মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১০৩১

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩১। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার নবী পাক (ﷺ) যোহরের নামাযে রুকূর পূর্বে একটি সিজদাহ করলেন। তারপর দাঁড়ালেন। এরপর নিয়মিত রুকূ করলেন। এতে লোকজন মনে করল যে, তিনি তানযীলুস সিজদাহ পাঠ করেছেন যাতে একটি সিজদার আয়াত রয়েছে। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩২

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩২। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে কুরআন পড়ে শুনাতেন। সিজদার আয়াতে পৌঁছলে তিনি তাকবীর বলে একটি সিজদাহ করতেন। আর আমরাও তাঁর অনুসরণে সিজদাহ করতাম। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩৩

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩৩। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের বছর একটি সিজদাহ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। তখন সকল লোকই সিজদাহ আদায় করল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাহনের উপরই সিজদাহ করল আর কেউ যমিনে সিজদাহ করল। এমনকি কোন কোন বাহনারোহী ব্যক্তি নিজ হাতের উপরই সিজদাহ করল। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩৪

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) মদীনায় আসার পর মুফাছছাল সূরাসমূহের কোন সূরায়ই সিজদাহ করেন নি। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩৫। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে তিলাওয়াতের সিজদায় এই দোয়া পাঠ করতেন, “আমার মুখমণ্ডল সিজদাহ করল তাঁরই উদ্দেশ্যে, যিনি সেটি সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করেছেন। সিজদাহ করল তাঁরই প্রদত্ত শক্তি ও সামর্থ্য দ্বারা। -আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩৬

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। এই রাত্রে নিদ্রিত অবস্থায় আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন আমি একটি বৃক্ষের পেছনে নামায পড়ছি। তখন আমি তিলাওয়াতের সিজদাহ করলাম এবং আমার সাথে ঐ বৃক্ষটিও সিজদাহ করল। তাকে সিজদায় বলতে শুনলাম, হে আল্লাহ্! এই সিজদার বদলে তুমি আমার জন্য তোমার নিকট সওয়াব নির্দিষ্ট করে রাখ। এর বদলে আমার গুনাহের বোঝা নামিয়ে দাও। এটিকে আমার জন্য তোমার নিকট পুণ্যের সঞ্চয় রূপে জমা রাখ এবং এটা আমার তরফ হতে কবুল কর যেভাবে এটা তুমি তোমার বান্দা দাউদ (আ)-এর তরফ হতে কবুল করেছ।”
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর একদা নবী পাক (ﷺ) একটি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলেন। তারপর সিজদাহ করলেন। তখন আমি তাঁকে তাই পাঠ করতে শুনলাম যার সংবাদ সেই ব্যক্তি তাঁকে দিয়েছিল । (অর্থাৎ উল্লিখিত বৃক্ষটি যা বলেছিল। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
কিন্তু ইবনে মাজাহ "হে আল্লাহ! আমার তরফ হতে। কবুল কর যেভাবে তা তোমার বান্দা দাউদের তরফ হতে কবুল করেছ” বাক্যটি বর্ণনা করেন নি। তিরমিযী (রহ) বলেন যে, এই হাদীসটি গরীব।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর একদা নবী পাক (ﷺ) একটি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলেন। তারপর সিজদাহ করলেন। তখন আমি তাঁকে তাই পাঠ করতে শুনলাম যার সংবাদ সেই ব্যক্তি তাঁকে দিয়েছিল । (অর্থাৎ উল্লিখিত বৃক্ষটি যা বলেছিল। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
কিন্তু ইবনে মাজাহ "হে আল্লাহ! আমার তরফ হতে। কবুল কর যেভাবে তা তোমার বান্দা দাউদের তরফ হতে কবুল করেছ” বাক্যটি বর্ণনা করেন নি। তিরমিযী (রহ) বলেন যে, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১০৩৭

পরিচ্ছেদঃ ২১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা নবী পাক (ﷺ) মক্কায় সূরা নাজম তিলাওয়াত করলেন এবং তাতে সিজদাহ করলেন। তখন তাঁর নিকট মুসলমান ও কাফির যারা ছিল তারা সকলেই সিজদাহ করল; কিন্তু কুরাইশদের এক বৃদ্ধ ব্যক্তি একমুষ্টি কংকর অথবা মাটি উঠিয়ে কপাল পর্যন্ত নিয়ে বলল, আমার জন্য এটাই যথেষ্ট। হযরত আব্দুল্লাহ বলেন, পরে আমি এই বৃদ্ধকে যুদ্ধে কাফির অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি। -বুখারী, মুসলিম
বুখারীর আর এক বর্ণনায় আছে, সে বৃদ্ধ লোকটি হলো উমাইয়া ইবনে খালফ ।
বুখারীর আর এক বর্ণনায় আছে, সে বৃদ্ধ লোকটি হলো উমাইয়া ইবনে খালফ ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান