মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৪৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী।
কোরবানীর অর্থ—আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট পশু যবেহ করা। অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখের মধ্যে উট, গরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি গৃহপালিত হালাল চতুষ্পদ পশুকে আল্লাহর নাম লইয়া আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে যবেহ্ করা। মূলে এখানে 'উযহিয়া' শব্দ রহিয়াছে। ইহার অর্থ, আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে যাহা যবেহ্ করা হয় তাহা ।
কোরবানীর নির্দেশে কোরআনে আল্লাহ্ পাক বলেনঃ
وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
“এবং তুমি ঘোষণা করিয়া দাও (হে ইবরাহীম) মানুষের মধ্যে হজ্জের। তাহারা আসিবে তোমার নিকট পায়ে হ্যাঁটিয়া এবং উটে চড়িয়া, যাহা আসিবে দূর-দূরান্তর হইতে—যাহাতে তাহারা শামিল হয় তাহাদের লাভের ব্যাপারসমূহে এবং স্মরণ করে আল্লাহর নাম গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুর উপরে (অর্থাৎ, কোরবানী করে উহাদিগকে), যাহা তাহাদিগকে আল্লাহ্ দান করিতেছেন কতক নির্দিষ্ট দিনে। অতঃপর (হে হাজীগণ,) তোমরা নিজেরাও খাও ইহা হইতে এবং গরীব অভাবীকেও খাওয়াও।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ২৭, ২৮)
وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّن شَعَائِرِ اللَّهِ لَكُمْ فِيهَا خَيْرٌ ۖ فَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ ۖ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ ۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
“এবং কোরবানীর উটসমূহকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর (অর্থাৎ, আমার) নিদর্শন সমূহের অন্তর্গত করিয়াছি। তোমাদের জন্য নিহিত রহিয়াছে উহাতে কল্যাণ। সুতরাং তোমরা উহাদের উপর আল্লাহ্র নাম স্মরণ কর দাঁড় করাইয়া ; অতঃপর উহারা যখন কাত হইয়া (যমীনে) পড়িবে, তখন তোমরাও উহার কিছু অংশ খাইবে এবং অযাজ্ঞাকারী, যাজ্ঞাকারী সকল অভাবীকেও খাওয়াইবে। এইরূপে আমি উহাদিগকে আয়ত্তাধীন করিয়া দিয়াছি তোমাদের, যাহাতে তোমরা আল্লাহর শোকর আদায় কর।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৬)
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ - الكوثر
“নিশ্চয় আমি আপনাকে বহু কল্যাণ দান করিয়াছি। অতএব, (উহার শুকরিয়ায়) আপনি নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।” (সূরা কাওসার)
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِّيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ
“এবং আমি নির্ধারণ করিয়াছি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানীর নিয়ম, যাহাতে তাহারা আল্লাহর (আমার) নাম স্মরণ করে গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুর উপরে।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৪)
প্রথম দুই আয়াতে মক্কায় হাজীদের কোরবানীর কথা বলা হইয়াছে এবং শেষ দুই আয়াতে হুযূর (ﷺ) ও মুসলমানদিগকে স্ব-স্ব স্থলে কোরবানী করার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। উপরন্তু শেষ আয়াতে ইহাও বলা হইয়াছে যে, কোরবানীর বিধান শুধু উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতিই নহে; বরং অন্যান্য উম্মতের প্রতিও প্রবর্তিত হইয়াছিল।
হাদীসে রহিয়াছেঃ
بأيها الناس على كل أهل بيت في كل عام أضحية - ابو داود والنسائي
“হে লোকসকল (জানিয়া রাখ)। প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে প্রত্যেক বছরই কোরবানী করা আবশ্যক।” (আবু দাউদ ও নাসায়ী)
من وجد سعة ولم يضح فلا يقربن مصلانا - ابن ماجة
“যে ব্যক্তি সামর্থ্য লাভ করিয়াছে অথচ কোরবানীর আয়োজন করে নাই, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটে না আসে।” (ইবনে মাজাহ্)
অধ্যায়ের অপরাপর হাদীসে দেখা যায়, রাসূলে করীম (ﷺ) বরাবরই কোরবানী করিয়াছেন, কখনও উহা ত্যাগ করেন নাই এবং সাহাবীগণও কোরবানী করিয়াছেন। ইহাতে সন্দেহাতীতরূপে প্রমাণিত হয় যে, কোরবানী শরীআতের একটি বিশেষ করণীয় অঙ্গ ও বাঞ্ছিত এবাদত। সুতরাং কোন মুসলমানের পক্ষেই ইহা ত্যাগ করা এবং ইহার অর্থ বণ্টন করার বিধান শরীআতে নাই । কেননা, রাসূলে করীম (ﷺ) এইরূপ করেন নাই, অথচ তাঁহাদের যুগেই ইহার জরুরত ছিল অধিক ; বরং তিনি কোরবানী করিয়াছেন এবং উহার গোশত ও চামড়া গরীবদের মধ্যে বণ্টন করিয়াছেন এবং করিতে বলিয়াছেন। আর সমগ্র দুনিয়ার মুসলমানরাও অদ্যাবধি ইহারই অনুসরণ করিয়া আসিতেছেন।
কোরবানী দ্বারা (ক) আল্লাহ্ তা'আলা যে এসকল পশুকে আমাদের কবলে করিয়া দিয়াছেন এবং উহাদের দ্বারা আমাদিগকে নানা উপকার লাভের সুযোগ দান করিয়াছেন তাহার শুকরিয়া আদায় করা হয়। (খ) এসকল পশুর অধিকার যে একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলারই, উহার কার্যত স্বীকৃতিদান করা হয়। অর্থাৎ, মুসলমানগণ বিশ্বাস করিয়া থাকে যে, আল্লাহ্ তা'আলাই হইলেন এই বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা ও সর্বময় অধিকারী এবং এসকল পশুও তাঁহারই। ইহা হইল তাহাদের বিশ্বাসগত স্বীকৃতি আর কোরবানী হইল ইহার কার্যগত স্বীকৃতি। (গ) আল্লাহ্ তা'আলার তওহীদের স্বীকৃতি দান করা হয়। কাফের-মুশরিকরা গায়রুল্লাহর অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত অপর দেব-দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করে আর মুসলমানগণ সমস্ত গায়রুল্লাহকে উপেক্ষা করিয়া একমাত্র আল্লাহর নামেই উহা উৎসর্গ করে। সুতরাং ইহা হইল এ ব্যাপারে তাহাদের তওহীদ বাদের স্বীকৃতিদানের নিদর্শন। (ঘ) আশরাফুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (ﷺ) এবং হযরত মুসা ও ঈসা (আঃ) প্রমুখ নবীগণের পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি রক্ষা করা হয়। তিনি তাহার প্রিয় পুত্র ইসমাঈলকে কোরবানী করার চেষ্টার মাধ্যমে ইহা প্রবর্তন করেন।
ইমাম আ'যম আবু হানীফার মতে কোরবানী ওয়াজিব। ইমাম মালেকেরও এই মত। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ ইবনে হাম্বলের মতে উহা সুন্নতে মোআক্কাদা। — অনুবাদক
কোরবানীর অর্থ—আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট পশু যবেহ করা। অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখের মধ্যে উট, গরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি গৃহপালিত হালাল চতুষ্পদ পশুকে আল্লাহর নাম লইয়া আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে যবেহ্ করা। মূলে এখানে 'উযহিয়া' শব্দ রহিয়াছে। ইহার অর্থ, আল্লাহর সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে যাহা যবেহ্ করা হয় তাহা ।
কোরবানীর নির্দেশে কোরআনে আল্লাহ্ পাক বলেনঃ
وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
“এবং তুমি ঘোষণা করিয়া দাও (হে ইবরাহীম) মানুষের মধ্যে হজ্জের। তাহারা আসিবে তোমার নিকট পায়ে হ্যাঁটিয়া এবং উটে চড়িয়া, যাহা আসিবে দূর-দূরান্তর হইতে—যাহাতে তাহারা শামিল হয় তাহাদের লাভের ব্যাপারসমূহে এবং স্মরণ করে আল্লাহর নাম গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুর উপরে (অর্থাৎ, কোরবানী করে উহাদিগকে), যাহা তাহাদিগকে আল্লাহ্ দান করিতেছেন কতক নির্দিষ্ট দিনে। অতঃপর (হে হাজীগণ,) তোমরা নিজেরাও খাও ইহা হইতে এবং গরীব অভাবীকেও খাওয়াও।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ২৭, ২৮)
وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّن شَعَائِرِ اللَّهِ لَكُمْ فِيهَا خَيْرٌ ۖ فَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ ۖ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ ۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
“এবং কোরবানীর উটসমূহকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর (অর্থাৎ, আমার) নিদর্শন সমূহের অন্তর্গত করিয়াছি। তোমাদের জন্য নিহিত রহিয়াছে উহাতে কল্যাণ। সুতরাং তোমরা উহাদের উপর আল্লাহ্র নাম স্মরণ কর দাঁড় করাইয়া ; অতঃপর উহারা যখন কাত হইয়া (যমীনে) পড়িবে, তখন তোমরাও উহার কিছু অংশ খাইবে এবং অযাজ্ঞাকারী, যাজ্ঞাকারী সকল অভাবীকেও খাওয়াইবে। এইরূপে আমি উহাদিগকে আয়ত্তাধীন করিয়া দিয়াছি তোমাদের, যাহাতে তোমরা আল্লাহর শোকর আদায় কর।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৬)
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ - الكوثر
“নিশ্চয় আমি আপনাকে বহু কল্যাণ দান করিয়াছি। অতএব, (উহার শুকরিয়ায়) আপনি নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।” (সূরা কাওসার)
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِّيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ
“এবং আমি নির্ধারণ করিয়াছি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানীর নিয়ম, যাহাতে তাহারা আল্লাহর (আমার) নাম স্মরণ করে গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুর উপরে।” (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৪)
প্রথম দুই আয়াতে মক্কায় হাজীদের কোরবানীর কথা বলা হইয়াছে এবং শেষ দুই আয়াতে হুযূর (ﷺ) ও মুসলমানদিগকে স্ব-স্ব স্থলে কোরবানী করার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। উপরন্তু শেষ আয়াতে ইহাও বলা হইয়াছে যে, কোরবানীর বিধান শুধু উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতিই নহে; বরং অন্যান্য উম্মতের প্রতিও প্রবর্তিত হইয়াছিল।
হাদীসে রহিয়াছেঃ
بأيها الناس على كل أهل بيت في كل عام أضحية - ابو داود والنسائي
“হে লোকসকল (জানিয়া রাখ)। প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে প্রত্যেক বছরই কোরবানী করা আবশ্যক।” (আবু দাউদ ও নাসায়ী)
من وجد سعة ولم يضح فلا يقربن مصلانا - ابن ماجة
“যে ব্যক্তি সামর্থ্য লাভ করিয়াছে অথচ কোরবানীর আয়োজন করে নাই, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটে না আসে।” (ইবনে মাজাহ্)
অধ্যায়ের অপরাপর হাদীসে দেখা যায়, রাসূলে করীম (ﷺ) বরাবরই কোরবানী করিয়াছেন, কখনও উহা ত্যাগ করেন নাই এবং সাহাবীগণও কোরবানী করিয়াছেন। ইহাতে সন্দেহাতীতরূপে প্রমাণিত হয় যে, কোরবানী শরীআতের একটি বিশেষ করণীয় অঙ্গ ও বাঞ্ছিত এবাদত। সুতরাং কোন মুসলমানের পক্ষেই ইহা ত্যাগ করা এবং ইহার অর্থ বণ্টন করার বিধান শরীআতে নাই । কেননা, রাসূলে করীম (ﷺ) এইরূপ করেন নাই, অথচ তাঁহাদের যুগেই ইহার জরুরত ছিল অধিক ; বরং তিনি কোরবানী করিয়াছেন এবং উহার গোশত ও চামড়া গরীবদের মধ্যে বণ্টন করিয়াছেন এবং করিতে বলিয়াছেন। আর সমগ্র দুনিয়ার মুসলমানরাও অদ্যাবধি ইহারই অনুসরণ করিয়া আসিতেছেন।
কোরবানী দ্বারা (ক) আল্লাহ্ তা'আলা যে এসকল পশুকে আমাদের কবলে করিয়া দিয়াছেন এবং উহাদের দ্বারা আমাদিগকে নানা উপকার লাভের সুযোগ দান করিয়াছেন তাহার শুকরিয়া আদায় করা হয়। (খ) এসকল পশুর অধিকার যে একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলারই, উহার কার্যত স্বীকৃতিদান করা হয়। অর্থাৎ, মুসলমানগণ বিশ্বাস করিয়া থাকে যে, আল্লাহ্ তা'আলাই হইলেন এই বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা ও সর্বময় অধিকারী এবং এসকল পশুও তাঁহারই। ইহা হইল তাহাদের বিশ্বাসগত স্বীকৃতি আর কোরবানী হইল ইহার কার্যগত স্বীকৃতি। (গ) আল্লাহ্ তা'আলার তওহীদের স্বীকৃতি দান করা হয়। কাফের-মুশরিকরা গায়রুল্লাহর অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত অপর দেব-দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করে আর মুসলমানগণ সমস্ত গায়রুল্লাহকে উপেক্ষা করিয়া একমাত্র আল্লাহর নামেই উহা উৎসর্গ করে। সুতরাং ইহা হইল এ ব্যাপারে তাহাদের তওহীদ বাদের স্বীকৃতিদানের নিদর্শন। (ঘ) আশরাফুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (ﷺ) এবং হযরত মুসা ও ঈসা (আঃ) প্রমুখ নবীগণের পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি রক্ষা করা হয়। তিনি তাহার প্রিয় পুত্র ইসমাঈলকে কোরবানী করার চেষ্টার মাধ্যমে ইহা প্রবর্তন করেন।
ইমাম আ'যম আবু হানীফার মতে কোরবানী ওয়াজিব। ইমাম মালেকেরও এই মত। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ ইবনে হাম্বলের মতে উহা সুন্নতে মোআক্কাদা। — অনুবাদক
১৪৫৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ঈদে ধূসর রং্গের শিংদার দুইটি দুম্বা কোরবানী করিলেন। তিনি উহাদেরকে আপন হাতে যবাহ্ করিলেন এবং (যবাহ্ করার সময় 'বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' বলিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তাঁহাকে (যবাহের সময়) উহাদের পাঁজরের উপর নিজের পা রাখিতে এবং 'বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' বলিতে দেখিয়াছি। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান