মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৩৩৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত।

কোরআনে রহিয়াছেঃ

وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ

“যখন তোমরা যমীনে সফর করিবে, তখন তোমাদের পক্ষে নামায কসর করিতে কোন আপত্তি নাই।” (সূরা নেসা, আয়াত-১০১ )
‘সফর' অর্থ, পথ অতিক্রম করা, ভ্রমণ করা, পর্যটন করা। মুসাফির অর্থ, পথ অতিক্রমকারী, ভ্রমণকারী, পর্যটক। শরীঅতে ইহার অর্থ, কমপক্ষে এক নির্দিষ্ট সময়ের পথ অতিক্রম করার উদ্দেশ্যে কাহারও আপন বাসস্থান এলাকা হইতে বাহির হওয়া (যদ্দ্বারা তাহার পক্ষে শরীআতের কতক আকাম পরিবর্তিত হইয়া যায়)। ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) এক হাদীসের মর্মানুযায়ী কমপক্ষে তিন দিনের পথ বলেন। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) দুই দিনের, ইমাম মালেক (রঃ) ৪৮ মাইল নির্দেশ করিয়াছেন।
তিন দিনের পথ বলিতে সমভূমিতে উট সওয়ারীযোগে এবং পাহাড়ে পদব্রজে যে পরিমাণ পথ অতিক্রম করা যায়, তাহাকে বুঝায়। পানিতে তিন দিনের পথ বলিতে মধ্যম বাতাসে তিন দিনে নৌকাযোগে যাহা অতিক্রম করা যায়।
মুসাফিরের পক্ষে নামায-রোযার কতিপয় আকামের ব্যাপারে সাধারণ নিয়মের কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটে। যথা—
(ক) ফরয নামায চারি রাকআতের স্থলে দুই রাকআত পড়া, ইহাকে ‘কসর' বলে। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এক হাদীসের মর্মানুযায়ী 'কসর' করাকে ওয়াজিব বলেন; ‘কসর' না করিলে সে গোনাগার হইবে, যদিও তাহার নামায হইয়া যাইবে। ইমাম শাফেয়ীর মতে 'কসর' করা ‘রোখসত' অর্থাৎ জায়েয। 'কসর' না করিলে সে গোনাহগার হইবে না। কিন্তু 'কসর' না করা 'আযীমত' অর্থাৎ, আসল। ইহাতে সওয়াব বেশী হইবে।
(খ) দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে পড়া। মুসাফির যোহর ও আছর এবং মাগরিব ও এশার নামায একত্রে পড়িতে পারে। (বিস্তারিত বিবরণ পরে আসিবে।)
(গ) নফল নামায সওয়ারীর উপরে পড়া। মুসাফির নফল নামায সওয়ারীর উপরে বসিয়া পড়িতে পারে।
(ঘ) কেবলা ছাড়া অপর দিকে ফিরিয়া নামায পড়া। সওয়ারী যে দিকে চলে সেদিকে ফিরিয়াই মুসাফির নফল নামায পড়িতে পারে।
(ঙ) রোযা ভাঙ্গা। মুসাফির সফরে রোযা না রাখিয়া উহা পরে রাখিতে পারে।

মুসাফির কোথাও অবস্থানের ইচ্ছা করিলে সে 'মুকীম' হইয়া যায়। মুকীমের পক্ষে ‘কসর' করা জায়েয নহে। ইমাম শাফেয়ীর মতে চারি দিনের আর ইমাম আবু হানীফার মতে ১৫ দিনের নিয়ত করিলে মুসাফির মুকীম হয়। তাঁহার মতে অবস্থানের নিয়ত না করিয়া দীর্ঘ দিন থাকিলেও মুকীম হয় না।
১৩৩৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের নামায মদীনায় চারি রাকআত পড়িয়াছিলেন। আর আছরের নামায ফুলহুলায়ফায় দুই রাকআত পড়িয়াছিলেন। ---মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান