মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১২৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
বিতির (ভিতর) সম্পর্কে বর্ণিত সমস্ত হাদীস পর্যালোচনা করার পর ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, উহা ওয়াজিব। অর্থাৎ, ফরয ও সুন্নতে মোআক্কাদার মধ্যস্তরে। পক্ষান্তরে অন্যান্য ইমামগণ এবং ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) উহাকে সুন্নত বলেন। এইরূপে ইমাম আবু হানীফার মতে বিতির তিন রাকআত। অপর দিকে ইমাম শাফেয়ী প্রমুখ ইমামগণের মতে উহা এক রাকআত।
আসল ব্যাপার এই যে, নবী করীম (ﷺ) তাহাজ্জুদের নামায সর্বদা জোড়া জোড়া পড়িয়াছেন —দুই রাকআত, চারি রাকআত ছয় রাকআত ও আট রাকআত ইত্যাদি। অতঃপর তিন রাকআত, আর কখনও এক রাকআত দ্বারা উহাকে বিতির অর্থাৎ, বিজোড় করিয়াছেন। ‘বিতির’ শব্দের অর্থ বিজোড়। সুতরাং সাহাবীগণের মধ্যে যিনি যাহা দেখিয়াছেন তিনি তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইমামগণের মধ্যে যাহার নিকট যাহা প্রমাণগতভাবে অধিক প্রবল বলিয়া মনে হইয়াছে, তিনি তাহাই বলিয়াছেন।
বিতির নামাযের প্রকৃত সময় হইল তাহাজ্জুদের পর, কিন্তু যাহাদের পক্ষে শেষ রাত্রিতে জাগরিত হইবার ভরসা কম, তাহাদের পক্ষে এশার নামাযের পর সন্ধ্যা রাতে পড়াও জায়েয। শেষ রাত্রিতে জাগরিত হইলেও উহা তাহাদের পুনরায় পড়িতে হইবে না। শুধু তাহাজ্জুদই পড়িবে। — অনুবাদক
বিতির (ভিতর) সম্পর্কে বর্ণিত সমস্ত হাদীস পর্যালোচনা করার পর ইমাম আ'যম আবু হানীফা (রঃ) এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, উহা ওয়াজিব। অর্থাৎ, ফরয ও সুন্নতে মোআক্কাদার মধ্যস্তরে। পক্ষান্তরে অন্যান্য ইমামগণ এবং ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রঃ) উহাকে সুন্নত বলেন। এইরূপে ইমাম আবু হানীফার মতে বিতির তিন রাকআত। অপর দিকে ইমাম শাফেয়ী প্রমুখ ইমামগণের মতে উহা এক রাকআত।
আসল ব্যাপার এই যে, নবী করীম (ﷺ) তাহাজ্জুদের নামায সর্বদা জোড়া জোড়া পড়িয়াছেন —দুই রাকআত, চারি রাকআত ছয় রাকআত ও আট রাকআত ইত্যাদি। অতঃপর তিন রাকআত, আর কখনও এক রাকআত দ্বারা উহাকে বিতির অর্থাৎ, বিজোড় করিয়াছেন। ‘বিতির’ শব্দের অর্থ বিজোড়। সুতরাং সাহাবীগণের মধ্যে যিনি যাহা দেখিয়াছেন তিনি তাহাই বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইমামগণের মধ্যে যাহার নিকট যাহা প্রমাণগতভাবে অধিক প্রবল বলিয়া মনে হইয়াছে, তিনি তাহাই বলিয়াছেন।
বিতির নামাযের প্রকৃত সময় হইল তাহাজ্জুদের পর, কিন্তু যাহাদের পক্ষে শেষ রাত্রিতে জাগরিত হইবার ভরসা কম, তাহাদের পক্ষে এশার নামাযের পর সন্ধ্যা রাতে পড়াও জায়েয। শেষ রাত্রিতে জাগরিত হইলেও উহা তাহাদের পুনরায় পড়িতে হইবে না। শুধু তাহাজ্জুদই পড়িবে। — অনুবাদক
১২৫৪। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : রাত্রির নামায জোড়া জোড়া। যখন তোমাদের কেহ ফজর হইবার আশংকা করিবে (শেষের দিকে) এক রাকআত পড়িবে, ইহা তাহার পূর্ব পঠিত নামাযকে বিতির (অর্থাৎ বিজোড় ) করিয়া দিবে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান