মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩২৭
৩৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সালাত
সালাতুল হাজতঃ
১৩২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ্র নিকট অথবা কোন মানুষের নিকট কোন হাজত রহিয়াছে, সে যেন প্রথমে ওযূ করে এবং উহা উত্তমরূপে করে, অতঃপর দুই রাকআত নামায পড়ে, তৎপর আল্লাহর কিছু প্রশংসা করে এবং নবী করীম (ﷺ)-এর প্রতি কিছু দরূদ ভেজে, অতঃপর যেন বলে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি ধৈর্যশীল, মহামহিম। আমি মহান আরশের প্রভু—প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, প্রভু। (হে প্রভু!) আমি চাইতেছি (তোমার নিকট) তোমার রহমত আকর্ষণের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের সংকল্পরাজি, প্রত্যেক সৎ কাজের সার এবং অসৎ কাজ হইতে শান্তি। হে আরহামুর রাহিমীন! তুমি আমার কোন অপরাধকে ছাড়িও না ক্ষমা করা ব্যতীত, কোন বিপদকে রাখিও না বিদূরিত করা ছাড়া এবং কোন হাজতকে রাখিও না পূর্ণ করা ব্যতীত, যে হাজত তোমার সন্তোষলাভের কারণ হয়। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্। কিন্তু তিরমিযী হাদীসটি গরীব বলিয়াছেন (এবং মোহাদ্দেসগণ ও ইহার সনদের সমালোচনা করিয়াছেন)।
১৩২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ্র নিকট অথবা কোন মানুষের নিকট কোন হাজত রহিয়াছে, সে যেন প্রথমে ওযূ করে এবং উহা উত্তমরূপে করে, অতঃপর দুই রাকআত নামায পড়ে, তৎপর আল্লাহর কিছু প্রশংসা করে এবং নবী করীম (ﷺ)-এর প্রতি কিছু দরূদ ভেজে, অতঃপর যেন বলে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি ধৈর্যশীল, মহামহিম। আমি মহান আরশের প্রভু—প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, প্রভু। (হে প্রভু!) আমি চাইতেছি (তোমার নিকট) তোমার রহমত আকর্ষণের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের সংকল্পরাজি, প্রত্যেক সৎ কাজের সার এবং অসৎ কাজ হইতে শান্তি। হে আরহামুর রাহিমীন! তুমি আমার কোন অপরাধকে ছাড়িও না ক্ষমা করা ব্যতীত, কোন বিপদকে রাখিও না বিদূরিত করা ছাড়া এবং কোন হাজতকে রাখিও না পূর্ণ করা ব্যতীত, যে হাজত তোমার সন্তোষলাভের কারণ হয়। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্। কিন্তু তিরমিযী হাদীসটি গরীব বলিয়াছেন (এবং মোহাদ্দেসগণ ও ইহার সনদের সমালোচনা করিয়াছেন)।
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى اللَّهِ أَوْ إِلَى أحد من بني آدم فَليَتَوَضَّأ فليحسن الْوُضُوءَ ثُمَّ لْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لْيُثْنِ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى وَلْيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لْيَقُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لَا تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَهُ وَلَا هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهُ وَلَا حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًى إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
