মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৪৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৫। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, কোরবানীতে কোন্ রকমের পশু হইতে বাঁচা উচিত? হুযূর (ﷺ) আপন হাত দ্বারা ইশারা করিয়া বলিলেন, চারি রকমের পশু হইতে— খোঁড়া—যাহার খোঁড়ামি সুস্পষ্ট, কানা—যাহার কানামি সুস্পষ্ট, রুগ্ন—যাহার রোগ সুস্পষ্ট এবং দুর্বল—যাহার হাড়ের মজ্জা নাই। (অর্থাৎ, শুকাইয়া গিয়াছে।) — মালেক, আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৬। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শিংওয়ালা খুব বলবান দুম্বা দ্বারা কোরবানী করিতেন যাহার চোখ কালো, মুখ কালো এবং পা কালো (আরবে এইরূপ দুম্বাকে খুব সুন্দর বলিয়া মনে করা হয়)। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৭। বনী সুলাইম গোত্রীয় সাহাবী হযরত মুজাশে' (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিতেন, ছয় মাস পূর্ণ ভেড়া এক বছরী ছাগলের স্থান পূর্ণ করে। –আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, ছয় মাস পূর্ণ ভেড়া কি উত্তম কোরবানী। (অর্থাৎ, উহা দ্বারা কোরবানী জায়েয।) — তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত এক সফরে ছিলাম। তখন কোরবানী উপস্থিত হইল আর আমরা এক গরুতে সাত জন এবং এক উটে দশ জন করিয়া শরীক হইলাম। —তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্ । তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৭০

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন কোরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোন কাজ করিতে পারে না যাহা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করা (অর্থাৎ, কোরবানী করা) অপেক্ষা প্রিয়তর হইতে পারে। কোরবানীর পশুসকল—উহাদের শিং, উহাদের পশম ও উহাদের খুরসহ কেয়ামতের দিন (কোরবানীকারীর পাল্লায়) আসিয়া হাযির হইবে। এবং কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌঁছিয়া যায়। সুতরাং তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কোরবানী করিবে। — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৭১

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭১। সহযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নাই যাহাতে আল্লাহরএবাদত করা তাঁহার প্রিয়তর হইতে পারে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন অপেক্ষা। উহার প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার সমান এবং উহার প্রত্যেক রাত্রির নামায কদরের রাত্রির নামাযের সমান। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটির সনদ যয়ীফ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৭২

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭২। হযরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, এক কোরবানীর ঈদে কোরবানীর তারিখে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত উপস্থিত ছিলাম। (দেখিলাম,) তিনি ইহার অধিক কিছু করিলেন না—নামায পড়িলেন এবং সালাম ফিরাইয়া নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিলেন। এমন সময় কতক কোরবানীর গোশত দেখিলেন যাহা তাঁহার নামায হইতে অবসর গ্রহণ করার পূর্বেই যবাহ্ করা হইয়াছিল। তখন তিনি বলিলেনঃ যে নামায পড়ার পূর্বে অথবা 'আমরা নামায পড়ার পূর্বে (রাবীর সন্দেহ) কোরবানীর পশু যবাহ্ করিয়াছে সে যেন উহার স্থলে অপর একটি যবাহ্ করে।
অপর এক বর্ণনায় আছে, জুনদুব বলেন, নবী করীম (ﷺ) কোরবানীর তারিখে নামায পড়িলেন, অতঃপর খোতবা দান করিলেন, তৎপর কোরবানীর পশু যবাহ্ করিলেন এবং বলিলেন, যে নামায পড়ার পূর্বে কোরবানীর পশু যবাহ্ করিয়াছে, সে যেন উহার স্থলে অপর একটি যবাহ্ করে। আর যে যবাহ্ করে নাই সে যেন আল্লাহর নামে যবাহ্ করে। —মোত্তাঃ
অপর এক বর্ণনায় আছে, জুনদুব বলেন, নবী করীম (ﷺ) কোরবানীর তারিখে নামায পড়িলেন, অতঃপর খোতবা দান করিলেন, তৎপর কোরবানীর পশু যবাহ্ করিলেন এবং বলিলেন, যে নামায পড়ার পূর্বে কোরবানীর পশু যবাহ্ করিয়াছে, সে যেন উহার স্থলে অপর একটি যবাহ্ করে। আর যে যবাহ্ করে নাই সে যেন আল্লাহর নামে যবাহ্ করে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান