মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩২৮
৪০. সালাতুত্ তাসবীহ
সালাতুত্ তসবীহঃ
১৩২৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) (আমার পিতা) আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালেবকে বলিলেনঃ হে আব্বাস, হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দিব না, আমি কি আপনাকে দান করিব না, আমি কি আপনাকে বলিব না, আমি কি করিব না আপনার সহিত দশটি কাজ (অর্থাৎ, শিক্ষা দিব না দশটি তসবীহ্), যখন আপনি উহা করিবেন, আল্লাহ্ আপনার গোনাহ্ মাফ করিয়া দিবেন—প্রথমের গোনাহ্, শেষের গোনাহ্, পুরান গোনাহ্, নূতন গোনাহ্, অনিচ্ছাকৃত গোনাহ্, ইচ্ছাকৃত গোনাহ্, ছোট গোনাহ্ ও বড় গোনাহ্ এবং গুপ্ত গোনাহ্ ও প্রকাশ্য গোনাহ্ ? – আপনি চারি রাকআত নামায পড়িবেন, যাহার প্রত্যেক রাকআতে কোরআনের সূরা ফাতেহা এবং যে কোন একটি সূরা পড়িবেন। যখন আপনি প্রথম রাকআতের কেরাআত শেষ করিবেন, দাঁড়ান অবস্থায় বলিবেন, “সোবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" —১৫ বার ; অতঃপর রুকূ করিবেন এবং রুকূর অবস্থায় উহা বলিবেন ১০ বার ; অতঃপর রুকূ হইতে মাথা উঠাইবেন এবং (সামিআল্লাহুর পর) বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর নীচের দিকে সজদায় যাইবেন এবং (সজদার তসবীহর পর) সজদা অবস্থায় বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর সজদা হইতে মাথা উঠাইবেন এবং বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর সজদায় যাইবেন এবং (পূর্বের ন্যায় তথায়) বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর মাথা উঠাইবেন এবং (সোজা হইয়া) বলিবেন উহা ১০ বার। সুতরাং প্রত্যেক রাকআতে ইহা হইল ৭৫ বার। এইরূপে আপনি চারি রাকআতে ইহা করিবেন। যদি আপনি প্রত্যেক দিন একবার এইরূপ নামায পড়িতে পারেন পড়িবেন, যদি তাহা করিতে না পারেন তাহা হইলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করিবেন; যদি তাহাও করিতে না পারেন তাহা হইলে বৎসরে একবার, আর যদি তাহাও করিতে না পারেন, তবে অন্তত নিজের জীবনে একবার করিবেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে বর্ণনা করেন।
১৩২৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) (আমার পিতা) আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালেবকে বলিলেনঃ হে আব্বাস, হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দিব না, আমি কি আপনাকে দান করিব না, আমি কি আপনাকে বলিব না, আমি কি করিব না আপনার সহিত দশটি কাজ (অর্থাৎ, শিক্ষা দিব না দশটি তসবীহ্), যখন আপনি উহা করিবেন, আল্লাহ্ আপনার গোনাহ্ মাফ করিয়া দিবেন—প্রথমের গোনাহ্, শেষের গোনাহ্, পুরান গোনাহ্, নূতন গোনাহ্, অনিচ্ছাকৃত গোনাহ্, ইচ্ছাকৃত গোনাহ্, ছোট গোনাহ্ ও বড় গোনাহ্ এবং গুপ্ত গোনাহ্ ও প্রকাশ্য গোনাহ্ ? – আপনি চারি রাকআত নামায পড়িবেন, যাহার প্রত্যেক রাকআতে কোরআনের সূরা ফাতেহা এবং যে কোন একটি সূরা পড়িবেন। যখন আপনি প্রথম রাকআতের কেরাআত শেষ করিবেন, দাঁড়ান অবস্থায় বলিবেন, “সোবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" —১৫ বার ; অতঃপর রুকূ করিবেন এবং রুকূর অবস্থায় উহা বলিবেন ১০ বার ; অতঃপর রুকূ হইতে মাথা উঠাইবেন এবং (সামিআল্লাহুর পর) বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর নীচের দিকে সজদায় যাইবেন এবং (সজদার তসবীহর পর) সজদা অবস্থায় বলিবেন উহা ১০ বার ; অতঃপর সজদা হইতে মাথা উঠাইবেন এবং বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর সজদায় যাইবেন এবং (পূর্বের ন্যায় তথায়) বলিবেন উহা ১০ বার; অতঃপর মাথা উঠাইবেন এবং (সোজা হইয়া) বলিবেন উহা ১০ বার। সুতরাং প্রত্যেক রাকআতে ইহা হইল ৭৫ বার। এইরূপে আপনি চারি রাকআতে ইহা করিবেন। যদি আপনি প্রত্যেক দিন একবার এইরূপ নামায পড়িতে পারেন পড়িবেন, যদি তাহা করিতে না পারেন তাহা হইলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করিবেন; যদি তাহাও করিতে না পারেন তাহা হইলে বৎসরে একবার, আর যদি তাহাও করিতে না পারেন, তবে অন্তত নিজের জীবনে একবার করিবেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে বর্ণনা করেন।
بَابُ صَلَاةِ التَّسْبِيْحِ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّاهُ أَلَا أُعْطِيكَ؟ أَلَا أَمْنَحُكَ؟ أَلا أحبوك؟ أَلَا أَفْعَلُ بِكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ قَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ خَطَأَهُ وَعَمْدَهُ صَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ سِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً. فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ وَأَنْتَ قَائِمٌ قُلْتَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ فَتَقُولُهَا عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ تَفْعَلُ ذَلِكَ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ إِنِ اسْتَطَعْت أَن تصليها فِي كل يَوْم فَافْعَلْ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمْرِكَ مَرَّةً . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعْوَات الْكَبِير
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইবনে খুযায়মা, হাকেম ও দারা কুতনী ইহাকে সহীহ্ বলিয়াছেন। কিন্তু ইমাম ইবনে জাওযী হাদীসটিকে মাওযু (জাল) বলিয়াছেন।
তিরমিযীর অপর এক হাদীসে ইহার অপর এক নিয়মও রহিয়াছে, তবে প্রসিদ্ধ নিয়ম ইহাই।
তিরমিযীর অপর এক হাদীসে ইহার অপর এক নিয়মও রহিয়াছে, তবে প্রসিদ্ধ নিয়ম ইহাই।
