মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৪২১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২১। তাবেয়ী ইয়াযীদ ইবনে রূমান তাবেয়ী সালেহ ইবনে খাওয়্যাত হইতে এবং তিনি এমন এক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন, যিনি 'যাতুর রেকা' যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত 'সালাতুল খওফ' পড়িয়াছিলেন। তিনি বলেন, একদল হুযুরের সহিত (নামাযের) ছফ বাধিয়া ছিল এবং অপর দল শত্রুদের সম্মুখীন ছিল। হুযূর (ছাঃ) তাহার সহিত যাহারা দাড়াইয়াছিল তাহাদের লইয়া এক রাকআত পড়িলেন, অতঃপর দাঁড়াইয়া রহিলেন। আর ইহারা তাহাদের নিজেদের নামায পূর্ণ করিল এবং ফিরিয়া যাইয়া শত্রুর সম্মুখে কাতারবন্দী হইল। অতঃপর দ্বিতীয় দল আসিল এবং হুযূর (ছাঃ) তাহাদের লইয়া নিজের নামাযের যে রাকআত বাকী ছিল তাহা পড়িলেন। অতঃপর বসিয়া রহিলেন আর এই দল তাহাদের বাকী রাকআত পূর্ণ করিল। অতঃপর হুযুর ইহাদের লইয়া সালাম ফিরিলেন। ---মোত্তা

কিন্তু বোখারী হাদীসটি অন্য সূত্রে কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ হইতে, তিনি সালেহ্ ইবনে খাওয়্যাত হইতে, তিনি সাহল ইবনে আবু হাসনা হইতে এবং তিনি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪২২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত অগ্রসর হইতে হইতে যখন 'যাতুর রেকা' পর্যন্ত পৌঁছিলাম এবং তথায় যখন একটি ছায়াদার গাছের নিকট উপস্থিত হইলাম, উহা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের (বিশ্রামের) জন্য ছাড়িয়া দিলাম। তিনি বলেন, এ সময় মুশরিকদের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি আসিল এবং দেখিল, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরবারি গাছের সহিত ঝুলান রহিয়াছে, তখন সে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরবারি খানা লইয়া তাড়াতাড়ি উহা কোষমুক্ত করিল এবং রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিল, তুমি কি আমায় ভয় কর না? হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, কখনও না। সে বলিল, এখন তোমাকে আমা হইতে কে বাধা দিবে? হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, আল্লাহ্ আমাকে তোমা হইতে বাধা দিবেন। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তাহাকে ভয় দেখাইলেন, ফলে সে তরবারি কোষবদ্ধ করিল এবং পুনঃ ঝুলাইয়া রাখিল। পুনরায় জাবের (রাঃ) বলেন, এসময় নামাযের আযান দেওয়া হইল এবং হুযূর (ﷺ) এক দলকে লইয়া দুই রাকআত নামায পড়িলেন। অতঃপর এই দল পিছনে সরিয়া গেল, হুযুর (ﷺ) অপর দলকে লইয়া দুই রাকআত পড়িলেন। জাবের (রাঃ) বলেন, ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায চারি রাকআত হইল এবং লোকের হইল দুই রাকআত। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৪২৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২৩। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের লইয়া 'সালাতুল খাওফ পড়িলেন। আমরা তাহার পিছনে দুইটি ছফ করিলাম। শত্রুরা তখন আমাদের এবং কেবলার মধ্যস্থলে ছিল (অর্থাৎ, কেবলার দিকে ছিল)। সুতরাং নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তকবীরে তাহরীমা বলিলেন এবং আমরাও সকলে তকবীর বলিলাম । অতঃপর হুযূর (ﷺ) রুকূ করিলেন এবং আমরাও সকলে (অর্থাৎ, উভয় ছফ) রুকু করিলাম। তৎপর রুকু হইতে তিনি তাহার শির উঠাইলেন এবং আমরাও সকলে উঠাইলাম, অতঃপর তিনি এবং যে ছফ তাহার নিকটে ছিল সজদায় গেলেন আর পিছনের ছফ শত্রুর মোকাবেলায় দাড়াইয়া রহিল। যখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সজদা সম্পন্ন করিলেন এবং তাহার নিকটের ছফ (সজদা হইতে উঠিয়া দাড়াইল, পিছনের ছফ সজদায় নত হইল, অতঃপর তাহারা উঠিয়া দাড়াইল। তৎপর পিছনের ছয় সম্মুখে আসিল এবং সম্মুখের ছফ পিছনে সরিয়া গেল। অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু করিলেন এবং আমরাও সকলে (অর্থাৎ, উভয় হাফ) রুকু করিলাম। অতঃপর তিনি রুকু হইতে শির উঠাইলেন এবং আমরাও সকলে উঠাইলাম। অতঃপর তিনি এবং তাহার নিকটে যে ছাফ ছিল অর্থাৎ, প্রথম রাকআতে যাহারা পিছনে ছিল সম্প্রদায় নত হইলেন আর পরবর্তী ছয় শত্রুর মোকাবেলায় দাড়াইয়া রহিল। যখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যে ছফ তাহার নিকটে ছিল সজদা সম্পন্ন করিলেন, পরবর্তী ছফ সম্প্রদায় নত হইল এবং সজদা করিল, অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরাইলেন এবং আমরাও সকলে সালাম ফিরাইলাম। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান