মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৭৯২

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯২। হযরত আবু হুমাইদ সায়েদী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্যে বললেন, আমি আপনাদের তুলনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামায বেশী স্মরণ রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি, তিনি তাকবীরে* তাহরীমা বলার সময় দুইহাত দু’কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং রুকুতে দু’হাত দ্বারা দু’ হাঁটু শক্তভাবে ধরতেন এবং পৃষ্ঠ নত করে নিতম্ব ও ঘাড় বরাবর সোজা রাখতেন। রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে একেবারে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে যেতেন। যাতে পিঠের প্রত্যেক গিঁট যথাস্থানে পৌঁছে যেত। তারপর যখন সিজদাহ করতেন দু'হাত যমিনে না মিলিয়ে এবং পেটের সাথে না মিশিয়ে উঁচু করে রাখতেন এবং দু' পায়ের আঙ্গুলসমূহের মাথাকে কিবলামুখী করে রাখতেন। তারপর দু' রাকাতের পরে বাম পায়ের উপর বসতেন এবং ডান পা খাড়া রাখতেন। তারপর যখন শেষ রাকাতের পরে বসতেন, তখন বাম পা ডানদিকে বাড়িয়ে দিতেন এবং অপর পা খাড়া রেখে নিতম্বের উপর উপবেশন করতেন। -বুখারী
* তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত কতটুকু পর্যন্ত উঠাতে হবে ইমামগণের বিভিন্ন মতামত রয়েছে
* তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত কতটুকু পর্যন্ত উঠাতে হবে ইমামগণের বিভিন্ন মতামত রয়েছে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৩। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শুরু করবার সময় দু'হাত, দু' কাঁধ বরাবর উঠাতেন। তারপর যখন রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু* হতে মাথা তুলতেন, তখনও এভাবে দু’হাত তুলতেন এবং বলতেন, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রাব্বানা লাকাল হামদ; কিন্তু সিজদায় যেতে এরূপ করতেন না। -বুখারী, মুসলিম
১. ইমাম শাফী, মালেক, আহমদ (রহ)-এর মতে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে হবে। তাঁদের দলীল আলোচ্য হাদীস -(মেরকাত)
* রুকুতে যাবার সময় এবং রুকূ হতে উঠার সময় “উভয় হাত উত্তোলন" শীর্ষক বিষয়ে ইমামদের মাঝে ভিন্ন মতামত রয়েছে—
১. ইমাম শাফী, আহমদ, মালেক ও হাসান বসরী (রহ)-এর মতে উভয় হাত উত্তোলন করা সুন্নত ও উত্তম। তাদের দলীল হল- আলোচ্য হাদীস।
২. ইমাম আবু হানিফা, সাহেবাইন ও সুফিয়ান ছাওরী (রহ)-এর মতে উভয় হাত উত্তোলন করা সুন্নত নয়; বরং এটা না করাই উত্তম। তাঁদের দলীল নিম্নরূপ—
ان بن مسعود قال أصلي بكم صلوة رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى، فلم يرفع يديه إلا في أول مرة
(رواه ابوداود والترمذي والنسائ)
عن البراء بن عاذب إذا كبر لافتتاح الصلوة رفع يديه حتى يكون إبهاماة قريبا من شحمتى أذنيه ثم لا يعود
(رواه الطحاوي)
ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর পক্ষ থেকে শাফী (রহ)-এর দলীল হিসেবে পেশকৃত আলোচ্য হাদীসের উত্তর নিম্নরূপঃ
১. رفع يدين (উভয় হাত উত্তোলন) প্রথম যুগে ছিল, পরে মনসূখ হয়ে গেছে।
২. অথবা হুজুর (ﷺ) بيان جواز এর জন্য رفع يدين (উভয় হাত উত্তোলন) করেছেন। —(মেরকাত)
১. ইমাম শাফী, মালেক, আহমদ (রহ)-এর মতে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে হবে। তাঁদের দলীল আলোচ্য হাদীস -(মেরকাত)
* রুকুতে যাবার সময় এবং রুকূ হতে উঠার সময় “উভয় হাত উত্তোলন" শীর্ষক বিষয়ে ইমামদের মাঝে ভিন্ন মতামত রয়েছে—
১. ইমাম শাফী, আহমদ, মালেক ও হাসান বসরী (রহ)-এর মতে উভয় হাত উত্তোলন করা সুন্নত ও উত্তম। তাদের দলীল হল- আলোচ্য হাদীস।
২. ইমাম আবু হানিফা, সাহেবাইন ও সুফিয়ান ছাওরী (রহ)-এর মতে উভয় হাত উত্তোলন করা সুন্নত নয়; বরং এটা না করাই উত্তম। তাঁদের দলীল নিম্নরূপ—
ان بن مسعود قال أصلي بكم صلوة رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى، فلم يرفع يديه إلا في أول مرة
(رواه ابوداود والترمذي والنسائ)
عن البراء بن عاذب إذا كبر لافتتاح الصلوة رفع يديه حتى يكون إبهاماة قريبا من شحمتى أذنيه ثم لا يعود
(رواه الطحاوي)
ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর পক্ষ থেকে শাফী (রহ)-এর দলীল হিসেবে পেশকৃত আলোচ্য হাদীসের উত্তর নিম্নরূপঃ
১. رفع يدين (উভয় হাত উত্তোলন) প্রথম যুগে ছিল, পরে মনসূখ হয়ে গেছে।
২. অথবা হুজুর (ﷺ) بيان جواز এর জন্য رفع يدين (উভয় হাত উত্তোলন) করেছেন। —(মেরকাত)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৪لأ হযরত নাফে' হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) যখন নামায শুরু করতেন, তাকবীরে তাহরীমা বলতেন এবং দু'হাত উঠাতেন। তারপর যখন রুকুতে যেতেন তখনও দু'হাত উঠাতেন এবং যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তখনও দু'’ হাত উঠাতেন। তারপর যখন দু' রাকাত পড়ে দাঁড়াতেন তখনও দু'হাত উঠাতেন এবং ইবনে ওমর (রাযিঃ) এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নাম করেই বলেছেন। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৫। হযরত মালেক ইবনে হয়াইরিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন, দু'হাত উঠাতেন। এতে তিনি উভয় হাত কান বরাবর তুলতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখনও এরূপ করতেন। অপর এক বর্ণনায় আছে, এমন কি দু' হাত দু’ কানের লতি বরাবর তুলতেন। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৬। হযরত মালেক ইবনে হয়াইরিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী পাক (ﷺ)-কে নামায পড়তে দেখেছেন, তিনি যখন বেজোড় রাকাতে থাকতেন (সিজদাহ হতে) উঠে দাঁড়াতেন না-যে পর্যন্ত না সোজা হয়ে বসতেন। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৭। হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী পাক (ﷺ)-কে দেখেছেন, তিনি তখন উভয় হাত উঠালেন যখন তিনি তাকবীর বলে নামায শুরু করলেন। তারপর উভয় হাত কাপড়ে ঢাকলেন এবং ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখলেন। তারপর রুকূ করার ইচ্ছা করে উভয় হাত কাপড় হতে বের করে উপরের দিকে উঠালেন ও তাকবীর বললেন। তারপর রুকূ করলেন। অতঃপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলার সময় আবার উভয় হাত উঠালেন। তারপর দুই হাতের মধ্যস্থলে সিজদাহ করলেন। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৮। হযরত সাহাল ইবনে সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, লোকদেরকে বলা হতো যেন তারা নামাযের মধ্যে ডানহাত বাম হাতের উপর রাখে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৭৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলতেন। তারপর তাকবীর বলতেন রুকূ করবার সময়। অতঃপর বলতেন, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ । তখন রুকূ হতে পিঠ সোজা করতেন। তারপর দাঁড়িয়ে বলতেন, রাব্বানা লাকাল হামদ। তারপর নীচের দিকে ঝুঁকবার কালে তাকবীর বলতেন। তারপর সিজদায় যাবার সময় তাকবীর বলতেন। তারপর মাথা উঠানোর কালে তাকবীর বলতেন। তিনি সমস্ত নামাযেই এরূপ করতেন যে পর্যন্ত না নামায শেষ করতেন। আর তাকবীর বলতেন যখন তিনি দু' রাকাত শেষে বসার পর দাঁড়াতেন। —বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮০০

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৮০০। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযের উত্তম বিষয় হল, কুনূত দীর্ঘ করা। কুনূত শব্দটি দাঁড়িয়ে থাকা এবং সিজদায় থাকা উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। (আশি'আতুল লুমআত)।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান