মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১০৪১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪১। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ফজরের নামাযের পর সূর্য উদয় হয়ে কিছু উপরে উঠার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন নামায নেই। একইভাবে আছরের নামাযের পরও সূর্য ডুবে সম্পূর্ণরূপে বিলীন না হওয়া পর্যন্ত আর কোন নামায নেই। —বুখারী, মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০৪২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪২। হযরত আমর ইবনে আবাসা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) মদীনায় আগমন করার পর আমিও তথায় এলাম এবং তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমাকে নামায সম্পর্কে কিছু শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, ফজরের নামায আদায় করবে। তারপর সূর্য উদিত হওয়ার সময় নামায পড়া হতে বিরত থাকবে-যখন পর্যন্ত না তা কিছু উপরে উঠে। কেননা সূর্য উদিত হয়ে থাকে শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে। আর ঐ সময় কাফিরগণ সেটিকে সিজদাহ করে। অতঃপর কিছু নফল নামায পড়বে—যে পর্যন্ত না ছায়া বর্শা পরিমাণ সংকুচিত হয়ে যায়। কেননা ঐ সময়কার নামাযে ফিরিশতাগণ হাজির হন এবং তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর নামায হতে বিরত থাকবে। কেননা তখন দোযখকে গরম করা হয়। অতঃপর যখন ছায়া বাড়তে থাকবে তখন নামায পড়বে-যে পর্যন্ত না আছরের ওয়াক্ত হয়। ঐ সময়কার নামাযে ফিরিশতাগণ হাজির থাকেন এবং তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর নামায হতে বিরত থাকবে যে পর্যন্ত না সূর্য সম্পূর্ণ অস্তমিত হয়। কেননা তা অস্ত যায় শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে। আর এই সময়টি কাফিরদের সিজদার সময়। আমর বলেন, আমি পুনরায় বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এখন আমাকে অজু সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অজুর পানি জোগাড় করতঃ কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় তারপর তা ঝেড়ে ফেলে নিশ্চয় তার মুখমণ্ডলের, মুখগহ্বরের এবং তার নাকের ভেতরের গুনাহসমূহ ঝরে যায়। এরপর যখন সে মুখমণ্ডল ধৌত করে আল্লাহর নির্দেশানুরূপ, নিশ্চয় তার মুখমণ্ডলের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায় তার শ্মশ্রুরাজির পার্শ্ব দিয়ে। অতঃপর যখন সে দু'হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে নিশ্চয় তখন তার দু'হাতের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায়, তার আঙ্গুলগুলোর নিকট দিয়ে। তারপর যখন সে তার মাথা মাসেহ করে তখন নিশ্চয় তারা মাথার গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায়, তার মাথার চুলের পাশ দিয়ে। সবশেষে যখন সে তার পদদ্বয় ধৌত করে ছোট গিরা পর্যন্ত-তখন তার পায়ের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায় অঙ্গুলিসমূহের পাশ দিয়ে। এরপর যদি সে নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন শুরু করে এবং তাঁর মর্যাদা বর্ণনা করে যার তিনিই অধিকারী, সাথে সাথে নিজ অন্তরকেও আল্লাহর জন্য নিবিষ্ট করে দেয়, তা হলে সে নিশ্চয় তার গুনাহ হতে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে যায় সেই দিনকার মত যেইদিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিলেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০৪৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৩। হযরত কুরাইব (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) মিসওয়ার ইবনে মাখরামাহ এবং আব্দুর রহমান ইবনে আযহার (রাযিঃ) আমাকে হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠালেন এবং বললেন যে, তাকে আমাদের সালাম জানিয়ে আছরের নামাযের পর দুই রাকাত নফল নামায পড়া জায়েয কিনা সেই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। কুরাইব বলেন, অতঃপর আমি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে যে সম্পর্কে আমাকে পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়টি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, বিষয়টি উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস কর। আমি তাঁদের নিকট ফিরে এলাম। তারা আমাকে তখন উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট প্রেরণ করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমি নবী পাক (ﷺ)-কে তা নিষেধ করতে শুনেছি; কিন্তু তার পর একদিন তাঁকে দেখলাম, তিনি তা পড়লেন। তারপর গৃহে প্রবেশ করলেন। তখন আমি আমার খাদেমকে তাঁর নিকট এই বলে পাঠালাম যে, তুমি গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলবে, উম্মে সালামা বলছেন, আপনাকে এই দুই রাকাত নামায সম্পর্কে নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ আপনাকে নিজেকেই এটা পড়তে দেখলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলা হলে তিনি উম্মে সালামা (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবু উমাইয়্যার কন্যা (উম্মে সালামা)! তুমি আমাকে আছরের পর দুই রাকাত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছ। ঘটনা হল, আমার নিকট আব্দুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক এসেছিল এবং আমাকে যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামায হতে (বিভিন্ন প্রয়োজন ও কথাবার্তা) বিরত রেখেছিল। আমি যে দুই রাকাত পড়েছি তা সেই দুই রাকাত। —বুখারী, মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান