মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১০১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০১১। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে যোহরের নামায পড়তাম। অধিক গরমের কারণে আমি একমুষ্টি কঙ্কর হাতে নিতাম, যাতে তা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা কপালের নীচে রেখে তার উপর সিজদাহ করতে পারতাম। -আবু দাউদ, নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০১২। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়ালেন, এমতাবস্থায় শুনলাম তিনি বলছেন, "আমি তোর নিকট হতে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় চাচ্ছি। তারপর বললেন, আল্লাহর অভিসম্পাত দ্বারা আমি তোকে অভিসম্পাত করছি" তিনবার করে; এবং তিনি যেন কি ধরার জন্য তাঁর হাত প্রসারিত করলেন। নামায শেষে আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। এই নামাযে আমরা আপনাকে এমন কিছু কথা বলতে শুনলাম, যা এর পূর্বে আর কখনও বলতে শুনি নি। আর আমরা দেখলাম, আপনি আপনার হাত প্রসারিত করলেন (মনে হলো) যেন কি ধরছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলীস আমার চেহারায় নিক্ষেপ করার জন্য একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিয়ে এসেছিল। তাই আমি তিনবার বলেছিলাম যে, আমি তার দুষ্টামি থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আর তিনবার বললাম যে, আল্লাহর পূর্ণ অভিশাপ দ্বারা আমি তোকে অভিশাপ দিচ্ছি; কিন্তু তাতেও সে সরে না যাওয়ায় আমি তাকে ধরতে ইচ্ছা করলাম। আল্লাহর কসম, হযরত সুলায়মান (আ)-এর একটি বিশেষ মুনাজাত স্মরণে না এলে এখানে সে সকাল পর্যন্ত বাঁধা থাকত। মদীনার শিশু কিশোরেরা তাকে নিয়ে ক্রীড়া-কৌতুক করত। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০১৩। হযরত নাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গমন করলেন। সে তখন নামায পড়তেছিল। (তিনি) তাকে সালাম দিলেন। সে কথার দ্বারাই তার জবাব দিল। অতঃপর তিনি তার নিকট এসে বললেন, যদি তোমাদের কাউকে নামাযরত অবস্থায় কেউ সালাম দেয় তবে সে যেন কথার দ্বারা তার জবাব না দেয়; বরং হাতের দ্বারা ইশারা করে। -মালেক

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহু সিজদা্
১০১৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে শয়তান এসে তার নামাযের মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টি করে। এমন কি কখনও কখনও নামাযী ব্যক্তি নামায কত রাকাত পড়েছে তা পর্যন্ত ভুলে যায়; সুতরাং যার এরূপ অবস্থা ঘটবে সে যেন বসা অবস্থায় দু'টো সিজদাহ করে। - বুখারী, মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১০১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহু সিজদা্
১০১৫। আতা ইবনে ইয়াসার (রহ) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যদি তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে সন্দেহ হয় এবং সে কয় রাকাত নামায পড়েছে তা বলতে না পারে যে, তিন রাকাত পড়েছে, নাকি চার রাকাত? তখন সে যেন সন্দেহকে পরিত্যাগ করে এবং নিশ্চিত রাকাতের উপরই ভিত্তিস্থাপন করে, তারপর সালাম ফেরাবার পূর্বে দু'টি সিজদাহ করে। যদি সে বাস্তবে পাঁচ রাকাতই পড়ে থাকে তা হলে এই দুই সিজদাহ তার বেজোড় সংখ্যক রাকাতকে জোড় সংখ্যায় পরিণত করবে। আর যদি নামায বাস্তবে চার রাকাত পড়া হয়ে থাকে, তা হলে এই দুই সিজদাহ শয়তানের প্রতি ধিক্কারস্বরূপ হবে। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান