মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৩৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৮৭। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং আপন উত্তম পোশাক পরিধান করে এবং সুগন্ধি লাগায় যদি তাহার নিকট থাকে, অতঃপর জুমুআয় যায় এবং (সম্মুখে যাইবার জন্য) মানুষের ঘাড়ের উপর লাফ দেয় না। অতঃপর তাহার পক্ষে যাহা সম্ভব নফল পড়ে, তৎপর যখন তাহার ইমাম (খোতবার জন্য) বাহির হন, নীরব বসিয়া থাকে যাবৎ না তিনি আপন নামায হইতে অবসর গ্রহণ করেন—ইহা তাহার এ জুমুআ ও পূর্ব জুমুআর মধ্যে যাহা ছিল উহার জন্য কাফফারাস্বরূপ হইবে। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৮৮। হযরত আওস ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে (জামা-কাপড়) ধুইবে ও গোসল করিবে, অতঃপর সকাল সকাল প্রস্তুত হইবে ও সকালে মসজিদে যাইবে এবং সওয়ার না হইয়া পায়ে হ্যাঁটিয়া যাইবে আর মসজিদে যাইয়া ইমামের নিকটে বসিবে, অতঃপর (চুপ করিয়া) তাঁহার খোতবা শুনিবে এবং অনর্থ কিছু করিবে না, তাহার প্রত্যেক কদমে তাহার এক বৎসরের আমলের সওয়াব হইবে। অর্থাৎ, এক বৎসরের দিনে রোযা ও রাত্রিতে নামাযের সওয়াব হইবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৮৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের কাহারও পক্ষে ইহা আপত্তির বিষয় নহে যে, যদি তাহার সামর্থ্য থাকে জুমুআর দিনের জন্য এক জোড়া পৃথক কাপড় রাখিবে কাজের কাপড় ব্যতীত ।—ইবনে মাজাহ্ । ইমাম মালেক ইয়াহুয়া ইবনে সায়ীদ আনসারী তাবেয়ী হইতে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৯০

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯০। ইমাম মালিক ইয়াহয়া ইবনু সা’ঈদ আল আনসারী (রাঃ)হতে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৯১

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯১। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (প্রথম হইতেই) খোতবায় উপস্থিত হইবে এবং ইমামের নিকটে বসিবে। কেননা, মানুষ বরাবর (উত্তম কাজ হইতে) পিছনে সরিতে থাকে, ফলে বেহেস্ত দানেও তাহাকে পিছনে করা হয়, যদিও সে বেহেশতে যাইবে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৯২

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯২। হযরত মুআয ইবনে আনাস জুহানী তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরশাদ করিয়াছেনঃ জুমুআর দিনে যে ব্যক্তি লোকের ঘাড়ে লাফাইয়া সম্মুখে যাইবার চেষ্টা করে, (কেয়ামতের দিন) তাহাকে জাহান্নামের পুলস্বরূপ করা হইবে। হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, ইহা গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৩। হযরত মুআয ইবনে আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন জুমুআর দিনে ইমামের খোতবাকালে দুই হাত দ্বারা নালা জড়াইয়া ধরিয়া বসিতে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জুমুআর সময় তোমাদের কেহ যখন তন্দ্রায় অভিভূত হয়, তখন সে যেন নিজের সেই স্থান হইতে সরিয়া যায়। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান