মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নামায দুই রাকআত করিয়াই ফরয হইয়াছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মদীনায় হিজরত করেন। আর নামায চারি রাকআত করিয়া ফরয হয়, তবে সফরের নামায প্রথম নিয়মে দুই রাকআতেই থাকিয়া যায়।
তাবেয়ী ইবনে শেহাব যুহরী (রঃ) বলেন, আমি (আমার শায়খ ও আয়েশার ভগ্নী-পুত্র) ওরওয়াকে প্রশ্ন করিলাম, তাহা হইলে হযরত আয়েশা (রাঃ) কেন সফরে চারি রাকআত পড়িতেন ? উত্তরে ওরওয়া বলেন, তিনি ইহার একটা তাবীল করিতেন, যেভাবে হযরত ওসমান ইহার তাবীল করিতেন। —মোত্তাঃ
তাবেয়ী ইবনে শেহাব যুহরী (রঃ) বলেন, আমি (আমার শায়খ ও আয়েশার ভগ্নী-পুত্র) ওরওয়াকে প্রশ্ন করিলাম, তাহা হইলে হযরত আয়েশা (রাঃ) কেন সফরে চারি রাকআত পড়িতেন ? উত্তরে ওরওয়া বলেন, তিনি ইহার একটা তাবীল করিতেন, যেভাবে হযরত ওসমান ইহার তাবীল করিতেন। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের নবী (ﷺ)-এর মাধ্যমে হযরে নামায চারি রাকআতই ফরয করিয়াছেন এবং সফরে দুই রাকআত। আর সফরের সময় এক এক রাকআত। (সন্ত্রাসের বিবরণ পরে আসিবে।) — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৫০

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫০। হযরত ইবনে আব্বাস ও ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সফরের নামায দুই রাকআত পড়ার নিয়ম প্রবর্তন করিয়াছেন এবং এই দুই রাকআতই হইল (সফরের) পূর্ণ নামায, কসর নহে। এতদ্ব্যতীত সফরে বিতির পড়াও রাসূলুল্লাহর নিয়ম। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৫১

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫১। ইমাম মালেকের নিকট এই কথা পৌঁছিয়াছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) মক্কা ও তায়েফের মধ্যকার ব্যবধানে, মক্কা ও উসফানের ব্যবধানে এবং মক্কা ও জিদ্দার ব্যবধানে নামায কসর পড়িতেন। ইমাম মালেক বলেন, ইহা চারি ডাক পরিমাণ (প্রায় ৪৮ মাইল)। — মোয়াত্তা

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৫২

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫২। হযরত বারা (রাঃ) বলেন, আমি ১৮টি সফরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গী ছিলাম। কোন সফরেই আমি তাহাকে সূর্য ঢলিয়া যাওয়ার পর এবং যোহরের পূর্বে দুই রাকআত (নফল) নামায ছাড়িয়া দিতে দেখি নাই। – আবু দাউদ ও তিরমিযী। কিন্তু তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৫৩। তাবেয়ী নাফে' বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) তাঁহার পুত্র ওবায়দুল্লাহকে সফরে নফল নামায পড়িতে দেখিতেন, কিন্তু তাঁহাকে বাধা দিতেন না। —মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৪২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৫৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমরা দুনিয়াতে আগমনে পরবর্তীরাই আখেরাতে অগ্রবর্তী। পার্থক্য এই যে, তাহারা আমাদের পূর্বে (আল্লাহর) কিতাব লাভ করিয়াছে, আর আমরা উহা তাহাদের পরে লাভ করিয়াছি। অতঃপর জানিয়া রাখিবে যে, ইহাই তাহাদের (ইহুদী-নাসারাদের) 'বার'; যাহা তাহাদের প্রতি নির্ধারিত করা হইয়াছিল অর্থাৎ, জুমুআবার কিন্তু তাহারা উহা সম্পর্কে মতভেদ করিল আর আল্লাহ্ আমাদিগকে উহার সঠিক সন্ধান দিলেন। অতএব, এ ব্যাপারে লোক আমাদের পিছনে হইল, ইহুদীরা পরের দিন (শনিবার)-কে এবং নাসারারা উহার পরের দিন (রবিবার)-কে গ্রহণ করিল। মোয়াত্তাঃ
কিন্তু মুসলিমের এক রেওয়ায়তে সেই আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুযূর (ﷺ) এরূপ বলিয়াছেন, কেয়ামতের দিন আমরা পরবর্তীরাই প্রথম হইব। অর্থাৎ, যাহারা বেহেশতে গমন করিবে তাহাদের মধ্যে আমরাই প্রথম হইব। অতঃপর (আবু হুরায়রা) 'পার্থক্য এই যে, বাক্য হইতে শেষ পর্যন্ত পূর্ববৎ বর্ণনা করেন।
কিন্তু মুসলিমের এক রেওয়ায়তে সেই আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুযূর (ﷺ) এরূপ বলিয়াছেন, কেয়ামতের দিন আমরা পরবর্তীরাই প্রথম হইব। অর্থাৎ, যাহারা বেহেশতে গমন করিবে তাহাদের মধ্যে আমরাই প্রথম হইব। অতঃপর (আবু হুরায়রা) 'পার্থক্য এই যে, বাক্য হইতে শেষ পর্যন্ত পূর্ববৎ বর্ণনা করেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান