মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৩৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত মদীনা হইতে মক্কা রওয়ানা হইয়াছিলাম। (দেখিলাম) তিনি ফরয নামায দুই রাকআত দুই রাকআত পড়িলেন, যাবৎ না আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করিলাম। এসময় আনাসকে কেহ জিজ্ঞাসা করিল, আপনারা কি তথায় কিছুদিন অবস্থান (একামত) করিয়াছিলেন? তিনি বলিলেন, দশ দিন অবস্থান করিয়াছিলাম। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৩৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক সফর করিলেন এবং তথায় ১৯ দিন অবস্থান করিলেন, অথচ নামায পড়িলেন দুই রাকআত দুই রাকআত। ইবনে আব্বাস বলেন, সুতরাং আমরা আমাদের এখান (মদীনা) ও মক্কার পথের পরিমাণ ১৯ দিন সময় (অবস্থানে) নামায দুই রাকআত দুই রাকআত পড়িয়া থাকি। অবশ্য যখন ইহা হইতে অধিক অবস্থান করি চারি রাকআতই পড়ি। – বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৩৮। তাবেয়ী হযরত হাফস ইবনে আসেম (ইবনে ওমর ইবনুল খাত্তাব) বলেন, আমি মক্কার পথে (আমার চাচা আব্দুল্লাহ্) ইবনে ওমরের সহচর ছিলাম। একদা তিনি আমাদের যোহরের নামায দুই রাকআত পড়াইলেন ; অতঃপর নিজের আবাসে আসিলেন দেখিলেন, কতক লোক দাড়াইয়া আছে। জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহারা কি করিতেছে? আমি বলিলাম, তাহারা নফল পড়িতেছে। তিনি বলিলেন, যদি (সফরে) নফল পড়িতেই পারিতাম, তাহা হইলে ফরযকেই পূর্ণ করিতাম। আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচর ছিলাম, দেখিয়াছি—তিনি সফরে দুই রাকআতের অধিক কিছু পড়েন নাই। হযরত আবু বকর, ওমর এবং ওসমান গনীরও আমি সহচর ছিলাম, তাহারাও সফরে দুই রাকআতের অধিক কিছু পড়েন নাই। —মোত্তাঃ ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৩৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর ও আছরের নামায একত্রে পড়িতেন, যখন তিনি সফর করিতে থাকিতেন। এইরূপ তিনি মাগরিব ও এশাকেও একত্রে পড়িতেন। (ব্যাখ্যা পরে আসিতেছে।) — বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৪০

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ফরয ব্যতীত রাতের নামায আপন সওয়ারীর উপরে ইশারার সহিত পড়িতেন, যে দিকে সওয়ারী তাহাকে লইয়া চলিত। এইরূপে তিনি বিতিরও সওয়ারীর উপরই পড়িতেন। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৪১

পরিচ্ছেদঃ ৪১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকল, রকমই করিয়াছেন, কসরও করিয়াছেন এবং পূর্ণও পড়িয়াছেন। —শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৪২

পরিচ্ছেদঃ ৪১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৪২। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-এর সহিত যুদ্ধ করিয়াছি এবং তাঁহার সহিত মক্কা বিজয় অভিযানেও হাযির রহিয়াছি। তিনি মক্কায় ১৮ রাত অবস্থান করিয়াছিলেন। সে সময় তিনি দুই রাকআত ছাড়া (ফরয) নামায পড়িতেন না। তিনি মুকীমদিগকে বলিয়া দিতেন, হে শহরবাসীগণ, তোমরা (উঠিয়া) চারি রাকআত পূর্ণ কর। আমরা মুসাফির। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান