মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১১৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮২। হযরত কা'ব ইবনে উজরা (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) বনী আব্দুল আশহাল গোত্রের মসজিদে উপস্থিত হইলেন এবং তথায় মাগরিবের নামায পড়িলেন। তাহারা যখন ফরয নামায শেষ করিল, হুযূর (ﷺ) দেখিলেন, তাহারা সকলেই উহার পর কিছু নফল নামায পড়িতে ব্যাপৃত হইয়াছে। তখন হুযূর বলিলেনঃ ইহা ঘরের নামায। –আবু দাউদ
কিন্তু তিরমিযী ও নাসায়ীর এক বর্ণনায় রহিয়াছে, লোক নফল পড়িতে দাড়াইলে নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, তোমাদের এই নামায ঘরে পড়া উচিত।
কিন্তু তিরমিযী ও নাসায়ীর এক বর্ণনায় রহিয়াছে, লোক নফল পড়িতে দাড়াইলে নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, তোমাদের এই নামায ঘরে পড়া উচিত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাগরিবের পর দুই রাকআত সুন্নতে কেরাআত এত দীর্ঘ করিতেন যে, ততক্ষণে সমস্ত লোক মসজিদ হইতে বিদায় হইয়া যাইত। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮৪। তাবেয়ী হযরত মাকহুল (রঃ) রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-র নাম করিয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের (ফরয পড়ার) পর কথা বলার পূর্বে দুই রাকআত—অপর বর্ণনায় চারি রাকআত নামায পড়িয়াছে, তাহার সেই নামায 'ইল্লিয়্যীনে' উঠান হইবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮৫। হযরত হুযায়ফা (রাঃ)-ও অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তবে তিনি ইহাও বাড়াইয়া বলিয়াছেন, হুযূর (ﷺ) বলিতেন, মাগরিবের পর দুই রাকআত তাড়াতাড়ি পড়িবে। কেননা, উহা ফরযের সহিত উপরে উঠান হয়। উক্ত হাদীস দুইটি ইমাম রযীন রেওয়ায়ত করিয়াছেন এবং বায়হাকী অতিরিক্ত অংশ হুযায়ফা হইতে অনুরূপ শুআবুল ঈমানে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮৬। তাবেয়ী হযরত আমর ইবনে আতা বলেন, একদা তাবেয়ী হযরত নাফে' ইবনে জুবায়র তাঁহাকে (আমরকে) সাহাবী হযরত সায়েব (রাঃ)-এর নিকট পাঠাইয়া জানিতে চাহিলেন, তাঁহার (সায়েবের) নামাযের ব্যাপারে হযরত আমীরে মোআবিয়া যাহা দেখিয়াছিলেন (বলিয়া কথিত), তাহা সত্য কিনা? উত্তরে হযরত সায়েব বলিলেন, হ্যাঁ, আমি একবার হযরত মোআবিয়া (রাঃ)-এর সহিত 'মাকসুরায়' জুমুআর নামায পড়িলাম। যখন ইমাম সালাম ফিরাইলেন আমি দাঁড়াইয়া আমার (ফরয পড়ার) স্থানেই সুন্নত পড়িলাম। যখন হযরত মোআবিয়া ঘরে চলিয়া গেলেন, আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং বলিলেন, আপনি যাহা করিয়াছেন তাহা পুনঃ করিবেন না। যখন আপনি জুমুআর ফরয পড়িবেন, উহার সহিত মিলাইয়া অপর কোন নামায পড়িবেন না, যাবৎ না কোন কথা বলেন অথবা তথা হইতে বাহির হইয়া যান। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে এইরূপ করিতে বলিয়াছেন। অর্থাৎ, আমরা যেন এক নামাযকে অপর নামাযের সহিত মিলাইয়া না পড়ি, যাবৎ না কোন কথা বলি অথবা সে স্থান হইতে বাহির হইয়া যাই। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৮৭। তাবেয়ী হযরত আতা বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) যখন মক্কায় জুমুআর ফরয পড়িতেন, সামান্য আগে বাড়িয়া যাইতেন অতঃপর দুই রাকআত সুন্নত পড়িতেন। তৎপর আরও সামান্য আগে বাড়িয়া যাইতেন অতঃপর চারি রাকআত সুন্নত পড়িতেন। কিন্তু যখন ( আপন স্থায়ী নিবাস) মদীনায় জুমুআর ফরয পড়িতেন, প্রথমে আপন ঘরে প্রত্যাবর্তন করিতেন অতঃপর দুই রাকআত সুন্নত পড়িতেন, কখনও মসজিদে পড়িতেন না। একদা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইলে (– আপনি সুন্নত মসজিদে না পড়িয়া ঘরে পড়েন কেন?) তিনি বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এইরূপই করিতেন। –আবু দাউদ
তিরমিযীর এক বর্ণনায় রহিয়াছে, আতা বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমরকে জুমুআর ফরযের পর প্রথমে দুই রাকআত অতঃপর চারি রাকআত নামায পড়িতে দেখিয়াছি।
তিরমিযীর এক বর্ণনায় রহিয়াছে, আতা বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমরকে জুমুআর ফরযের পর প্রথমে দুই রাকআত অতঃপর চারি রাকআত নামায পড়িতে দেখিয়াছি।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১১৮৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের দুই রাকআত সুন্নত পড়িতেন, আমি সজাগ থাকিলে আমার সহিত কথাবার্তা বলিতেন, অন্যথায় বিশ্রাম গ্রহণ করিতেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১১৯০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের দুই রাকআত সুন্নত পড়িতেন, ডান পার্শ্বের উপর বিশ্রাম গ্রহণ করিতেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৯১

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১১৯১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ১৩ রাকআত নামায পড়িতেন, যাহার অন্তর্গত বিভিন্ন এবং ফজরের দুই রাকআত সুন্নতও ছিল। - মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১১৯২

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১১৯২। তাবেয়ী হযরত মাসরূক (রঃ) বলেন, আমি একদা হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কে রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি বলিলেন, ফজরের দুই রাকআত বাতীত উহা ৭, ৯ ও ১১ রাকআত ছিল। বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান