মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১২৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৫৫। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: বিতির এক রাকআত শেষ রাতে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৫৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে কখনও তের রাকআত নামায পড়িতেন, ইহার মধ্যে পাঁচ রাকআত হইত বিতির—যাহার শেষ রাকআত ভিন্ন তিনি আর কোথাও বসিতেন না। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৫৭। হযরত সা'দ ইবনে হিশাম তাবেয়ী বলেন, একদা আমি হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট যাইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, হে উন্মুল মু'মিনীন। আমাকে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আখলাক (চরিত্র) সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন, তুমি কি কোরআন পড় না? আমি উত্তর করিলাম, হ্যাঁ, (নিশ্চয়ই পড়ি।) তিনি বলিলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আখলাক ছিল কোরআন। অতঃপর আমি বলিলাম, হে উম্মুল মু'মিনীন! এবার আমাকে অবহিত করুন রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন সম্বন্ধে। তিনি বলিলেন, আমরা তাহার মেসওয়াক এবং ওযুর পানি প্রস্তুত রাখিতাম। অতঃপর আল্লাহ তাআলা রাতে যখন চাহিতেন তাহাকে উঠাইয়া দিতেন এবং তিনি উঠিয়া মেসওয়াক করিতেন এ ওযু করিতেন, তৎপর নয় রাকআত নামায পড়িতেন- যাহার অষ্টম রাকআত ব্যতীত তিনি কোথাও বসিতেন না। অষ্টম রাকআতে বসিয়া তিনি আল্লাহর যিকির, হামদ ও সানা এবং দো'আ করিতেন, অতঃপর দাঁড়াইতেন কিন্তু সালাম ফিরাইতেন না। তৎপর নবম রাকআত পঁড়িতেন, অতঃপর বসিতেন এবং আল্লাহর যিকির, হামদ, সানা ও দোআ করিতেন, তৎপর আমাদিগকে শুনাইয়া সালাম ফিরাইতেন। অতঃপর অর্থাৎ, সালাম ফিরানোর পর বসিয়া দুই রাকআত পড়িতেন, এই হইল মোট এগার রাকআত। হে আমার প্রিয় বৎস! কিন্তু যখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বয়স বেশী হইল এবং তিনি ভারী হইয়া গেলেন, (তাহাজ্জুদসহ) সাত রাকআত দ্বারা বিভিন্ন পড়িতেন, অতঃপর দুই রাকআত পূর্বের ন্যায় বসিয়া পড়িতেন—এই হইল নয় রাকআত। হে আমার প্রিয় বংস! এতদ্ব্যতীত নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোন নামায পড়িতেন সর্বদা উহাকে অব্যাহত রাখাই ভালবাসিতেন। অতএব, যখন নিদ্রার প্রভাব অথবা কোন পীড়ার দরুন তাঁহার রাত্রির নামায ফউত হইয়া যাইত, তিনি দিনের বেলায় (দ্বিপ্রহরের পূর্বে) বার রাকআত নামায পড়িয়া লইতেন। এছাড়া আমি অবগত নহি যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও এক রাত্রিতে পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত করিয়াছেন অথবা ভোর পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি নামাযে কাটাইয়াছেন, না তিনি রমযান ব্যতীত কোন পূর্ণ মাস রোযা রাখিয়াছেন। মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৫৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলিয়াছেন তোমাদের রাত্রির শেষ নামাযকে করিবে বিতির (বিজোড় )। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৫৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। সোবহে সাদেকের আগে আগেই বিতির পড়িয়া লইবে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৬০। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যাহার শেষ রাত্রিতে না উঠার আশংকা রহিয়াছে, সে যেন প্রথম রাত্রিতেই বিতির পড়ে এবং যাহার শেষ রাতে উঠার ভরসা আছে, সে যেন শেষ রাত্রিতেই বিতির পড়ে। কেননা, শেষ রাত্রির নামাযে ফেরেস্তাগণ হাযির হন। আর ইহাই হইল উত্তম। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৬১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাত্রির প্রত্যেক ভাগেই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন পড়িয়াছেন—উহার প্রথম ভাগে, উহার মধ্যভাগে এবং উহার শেষভাগে—এমন কি তাহার শেষ জীবনে বিতির সোবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১২৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৬২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমার দোস্ত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ে (বিশেষ) উপদেশ দিয়াছেন। (১) আমি যেন প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখি, (২) দুই রাকআত চাশতের নামায পড়ি এবং (৩) নিদ্রা যাইবার পূর্বে বিতির পড়ি। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান