মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৮৭১

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) তাঁর রুকূ এবং সিজদায় এই কালাম বহুবার পাঠ করতেনঃ “সুবহানাকাল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী" অর্থাৎ হে আল্লাহ্! হে আমার প্রভু! আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি তোমার প্রশংসার সাথে। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি এরূপ করতেন। বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭২

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭২। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) তাঁর রুকূ এবং সিজদায় বলতেন, “সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহ” অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক অতি পবিত্র, অতি মহান। তিনি ফিরিশতাগণ এবং রূহের (অর্থাৎ জিবরাঈল ফিরিশতার) প্রভু। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, সাবধান! আমাকে রুকূ এবং সিজদার মধ্যে কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করা হয়েছে। রুকূর মধ্যে তোমরা নিজ প্রতিপালকের মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সিজদার মধ্যে গভীর মনোযোগের সাথে দোয়া করবে। নিশ্চয় আশা করা যায় তোমাদের দোয়া কবুল হবে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বললে তোমরা বলবে, “আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ" অর্থাৎ হে আল্লাহ্! হে আমাদের প্রভু! তোমরই প্রশংসা নিশ্চয় যার কথা ফিরিশতাদের কথার অনুরূপ হবে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহ মাফ করা হবে। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকূ হতে পিঠ উঠানোর সময় বলতেন, আল্লাহ শোনেন যে তাঁর প্রশংসা করে হে প্রভু! তোমারই প্রশংসা আসমান ও যমিনের পরিপূর্ণতার সমান। অতঃপর তুমি যা চাও, তার পূর্ণতার সমান। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৬। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকূ হতে মাথা উঠানোর সময় বলতেন, “হে আল্লাহ্! হে আমার প্রভু! তোমারই প্রশংসা আসমান পূর্ণ এবং যমিন পূর্ণ। আর তুমি যা চাও, তা পূর্ণ। হে প্রশংসা এবং মর্যাদার অধিকারী! মানুষ যা বলে তুমি তা অপেক্ষা অধিক উপযুক্ত। আমরা সকলেই তোমার বান্দা, হে আল্লাহ্! তুমি যা দিবে তাতে বাধ সাধবার কেউই নেই। তুমি যাতে বাধা দিবে তা দেবারও কেউ নেই এবং কোন বিত্তবানকেই তার বিত্ত বৈভব তোমার শাস্তি হতে রক্ষা করতে পারবে না। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৭। হযরত রিফাআ ইবনে রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমরা নবী পাক (ﷺ)-এর পেছনে নামায পড়ছিলাম। তিনি রুকূ হতে মাথা উঠানোর সময় বললেন, “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" এই সময় তাঁর পেছনে এক ব্যক্তি বলল, “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদু হামদান কাছীরান, ত্বাইয়্যিবান, মুবারাকান ফীহি” অর্থাৎ হে প্রভু! তোমারই প্রশংসা অফুরন্ত প্রশংসা, পবিত্র এবং কল্যাণকর প্রশংসা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে বললেন, “এই সময় কে এই সকল কথা বলল?” সে জবাব দিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি। তিনি বললেন, আমি ত্রিশজনের বেশী ফিরিশতাকে দেখলাম, তারা তাড়াহুড়া করছে যে, এটা কার আগে কে লিখবে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৮। হযরত আবু মাসউদ আনছারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, রুকূ এবং সিজদায় পিঠ স্থিরভাবে সোজা না করা পর্যন্ত কারো নামায যথেষ্ট হয় না। -আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, দারেমী
ইমাম তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এই হাদীসটি হাসান, ছহীহ।
ইমাম তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এই হাদীসটি হাসান, ছহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৭৯

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৯। হযরত ওকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “ফাসাব্বিহ বিসমি রাব্বিকাল আজীম” অর্থাৎ তোমরা মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ঘোষণা কর। এই আয়াত নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটিকে তোমাদের রুকূর জন্যে নির্দিষ্ট কর। এভাবে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ'লা” অর্থাৎ তোমরা উচ্চ মর্যাদাবান প্রভুর নামের পবিত্রতা ঘোষণা কর। এই আয়াত নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটিকে তোমাদের সিজদার জন্যে নির্দিষ্ট কর। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান