মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১২০৯

পরিচ্ছেদঃ ৩১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১২০৯। তাবেয়ী হুমাইদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্যে এক ব্যক্তি বলিলেন, আমি মনে মনে বলিলাম, তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত এক সফরে ছিলাম, খোদার কসম! অদ্য আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নামাযের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করিব, যাহাতে তাঁহার কার্যধারা দেখিতে পারি। (দেখিলাম) তিনি যখন রাতে এশার নামায পড়িলেন— যাহাকে আতামাও বলা হইয়া থাকে— দীর্ঘ সময় ঘুমাইয়া রহিলেন। অতঃপর জাগরিত হইলেন এবং দিগন্তের (আকাশের) দিকে চাহিয়া কোরআনের এই আয়াত পাঠ করিতে লাগিলেন—
“হে আমাদের রব! তুমি এসকলকে অনর্থক সৃষ্টি কর নাই” – হইতে "এবং তুমি কখনও ওয়াদা ভঙ্গ কর না—”পর্যন্ত পৌঁছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিছানার দিকে ফিরিলেন এবং তথা হইতে মেসওয়াক বাহির করিলেন। তৎপর নিজের নিকট রক্ষিত একটি পাত্র হইতে পেয়ালায় পানি ঢালিলেন এবং মেসওয়াক করিলেন। অতঃপর দাড়াইলেন এবং নামায পড়িতে লাগিলেন, যাহাতে আমি মনে করিলাম, তিনি যে পরিমাণ সময় ঘুমাইয়াছিলেন সে পরিমাণ সময়ই নামাযে কাটাইলেন। অতঃপর দ্বিতীয়বার শুইলেন যাহাতে আমি মনে করিলাম যে, তিনি যে পরিমাণ সময় নামাযে কাটাইয়াছিলেন সে পরিমাণ সময়ই ঘুমাইয়া রহিলেন। তৎপর তিনি দ্বিতীয়বার জাগরিত হইলেন এবং পূর্বে যেরূপ করিয়াছিলেন সেরূপই করিলেন, আর পূর্বে যাহা বলিয়াছিলেন তাহাই বলিলেন। মোটকথা, ফজর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনবার এইরূপ করিলেন। – নাসায়ী
“হে আমাদের রব! তুমি এসকলকে অনর্থক সৃষ্টি কর নাই” – হইতে "এবং তুমি কখনও ওয়াদা ভঙ্গ কর না—”পর্যন্ত পৌঁছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিছানার দিকে ফিরিলেন এবং তথা হইতে মেসওয়াক বাহির করিলেন। তৎপর নিজের নিকট রক্ষিত একটি পাত্র হইতে পেয়ালায় পানি ঢালিলেন এবং মেসওয়াক করিলেন। অতঃপর দাড়াইলেন এবং নামায পড়িতে লাগিলেন, যাহাতে আমি মনে করিলাম, তিনি যে পরিমাণ সময় ঘুমাইয়াছিলেন সে পরিমাণ সময়ই নামাযে কাটাইলেন। অতঃপর দ্বিতীয়বার শুইলেন যাহাতে আমি মনে করিলাম যে, তিনি যে পরিমাণ সময় নামাযে কাটাইয়াছিলেন সে পরিমাণ সময়ই ঘুমাইয়া রহিলেন। তৎপর তিনি দ্বিতীয়বার জাগরিত হইলেন এবং পূর্বে যেরূপ করিয়াছিলেন সেরূপই করিলেন, আর পূর্বে যাহা বলিয়াছিলেন তাহাই বলিলেন। মোটকথা, ফজর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনবার এইরূপ করিলেন। – নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২১০

পরিচ্ছেদঃ ৩১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১২১০। তাবেয়ী ইয়া'লা ইবনে মামলাক হইতে বর্ণিত আছে, তিনি একবার হুযূর (ﷺ)-এর স্ত্রী উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে সালামা (রাঃ)-কে নবী করীম (ﷺ)-এর নামায ও কেরাআত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। উত্তরে তিনি বলিলেন, তোমরা তাঁহার নামায দিয়া কি করিবে? (অর্থাৎ, তোমরা কি তাঁহার ন্যায় করিতে পারিবে ? ) তিনি নামায পড়িতেন অতঃপর ঘুমাইতেন যে পরিমাণ সময় নামায পড়িতেন, দ্বিতীয়বার নামায পড়িতেন যে পরিমাণ সময় ঘুমাইতেন, আবার ঘুমাইতেন যে পরিমাণ সময় নামায পড়িতেন, যাবৎ সোবহে সাদেক হইত।
ইয়ালা বলেন, অতঃপর হযরত উম্মে সালামা হুযূরের কেরাআতের বর্ণনা দিলেন। দেখিলাম, তিনি পৃথক পৃথক এক এক অক্ষর করিয়া পড়ার বর্ণনা দিলেন। —আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী
ইয়ালা বলেন, অতঃপর হযরত উম্মে সালামা হুযূরের কেরাআতের বর্ণনা দিলেন। দেখিলাম, তিনি পৃথক পৃথক এক এক অক্ষর করিয়া পড়ার বর্ণনা দিলেন। —আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২১১

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন
১২১১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাত্রিতে তাহাজ্জুদ পড়িতে উঠিতেন, এইরূপ বলিতেন, "হে খোদা। তোমারই জন্য প্রশংসা, তুমিই আসমানসমূহ ও যমীন এবং উহাদের মধ্যে যাহা আছে তাহাদের রক্ষাকারী। তোমারই জন্য প্রশংসা, তুমিই আসমানসমূহ ও যমীন এবং উহাদের মধ্যে যাহা আছে তাহাদের নূর (আলো)। তোমারই জন্য প্রশংসা, তুমিই আসমানসমূহ ও যমীন এবং উহাদের মধ্যে যাহা আছে তাহাদের বাদশাহ্। তোমারই জন্য প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার ওয়াদা সত্য, (পরকালে) তোমার সাক্ষাৎ সত্য, তোমার বাণী সত্য এবং বেহেশত সত্য, দোযখ সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ সত্য এবং কেয়ামত সত্য। হে খোদা, আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছি, তোমারই উপর ভরসা করিয়াছি, তোমারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করিয়াছি, তোমারই সাহায্যে (শত্রু সনে) যুঝিতেছি এবং তোমারই নিকট বিচার প্রার্থনা করিতেছি। আমায় ক্ষমা কর যাহা আমি পূর্বে করিয়াছি এবং যাহা আমি পরে করিয়াছি, যাহা আমি গোপনে করিয়াছি, যাহা আমি প্রকাশ্যে করিয়াছি এবং যাহা আমি করিয়াছি বলিয়া তুমি জান (অথচ আমি জানি না)। তুমিই (কাহাকেও বা কিছুকেও) অগ্রগামী কর এবং তুমিই পশ্চাৎগামী কর। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই এবং তোমার গায়র কোন মা'বুদ নাই।" -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২১২

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন
১২১২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে উঠিতেন, নামায শুরু করিতেন এবং বলিতেন, “হে খোদা! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু-পরওয়ারদেগার আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা; দৃশ্য-অদৃশ্য সমস্তের জ্ঞাতা, তুমিই ফয়সালা করিবে তোমার বান্দাদের মধ্যে, যে ব্যাপারে তাহারা পরস্পর মতভেদ করিতেছে। দেখাও আমায় তোমার নিজ অনুগ্রহে সে সত্য, যে সত্য সম্পর্কে তাহারা মতভেদ করিতেছে কেননা, তুমিই সেরাতে মোস্তাকীম (সত্য পথ) দেখাও যাহাকে তুমি ইচ্ছা কর।" —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান