মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৪৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪৬। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমি ঈদের দিনে নবী করীম (ﷺ)-এর সহিত নামাযে উপস্থিত ছিলাম। দেখিলাম, তিনি খোতবার পূর্বে নামায আরম্ভ করিলেন আযান ও একামত ছাড়া এবং যখন নামায শেষ করিলেন বেলালের গায়ে ভর দিয়া দাঁড়াইলেন। অতঃপর আল্লাহর মহিমা ও তাঁহার প্রশস্তি বর্ণনা করিলেন। তৎপর লোকদিগকে উপদেশ দিলেন। তাহাদিগকে (পরকালের কথা) স্মরণ করাইলেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করিলেন। অতঃপর মহিলাদের দিকে অগ্রসর হইলেন আর তখন তাঁহার সাথে ছিলেন বেলাল, তাহাদিগকে তিনি খোদাভীতির উপদেশ দিলেন। কিছু নসীহত করিলেন এবং (আখেরাতের কথা স্মরণ করাইলেন। —নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন ঈদের দিনে এক রাস্তায় বাহির হইতেন অপর রাস্তায় ফিরিতেন। – তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক ঈদের দিনে তাঁহাদের সেখানে বৃষ্টি হইল। অতএব, নবী করীম (ﷺ) তাঁহাদের লইয়া ঈদের নামায মসজিদে পড়িলেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪৯। হযরত আবুল হুওয়াইরিস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নাজরানে অবস্থিত (তাঁহার কর্মচারী) আমর ইবনে হাযমের নিকট লিখিয়াছিলেন, বকরা ঈদ তাড়াতাড়ি করিবে আর রোযার ঈদ গৌণে করিবে এবং লোকদের ওয়ায়-নসীহত করিবে। —শাফেয়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৫০

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৫০। হযরত আবু ওমায়র ইবনে আনাস (রাঃ) তাঁহার এক চাচা হইতে বর্ণনা করেন, যিনি নবী করীম (ﷺ)-এর সাহাবীদের অন্তর্গত ছিলেন। একবার নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট একদল আরোহী আসিয়া সাক্ষ্য দিল যে, তাহারা গতদিন (শাওয়ালের) নূতন চাঁদ দেখিয়াছে। হুযূর (ﷺ) তাহাদের নির্দেশ দিলেন তাহারা যেন রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলে এবং পরের দিন যখন সকাল হইবে, ঈদগাহের দিকে রওয়ানা হয়। —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৫১

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৫১। (তাবে' তাবেয়ী) ইবনে জুরাইজ (রঃ) বলেন, তাবেয়ী আতা আমার নিকট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস ও হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তাঁহারা উভয়ে বলিয়াছেন, (হুযুরের যমানায়) না রোযার ঈদে আযান দেওয়া হইত, না কোরবানীর ঈদে। ইবনে জুরাইজ বলেন, ইহার কিছুদিন পর আমি আতাকে আবার জিজ্ঞাসা করিলাম। তখন আতা বলিলেন, আমাকে জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলিয়াছেন, রোযার ঈদের নামাযের জন্য আযান নাই যখন ইমাম (নামাযের জন্য) বাহির হয়; আর না যখন ইহার পর (খোতবার জন্য) বাহির হয় এবং না আছে উহার জন্য একামত আর না আছে নেদা, আর না অন্যকিছু। মোটকথা, সে দিন নেদা একামত কিছুই নাই। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করিলেন এমন একটি শিংদার দুম্বা আনিতে যাহা কালোতে হ্যাঁটে, কালোতে শোয় ও কালোতে দেখে (অর্থাৎ, যাহার পা, পেট ও চোখ কালো), যাহাতে তিনি উহা কোরবানী করিতে পারেন, সুতরাং তাহার জন্য এরূপ একটি দুম্বা আনা হইল। তখন তিনি বলিলেন: হে আয়েশা ছুরিটি দাও, অতঃপর বলিলেন, পাথরে উহাকে ধারাল কর। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি তাহা করিলাম। অতঃপর তিনি উহা গ্রহণ করিলেন এবং দুম্বাকে ধরিলেন, তৎপর উহাকে পার্শ্বের উপর শোয়াইলেন এবং যবাহ্ করিতে যাইয়া বলিলেন, 'বিসমিল্লাহ', হে আল্লাহ্। তুমি ইহা মুহাম্মাদ, মুহাম্মাদের পরিবার এবং মুহাম্মাদের উম্মতগণের পক্ষ হইতে কবুল কর। অতঃপর উহা দ্বারা তিনি লোকদের সকালের খানা খাওয়াইলেন। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৫। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : 'মুসিন্না' ছাড়া যবাহ্ করিবে না, কিন্তু যদি 'মুসিন্না' যোগাড় করা তোমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়, তবে মেষের 'জাযআ' যবাহ্ করিতে পার। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৫৬। হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার সাহাবীদের মধ্যে কোরবানীর নিমিত্ত বণ্টনের জন্য তাহাকে (উকবাকে) কতকগুলি ছাগল-ভেড়া দিলেন। বণ্টনের পর একটি এক বছরের বাচ্ছা ছাগল বাকী রহিল। তিনি তাহা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উল্লেখ করিলেন। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, উহা দ্বারা তুমি নিজে কোরবানী কর। অপর বর্ণনামতে, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার ভাগে তো মাত্র একটি বাচ্চা ছাগল রহিল। হুযূর (ছাঃ) বলিলেন, তুমি উহা দ্বারাই কোরবানী কর। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান