মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৩২৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সালাত
১৩২৬। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকালে উঠিয়া বেলালকে ডাকিলেন এবং বলিলেনঃ (বেলাল) কি কাজের দরুন তুমি আমার পূর্বে বেহেশতে পৌঁছিলে? – আমি যখনই বেহেশতে পৌঁছিয়াছি আমার সম্মুখে তোমার জুতার শব্দ শুনিয়াছি। তখন বেলাল বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি যখনই আযান দিয়াছি তখনই দুই রাকআত নফল নামায পড়িয়াছি এবং যখনই আমার ওযূ গিয়াছে তখনই আমি ওযু করিয়াছি এবং মনে করিয়াছি, আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমার দুই রাকআত নামায পড়িতে হইবে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, এই দুই কাজের দরুনই। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সালাত
সালাতুল হাজতঃ
১৩২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ্র নিকট অথবা কোন মানুষের নিকট কোন হাজত রহিয়াছে, সে যেন প্রথমে ওযূ করে এবং উহা উত্তমরূপে করে, অতঃপর দুই রাকআত নামায পড়ে, তৎপর আল্লাহর কিছু প্রশংসা করে এবং নবী করীম (ﷺ)-এর প্রতি কিছু দরূদ ভেজে, অতঃপর যেন বলে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি ধৈর্যশীল, মহামহিম। আমি মহান আরশের প্রভু—প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, প্রভু। (হে প্রভু!) আমি চাইতেছি (তোমার নিকট) তোমার রহমত আকর্ষণের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের সংকল্পরাজি, প্রত্যেক সৎ কাজের সার এবং অসৎ কাজ হইতে শান্তি। হে আরহামুর রাহিমীন! তুমি আমার কোন অপরাধকে ছাড়িও না ক্ষমা করা ব্যতীত, কোন বিপদকে রাখিও না বিদূরিত করা ছাড়া এবং কোন হাজতকে রাখিও না পূর্ণ করা ব্যতীত, যে হাজত তোমার সন্তোষলাভের কারণ হয়। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্। কিন্তু তিরমিযী হাদীসটি গরীব বলিয়াছেন (এবং মোহাদ্দেসগণ ও ইহার সনদের সমালোচনা করিয়াছেন)।
১৩২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ্র নিকট অথবা কোন মানুষের নিকট কোন হাজত রহিয়াছে, সে যেন প্রথমে ওযূ করে এবং উহা উত্তমরূপে করে, অতঃপর দুই রাকআত নামায পড়ে, তৎপর আল্লাহর কিছু প্রশংসা করে এবং নবী করীম (ﷺ)-এর প্রতি কিছু দরূদ ভেজে, অতঃপর যেন বলে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি ধৈর্যশীল, মহামহিম। আমি মহান আরশের প্রভু—প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, প্রভু। (হে প্রভু!) আমি চাইতেছি (তোমার নিকট) তোমার রহমত আকর্ষণের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের সংকল্পরাজি, প্রত্যেক সৎ কাজের সার এবং অসৎ কাজ হইতে শান্তি। হে আরহামুর রাহিমীন! তুমি আমার কোন অপরাধকে ছাড়িও না ক্ষমা করা ব্যতীত, কোন বিপদকে রাখিও না বিদূরিত করা ছাড়া এবং কোন হাজতকে রাখিও না পূর্ণ করা ব্যতীত, যে হাজত তোমার সন্তোষলাভের কারণ হয়। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্। কিন্তু তিরমিযী হাদীসটি গরীব বলিয়াছেন (এবং মোহাদ্দেসগণ ও ইহার সনদের সমালোচনা করিয়াছেন)।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩২৮

পরিচ্ছেদঃ ৪০. সালাতুত্ তাসবীহ
সালাতুত্ তসবীহঃ
১৩২৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) (আমার পিতা) আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালেবকে বলিলেনঃ হে আব্বাস, হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দিব না, আমি কি আপনাকে দান করিব না, আমি কি আপনাকে বলিব না, আমি কি করিব না আপনার সহিত দশটি কাজ (অর্থাৎ, শিক্ষা দিব না দশটি তসবীহ্), যখন আপনি উহা করিবেন, আল্লাহ্ আপনার গোনাহ্ মাফ করিয়া দিবেন—প্রথমের গোনাহ্, শেষের গোনাহ্, পুরান গোনাহ্, নূতন গোনাহ্, অনিচ্ছাকৃত গোনাহ্, ইচ্ছাকৃত গোনাহ্, ছোট গোনাহ্ ও বড় গোনাহ্ এবং গুপ্ত গোনাহ্ ও প্রকাশ্য গোনাহ্ ? – আপনি চারি রাকআত নামায পড়িবেন, যাহার প্রত্যেক রাকআতে কোরআনের সূরা ফাতেহা এবং যে কোন একটি সূরা পড়িবেন। যখন আপনি প্রথম রাকআতের কেরাআত শেষ করিবেন, দাঁড়ান অবস্থায় বলিবেন, “সোবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" —১৫ বার ; অতঃপর রুকূ করিবেন এবং রুকূর অবস্থায় উহা বলিবেন ১০ বার ; অতঃপর রুকূ হইতে মাথা উঠাইবেন এবং (সামিআল্লাহুর পর) বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর নীচের দিকে সজদায় যাইবেন এবং (সজদার তসবীহর পর) সজদা অবস্থায় বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর সজদা হইতে মাথা উঠাইবেন এবং বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর সজদায় যাইবেন এবং (পূর্বের ন্যায় তথায়) বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর মাথা উঠাইবেন এবং (সোজা হইয়া) বলিবেন উহা ১০ বার। সুতরাং প্রত্যেক রাকআতে ইহা হইল ৭৫ বার। এইরূপে আপনি চারি রাকআতে ইহা করিবেন। যদি আপনি প্রত্যেক দিন একবার এইরূপ নামায পড়িতে পারেন পড়িবেন, যদি তাহা করিতে না পারেন তাহা হইলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করিবেন; যদি তাহাও করিতে না পারেন তাহা হইলে বৎসরে একবার, আর যদি তাহাও করিতে না পারেন, তবে অন্তত নিজের জীবনে একবার করিবেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে বর্ণনা করেন।
১৩২৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) (আমার পিতা) আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালেবকে বলিলেনঃ হে আব্বাস, হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দিব না, আমি কি আপনাকে দান করিব না, আমি কি আপনাকে বলিব না, আমি কি করিব না আপনার সহিত দশটি কাজ (অর্থাৎ, শিক্ষা দিব না দশটি তসবীহ্), যখন আপনি উহা করিবেন, আল্লাহ্ আপনার গোনাহ্ মাফ করিয়া দিবেন—প্রথমের গোনাহ্, শেষের গোনাহ্, পুরান গোনাহ্, নূতন গোনাহ্, অনিচ্ছাকৃত গোনাহ্, ইচ্ছাকৃত গোনাহ্, ছোট গোনাহ্ ও বড় গোনাহ্ এবং গুপ্ত গোনাহ্ ও প্রকাশ্য গোনাহ্ ? – আপনি চারি রাকআত নামায পড়িবেন, যাহার প্রত্যেক রাকআতে কোরআনের সূরা ফাতেহা এবং যে কোন একটি সূরা পড়িবেন। যখন আপনি প্রথম রাকআতের কেরাআত শেষ করিবেন, দাঁড়ান অবস্থায় বলিবেন, “সোবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" —১৫ বার ; অতঃপর রুকূ করিবেন এবং রুকূর অবস্থায় উহা বলিবেন ১০ বার ; অতঃপর রুকূ হইতে মাথা উঠাইবেন এবং (সামিআল্লাহুর পর) বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর নীচের দিকে সজদায় যাইবেন এবং (সজদার তসবীহর পর) সজদা অবস্থায় বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর সজদা হইতে মাথা উঠাইবেন এবং বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর সজদায় যাইবেন এবং (পূর্বের ন্যায় তথায়) বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর মাথা উঠাইবেন এবং (সোজা হইয়া) বলিবেন উহা ১০ বার। সুতরাং প্রত্যেক রাকআতে ইহা হইল ৭৫ বার। এইরূপে আপনি চারি রাকআতে ইহা করিবেন। যদি আপনি প্রত্যেক দিন একবার এইরূপ নামায পড়িতে পারেন পড়িবেন, যদি তাহা করিতে না পারেন তাহা হইলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করিবেন; যদি তাহাও করিতে না পারেন তাহা হইলে বৎসরে একবার, আর যদি তাহাও করিতে না পারেন, তবে অন্তত নিজের জীবনে একবার করিবেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে বর্ণনা করেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান