মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৩২৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সালাত
১৩২৩। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে সকল কাজে (আল্লাহর নিকট) ‘এস্তেখারা' করার নিয়ম ও দো'আ শিক্ষা দিতেন, যেভাবে আমাদিগকে কোরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলিতেন, যখন তোমাদের কেহ কোন কাজের ইচ্ছা করিবে, তখন সে যেন ফরয ছাড়া দুই রাকআত নামায পড়ে, অতঃপর বলে, “হে খোদা, আমি তোমার নিকট তোমারই জ্ঞানের সাহায্যে এই বিষয়ের ভাল দিক (জ্ঞাত হওয়া) প্রার্থনা করিতেছি এবং তোমারই ক্ষমতার সাহায্যে তোমার নিকট (উহা লাভের) ক্ষমতা চাহিতেছি। আর আমি মাগিতেছি তোমার নিকট তোমার মহান অনুগ্রহ। কেননা, তুমি ক্ষমতা রাখ, আর আমি ক্ষমতা রাখি না। তুমি (ইহার ভাল-মন্দের) জ্ঞান রাখ, আর আমি উহা রাখি না। তুমি (আমাদের অজ্ঞাত) গায়বসমূহ সম্পর্কেও বিশেষ জ্ঞাত। হে খোদা! তুমি যদি জান যে, এই বিষয়টি আমার পক্ষে ভাল হইবে – আমার দ্বীনের ব্যাপারে, আমার জীবনধারণ ব্যাপারে ও আমার পরিণামে—অথবা হুযূর বলিয়াছেন, আমার ইহকালে ও পরকালে—তাহা হইলে তুমি ইহা আমার জন্য নির্ধারণ কর এবং ইহা আমার পক্ষে সহজ করিয়া দাও। অতঃপর আমার জন্য ইহাতে বরকত দান কর। আর তুমি যদি জান যে, বিষয়টি আমার পক্ষে অকল্যাণকর হইবে —আমার দ্বীনের ব্যাপারে, আমার জীবনধারণ ব্যাপারে ও আমার পরিণামে, অথবা হুযূর বলিয়াছেন, আমার ইহকালে বা পরকালে—তাহা হইলে তুমি উহাকে আমা হইতে ফিরাইয়া রাখ এবং আমাকেও উহা হইতে ফিরাইয়া রাখ, অধিকন্তু আমার জন্য ভাল নির্ধারণ কর যথায় উহা আছে। তৎপর তুমি আমাকে উহাতে সন্তুষ্ট রাখ।” অতঃপর তিনি (হুযূর বা রাবী) বলেন, ('এই বিষয়' শব্দস্থলে) যেন প্রার্থনাকারী নিজের আবশ্যক বিষয়ের নাম করে। — বোখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান