মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১১৮৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত

পবিত্র কোরআনে রহিয়াছে, আল্লাহ্ কেয়ামতে বলিবেনঃ

كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ - وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ

“তাহারা (মুত্তাকীনরা) রাতে কম শুইত এবং শেষ রাতে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিত।” (সূরা যারিয়াত, আয়াত – ১৭, ১৮)
রাতের নামায অর্থে এখানে তাহাজ্জুদ ও বিতির (وتر) নামাযকেই বুঝান হইয়াছে। যাহার শেষ রাতে সজাগ হইবার পূর্ণ ভরসা রহিয়াছে তাহার পক্ষে বিতির নামায তাহাজ্জুদের পরে পড়ার বিধান রহিয়াছে ।
তাহাজ্জুদের নামায নবী করীম (ﷺ)-এর উপর ফরয ছিল। অতএব, কোন কারণে উহা ফউত হইয়া গেলে তিনি দ্বিপ্রহরের আগে আগেই উহার কাযা পড়িয়া লইতেন। উম্মতের উপর উহা ফরয না হইলেও সমস্ত সুন্নত নফল নামাযসমূহের মধ্যে উহা সর্বোত্তম নামায। হুযূর (ﷺ) তাহাজ্জুদের নামায বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণ পড়িয়াছেন। বিতিরসহ কখনও ৭, কখনও ৯, কখনও ১১ এবং কখনও ১৩ রাকআত পড়িয়াছেন। কেহ কেহ বলেন, ফজরের দুই রাকআত সুন্নতও ইহার অন্তর্গত।
১১৮৮। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামায হইতে অবসর গ্রহণ করার পর ফজর পর্যন্ত এগার রাকআত নামায পড়িতেন। প্রত্যেক দুই রাকআতের পরই সালাম ফিরাইতেন এবং এক রাকআত দ্বারা উহাকে বিজোড় করিতেন (অর্থাৎ, বিতির এক রাকআত পড়িতেন)। এই নামাযের এক একটি সিজদা তিনি তোমাদের কেহ পঞ্চাশটি আয়াত পড়া পরিমাণ দীর্ঘ করিতেন। যখন মুআযযেন ফজরের আযান শেষ করিতেন এবং সোবহে সাদেক (উষা) পরিষ্কার হইয়া যাইত, তখন তিনি দাড়াইতেন এবং সংক্ষিপ্ত দুই রাকআত নামায পড়িতেন। অতঃপর তিনি ডান পার্শ্বে ভর করিয়া বিশ্রাম করিতে থাকিতেন যাবৎ না 'একামত' বলার জন্য তাহার নিকট মুআযযেন আসিয়া পৌঁছিতেন, তখন তিনি ফরম পড়ার জন্য বাহির হইতেন। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান