মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৭৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে সুতরাহ্ (সুতরা)
৭৮৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, সুতরা ও আড়াল ব্যতীত নামায আদায়কারীর নামায নষ্ট করে গাধা, শূকর, ইয়াহুদী, অগ্নিপূজক এবং স্ত্রীলোকেরা। অবশ্য তার নামায ত্রুটিমুক্ত থাকে যখন তার একটি কঙ্কর নিক্ষেপ পরিমাণ দূর দিয়ে গমন করে। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯০

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি মসজিদে ঢুকে নামায পড়লেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন মসজিদের এক পাশে উপবিষ্ট ছিলেন। লোকটি নামায পড়ে তাঁর নিকট এসে তাঁকে সালাম করল। তিনি তাকে সালামের জবাব দিয়ে বললেন, যাও গিয়ে আবার নামায পড়। তোমার নামায হয় নি। লোকটি পুনরায় নামায পড়ে তাঁর নিকট এসে তাঁকে সালাম দিল। তিনি তাকে সালামের জবাব দিয়ে বললেন, যাও আবার নামায পড়। তোমার নামায হয় নি। এভাবে তৃতীয়বার কিংবা চতুর্থবারের পর লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনি আমাকে নামাযের রীতি শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, যখন তুমি নামাযে দাঁড়ানোর ইচ্ছা করবে, প্রথমে উত্তমরূপে অজু করে কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াবে এবং তাকবীরে তাহরীমা বলবে। তারপর কুরআনে পাকের যা তোমার পক্ষে সহজ হয় তা পাঠ করবে। তারপর রুকূ করবে এবং রুকুতে স্থির থাকবে। তারপর মাথা উঠাবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে। এরপর সিজদাহ করবে এবং সিজদায় স্থির থাকবে। তারপর মাথা উঠাবে এবং স্থিরভাবে বসবে। তারপর (দ্বিতীয়) সিজদাহ করবে এবং সিজদায় স্থির থাকবে। তারপর মাথা উঠাবে এবং স্থির হয়ে বসবে। বর্ণনান্তরে রয়েছে, অতঃপর মাথা উঠাবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর তোমার সমস্ত নামাযেই এরূপ করবে। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯১

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহ আকবার দ্বারা নামায শুরু করতেন এবং আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল 'আলামীন দ্বারা কিরাত শুরু করতেন। যখন রুকুতে যেতেন, মাথা বেশী উঁচুও করতেন না এবং নীচুও করতেন না বরং উভয় অবস্থার মাঝামাঝি রাখতেন এবং রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পূর্বে সিজদাহ করতেন না। যখন সিজদাহ হতে মাথা উঠাতেন, সোজা হয়ে না বসে দ্বিতীয় সিজদায় যেতেন না এবং প্রত্যেক দুই রাকাতের পরেই তাশাহহুদ পড়তেন এবং বসতে তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন আর ডান পা খাড়া রাখতেন। তিনি শয়তানের মত বসতে নিষেধ করতেন এবং পশুর ন্যায় দু’হাত মাটিতে বিছিয়ে দেয়া নিষেধ করতেন। (সবশেষে) তিনি সালাম দ্বারা নামায শেষ করতেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান