দ্বারা। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও দারেমী। ইবনে মাজাহ্ ‘কান দেখিয়া লই’ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান