মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১০৬৬

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৬৬। হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে ফজরের নামায পড়ালেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন যে, অমুক কি উপস্থিত আছে? সাহাবীগণ বললেন, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, অমুক কি আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি বললেন, এই দু'টো নামায (ফজর এবং এশা) মুনাফিকদের জন্য বোঝাস্বরূপ। এই নামাযদ্বয়ের মধ্যে যে কি সওয়াব তোমরা যদি তা জানতে তাহলে হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়েও তোমরা এই নামাযে হাজির হতে। জেনে রাখবে, প্রথম কাতার হলো ফিরিশতাদের কাতারের ন্যায়। প্রথম কাতারের কি ফজীলত তোমরা তা জানলে তাতে দাঁড়ানোর জন্য ব্যস্তত্রস্ত হয়ে পড়তে। তোমরা জেনে রাখবে, কোন নামায অন্য এক ব্যক্তির সাথে একত্রে পড়া একাকী নামায পড়ার তুলনায় উত্তম। আর দুই ব্যক্তির সাথে পড়া নামায এক ব্যক্তির সাথে পড়া নামায হতে উত্তম। এভাবে নামাযে যতই লোক বেশী হবে ততই তা আল্লাহর নিকট বেশী পছন্দনীয় হবে। -আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৬৭

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৬৭। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এমন কোন তিন ব্যক্তি যাদের মধ্যে নামাযের জামাত করা হয় না, চাই তারা কোন জনবহুল বস্তিতে থাকুক অথবা জনবিরল স্থানে, নিশ্চয় তাদের উপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করে; সুতরাং তোমরা অবশ্যই জামাত কায়েম করবে। কেননা নেকড়ে সেই বকরী ও ভেড়াই ধরে নিয়ে যায়, যে দলত্যাগ করে একা বিচরণ করে। —আহমদ, আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৬৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনিয়াছে, আর উহার অনুসরণ করিতে তাহাকে কোন ওযর বাধা দেয় নাই তথাপি সে জামাআতে হাযির হয় নাই, তাহার সেই নামায কবুল করা হইবে না যাহা সে একা পড়িয়াছে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, হুযুর ওযর কি? তিনি বলিলেন, (শত্রু প্রভৃতির) ভয় অথবা রোগ। — আবু দাউদ ও দারা কুতনী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৬৯

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৬৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যখন নামাযের তকবীর বলা হয় আর তোমাদের কেহ পায়খানা-প্রস্রাবের হাজত অনুভব করে, তখন সে যেন প্রথমে পায়খানা-প্রস্রাবের হাজত সারিয়া লয়। — তিরমিযী। মালেক, আবু দাউদ ও নাসায়ী উহার অনুরূপ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৭০

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৭০। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন কাজ কাহারও জন্য জায়েয নহে। (ক) কোন ব্যক্তি মানুষের ইমামতি করিবে অথচ তাহাদের বাদ দিয়া সে শুধু নিজের জন্য দো'আ করিবে। যদি সে ইহা করে তাহা হইলে সে তাহাদের সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিল। (খ) কেহ কাহারও ভিতর-ঘরের প্রতি দৃষ্টি করিবে তাহাদের নিকট হইতে অনুমতি গ্রহণের (বা তাহাদের খবরদান করার) পূর্বে। যদি সে ইহা করে তাহা হইলে সে তাহাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিল এবং (গ) কোন ব্যক্তি নামায পড়িবে অথচ সে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ ধারণ করিতেছে যাবৎ না সে উহা হইতে হাল্কা হইয়া লয়। –আবু দাউদ। তিরমিযীও ইহার অনুরূপ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৭১

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৭১। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নামায পিছাইবে না খাওয়ার জন্য হউক অথবা অপর কোন (মানাবীয়) আবশ্যকে। —শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান