মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
হাদীস নং: ৭৪২
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪২। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে আমার এই মসজিদে আসে এবং শুধু নেক আমলের জন্যই আসে, যা সে শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়, সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী সদৃশ। আর যে এছাড়া অন্য কাজের জন্য আসে সে সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে অন্যের জিনিসকে দেখে (কিন্তু ভোগ করতে পারে না) -ইবনে মাজাহ, বায়হাকী
كتاب الصلاة
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ جَاءَ مَسْجِدي هَذَا لم يَأْته إِلَّا لِخَيْرٍ يَتَعَلَّمُهُ أَوْ يُعَلِّمُهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَنْ جَاءَ لِغَيْرِ ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يَنْظُرُ إِلَى مَتَاعِ غَيْرِهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৩
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৩। হযরত হাসান বছরী (রহ) মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মানুষের সামনে এমন এক যমানা আসবে যখন মসজিদে পার্থিব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে; সুতরাং তাদের সাথে বসো না। তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। —বায়হাকী
كتاب الصلاة
وَعَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَكُونُ حَدِيثُهُمْ فِي مَسَاجِدِهِمْ فِي أَمْرِ دُنْيَاهُمْ. فَلَا تُجَالِسُوهُمْ فَلَيْسَ لِلَّهِ فِيهِمْ حَاجَةٌ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৪
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৪। হযরত সায়েব ইবনে ইয়াযিদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি মসজিদে শায়িত ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি আমার শরীরে একটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলে আমি জেগে দেখলাম, তিনি হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)। তিনি আমাকে বললেন, যাও তুমি গিয়ে এই দুই ব্যক্তিকে আমার নিকট নিয়ে আস। আমি তাদেরকে তাঁর নিকট নিয়ে এলাম। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন গোত্রের এবং কোন দেশের লোক? তারা বলল, আমরা তায়েফের লোক। তিনি বললেন, তোমরা মদীনার লোক হলে আমি তোমাদেরকে কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মসজিদের মধ্যে উচ্চস্বরে চেঁচামেচি করছ। -বুখারী
كتاب الصلاة
وَعَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: كُنْتُ نَائِمًا فِي الْمَسْجِد فحصبني رجل فَنَظَرت فَإِذا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ اذْهَبْ فَأْتِنِي بِهَذَيْنِ فَجِئْتُهُ بِهِمَا فَقَالَ: مِمَّنْ أَنْتُمَا أَوْ مِنْ أَيْنَ أَنْتُمَا قَالَا: مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ. قَالَ: لَوْ كُنْتُمَا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَأَوْجَعْتُكُمَا تَرْفَعَانِ أَصْوَاتَكُمَا فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৫
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৫। হযরত ইমাম মালেক (রহ) বলেছেন, হযরত ওমর (রাযিঃ) মসজিদে নববীর পাশে একটি প্রশস্ত চতুর বানিয়েছিলেন। যাকে বুতাইহা বলা হত। আর (ওমর রাঃ) বলেছিলেন, যদি কেউ বাজে কথা বলতে, কোন কবিতা আবৃত্তি করতে অথবা উচ্চস্বরে কথা বলতে চায়, তবে সে যেন ঐ স্থানে চলে যায়। —মুআত্তা
كتاب الصلاة
وَعَن مَالك قَالَ: بَنَى عُمَرُ رَحَبَةً فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ تُسَمَّى الْبُطَيْحَاءَ وَقَالَ مَنْ كَانَ يُرِيدُ أَنَّ يَلْغَطَ أَوْ يُنْشِدَ شِعْرًا أَوْ يَرْفَعَ صَوْتَهُ فَلْيَخْرُجْ إِلَى هَذِهِ الرَّحَبَةِ. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৬
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৬। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেছেন, (একদা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদের সামনের দিকে কিছুটা নাকের সর্দি দেখতে পেলেন। তাতে তাঁর মনে খুবই কষ্ট হলো এবং তা তাঁর চেহারায় ফুটে উঠল। তিনি দাঁড়িয়ে তা নিজের হাতে খুঁটিয়ে উঠিয়ে ফেললেন। তারপর বললেন, তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে সে তার প্রতিপালকের সাথে কথাবার্তায় লিপ্ত হয়। আর তার প্রতিপালক থাকেন তখন তার ও তার কিবলার মাঝখানে। অতএব কেউ যেন তার কিবলার দিকে থু থু নিক্ষেপ না করে; বরং তার বামদিকে অথবা পায়ের নীচে নিক্ষেপ করে। অতঃপর তিনি (ﷺ) নিজের চাদরের একপার্শ্ব ধরে তাতে থু থু ফেললেন। তারপর তার একাংশকে অপরাংশ দ্বারা ঘষে দিলেন এবং বললেন, কিংবা সে যেন এরূপ করে। —বুখারী
كتاب الصلاة
وَعَن أنس: رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجهه فَقَامَ فحكه بِيَدِهِ فَقَالَ: «إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صلَاته فَإِنَّمَا يُنَاجِي ربه أَو إِن رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَلَا يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ» ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ: «أَوْ يفعل هَكَذَا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৭
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৭। হযরত সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জনৈক সাহাবী একদল লোকের ইমামতি করছিল। সে কিবলার দিকে থু থু নিক্ষেপ করল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা দেখলেন। নামায শেষ হবার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দলকে বললেন, এই ব্যক্তি যেন আর কখনও তোমাদের নামায না পড়ায়। এরপর একবার সে তাদের নামায পড়াতে চাইলে তারা তাকে নিষেধ করল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নির্দেশ তাকে জানিয়ে দিল। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তা উল্লেখ করল। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধরণা যে, তিনি বলেছেন, তুমি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছ। -আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَن السَّائِب بن خَلاد - وَهُوَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ رَجُلًا أَمَّ قَوْمًا فَبَصَقَ فِي الْقِبْلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَرَغَ: «لَا يُصَلِّي لَكُمْ» . فَأَرَادَ بَعْدَ ذَلِك أَن يُصَلِّي لَهُم فمنعوه وَأَخْبرُوهُ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: نَعَمْ وَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّكَ آذيت الله وَرَسُوله» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৮
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৮। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের নামাযে আমাদের নিকট অনুপস্থিত রইলেন—যখন পর্যন্ত না আমরা সূর্যগোলক দেখতে পাওয়ার কাছাকাছি হলাম। একটু পরেই তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলেন। সাথে সাথে নামাযের একামত বলা হল, তিনি (ﷺ) নামায পড়ালেন এবং তা (খুবই) সংক্ষেপ করলেন। যখন সালাম ফেরালেন, সকলকে ডেকে বললেন, তোমরা যে যেভাবে আছ সেভাবেই কাতারে বসে থাক। এরপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন, শোন, আজ ভোরে তোমাদের নিকট আমার আসতে কি প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা বলছি। আমি রাত্রে উঠে অযু করলাম। তারপর আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হলো নামায পড়লাম; কিন্তু নামাযের মধ্যেই আমাকে তন্দ্রায় চেপে ধরল। আমি যেন অচল হয়ে পড়লাম। এই সময় আমি দেখলাম, আমার মহান প্রতিপালকের নিকট আমি পৌঁছে গিয়েছি এবং তিনি খুবই উত্তম অবস্থায় বিরাজ করছেন। তিনি আমাকে সম্বোধন করছেন, হে মুহাম্মাদ! আমি বললাম, হে আমার প্রতিপালক! আমি হাজির। তিনি বললেন, আমার শীর্ষ স্থানীয় ফিরিশতাগণ কি ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক করছে? আমি বললাম, তা আমি অবগত নই। তিনি আমাকে এরূপ তিনবার জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তিনি তাঁর কুদরতের হাত আমার দুই স্কন্ধের মধ্যস্থলে রাখলেন। আমার মনে হল, তাঁর পবিত্র কুদরতি অঙ্গুলিসমূহের শীতলতা আমার বক্ষকেও শীতল করে দিয়েছে। তখন (আসমান-যমিনের) সকল কিছুই যেন আমার গোচরে এসে গেল এবং আমি সকল কিছুই অবগত হলাম। সকল বস্তু আমার নিকট পরিস্ফুট হয়ে উঠল। তারপর তিনি আমাকে পুনরায় সম্বোধন করলেন, হে মুহাম্মাদ! আমি জবাবে বললাম, আমি উপস্থিত আছি, হে আমার প্রতিপালক। তখন তিনি বললেন, তুমি এখন বল, আমার বড় বড় ফিরিশতারা কি ব্যাপারে বিতর্ক করছে? আমি বললাম, কাফফারার ব্যাপারে। তিনি বললেন, সে সকল কি? আমি বললাম, পায়ে হেঁটে জামাতে যাওয়া আর নামাযের পর মসজিদে বসে থাকা, আর কষ্ট হলেও পূর্ণভাবে আর উত্তমরূপে অজু করা। তিনি আবার বললেন, তাছাড়া তারা আর কি নিয়ে বিতর্ক করছে? আমি বললাম, মর্যাদার বিষয়সমূহ নিয়ে। তিনি বললেন, তা কি? আমি বললাম, অপরকে খাদ্য দান করা, নিজ কথাবার্তা ভদ্রতাসুলভ করা এবং রাত্রে নামায আদায় করা, লোকেরা যখন নিদ্রায় অচেতন থাকে। অতঃপর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি আমার নিকট কি প্রার্থনা কর? আমি বললাম, হে প্রতিপালক! আমি চাই তোমার নিকট নেক আমল করতে, বদ আমল বর্জন করতে এবং দীন-দুঃখীকে ভালবাসতে (আর চাই) তুমি আমাকে মাফ কর, আমার প্রতি রহম কর। আর যখন মানুষ ফেতনায় লিপ্ত হয় তখন আমাকে ফেতনামুক্ত অবস্থায় উঠিয়ে নাও। এছাড়া আরও চাই, আমি যেন তোমাকে ভালবাসি এবং তোমাকে যে ভালবাসে তাকে ভালবাসি। আর যে কাজ তোমার ভালবাসার দিকে আমাকে এগিয়ে নিবে যেন সেই কাজকেও ভালবাসি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এই ঘটনাটি ধ্রুব সত্য। তোমরা এটা লিখে রাখ এবং অপরকেও জানিয়ে দাও। -আহমদ, তিরমিযী
তিরমিযী বলেছেন, এই হাদীস হাসান ও ছহীহ এবং আমি এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই হাদীসকে ছহীহ বলেছেন।
তিরমিযী বলেছেন, এই হাদীস হাসান ও ছহীহ এবং আমি এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই হাদীসকে ছহীহ বলেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: احْتَبَسَ عَنَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ غَدَاة عَن صَلَاة الصُّبْح حَتَّى كدنا نتراءى عين الشَّمْس فَخرج سَرِيعا فثوب بِالصَّلَاةِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَجَوَّزَ فِي صَلَاتِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ دَعَا بِصَوْتِهِ فَقَالَ لَنَا عَلَى مَصَافِّكُمْ كَمَا أَنْتُمْ ثُمَّ انْفَتَلَ إِلَيْنَا ثُمَّ قَالَ أَمَا إِنِّي سَأُحَدِّثُكُمْ مَا حَبَسَنِي عَنْكُمُ الْغَدَاةَ إِنِّي قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ فَتَوَضَّأْتُ وَصَلَّيْتُ مَا قُدِّرَ لِي فَنَعَسْتُ فِي صَلَاتِي حَتَّى اسْتَثْقَلْتُ فَإِذَا أَنَا بِرَبِّي تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّ قَالَ فِيمَ يخْتَصم الْمَلأ الْأَعْلَى قلت لَا أَدْرِي رب قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ فَرَأَيْتُهُ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ كَتِفَيَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ أَنَامِلِهِ بَيْنَ ثَدْيَيَّ فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَبِّ قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأ الْأَعْلَى قلت فِي الْكَفَّارَات قَالَ مَا هُنَّ قُلْتُ مَشْيُ الْأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَالْجُلُوسُ فِي الْمَسَاجِد بَعْدَ الصَّلَوَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوَضُوءِ حِينَ الْكَرِيهَاتِ قَالَ ثُمَّ فِيمَ؟ قُلْتُ: فِي الدَّرَجَاتِ. قَالَ: وَمَا هن؟ إطْعَام الطَّعَام ولين الْكَلَام وَالصَّلَاة وَالنَّاس نيام. ثمَّ قَالَ: سل قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةً قوم فتوفني غير مفتون أَسأَلك حَبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يَحْبُكُ وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُنِي إِلَى حبك . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا حَقٌّ فَادْرُسُوهَا ثُمَّ تَعَلَّمُوهَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَسَأَلْتُ مُحَمَّد ابْن إِسْمَاعِيل عَن هَذَا الحَدِيث فَقَالَ: هَذَا حَدِيث صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৪৯
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৪৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশের সময় বলতেন, “আউযুবিল্লাহিল আজীমি ওয়া বী ওয়াজহিহিল কারীমি ওয়া সুলত্বানিহিল ক্বাদীমি মিনাশ শাইতানির রাজীমি” অর্থাৎ আমি আশ্রয় চাচ্ছি মহান আল্লাহর, তাঁর সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অফূরন্ত ক্ষমতার উছিলায় বিতাড়িত শয়তান হতে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন কেউ এটা বলে, তখন শয়তান বলে থাকে, সে আমা হতে সারাদিনের জন্যই রক্ষা পেয়ে গেল। -আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذا دخل الْمَسْجِد قَالَ: «أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» قَالَ: «فَإِذَا قَالَ ذَلِكَ قَالَ الشَّيْطَان حفظ مني سَائِر الْيَوْم» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫০
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৫০। হযরত আতা ইবনে ইয়াসার (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দোয়া করলেন, হে আল্লাহ্! আমার কবরকে প্রতিমা বানিও না, যার পূজা হতে থাকবে। সেই কাওম আল্লাহর ভীষণ ক্রোধে পতিত হয়েছে, যারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে সিজদার স্থান বানিয়েছে। —মালেক মুরসালরূপে
كتاب الصلاة
وَعَن عَطاء بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «اللَّهُمَّ لَا تجْعَل قَبْرِي وثنا يعبد اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائهمْ مَسَاجِد» . رَوَاهُ مَالك مُرْسلا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫১
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৫১। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) হীতান-এ নামায পড়াকে পছন্দ করতেন। কোন কোন রাবী বলেছেন, হীতান অর্থ বাগান। -আহমদ, তিরমিযী
তিরমিযী বলেছেন, এই হাদীসটি এক ব্যক্তি কর্তৃক বর্ণিত। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এই হাদীসে হাসান ইবনে আবু জাফর ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে অবগত নই। আর তাকে ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ এবং অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ দুর্বল বলেছেন।
তিরমিযী বলেছেন, এই হাদীসটি এক ব্যক্তি কর্তৃক বর্ণিত। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এই হাদীসে হাসান ইবনে আবু জাফর ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে অবগত নই। আর তাকে ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ এবং অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ দুর্বল বলেছেন।
كتاب الصلاة
(وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَحِبُّ الصَّلَاةَ فِي الْحِيطَانِ. قَالَ بَعْضُ رُوَاتِهِ يَعْنِي الْبَسَاتِينَ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بن أبي جَعْفَر وَقد ضعفه يحيى ابْن سعيد وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫২
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৫২। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কারো এক নামায নিজের ঘরে এক নামাযের সমান। আর পাঞ্জেগানা মসজিদে তার এক নামায পঁচিশ নামাযের সমান। আর তার এক নামায জুম'আর মসজিদে যা পড়া হয় পাঁচশত নামাযের সমান। আর তার এক নামায বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকছায় পঞ্চাশ হাজার নামাযের সমান। আর তার এক নামায আমার এই মসজিদে পঞ্চাশ হাজার নামাযের সমান। আর তার এক নামায মসজিদে হারামে একলক্ষ নামাযের সমান।—ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلَاةً وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يجمع فِيهِ بخسمائة صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصلَاته فِي الْمَسْجِد الْحَرَام بِمِائَة ألف صَلَاة» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫৩
- নামাযের অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৫৩। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! যমিনে সর্বপ্রথম নির্মিত মসজিদ কোন্টি? তিনি বললেন, মসজিদে হারাম*। আমি বললাম, তারপর কোন্টি? তিনি বললেন, মসজিদে আকছা। আমি বললাম, এই দু'টো মসজিদ বানানোর সময়ের মধ্যে ব্যবধান কত? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। অতঃপর যমিনের সর্বত্রই তোমার জন্য মসজিদ। যেখানে নামাযের সময় হবে সেখানেই নামায পড়ে নেবে। -বুখারী, মুসলিম
* পবিত্র কাবা ঘর নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ সর্বমোট দশবার হয়েছিল-
১. সর্বপ্রথম ফিরিশতাগণ (আদম সৃষ্টির পূর্বে)
২. আদম (আ), ৩. তাঁর পুত্র শীশ (আ), ৪. হযরত ইবরাহীম ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ), ৫. আমালিকা সম্প্রদায়, ৬. জুরহুম গোত্র, ৭. এরপর কুসাই সম্প্রদায়, ৮. কুরাইশ ৯. আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাযিঃ) ১০. হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কা'বাকে ভেঙ্গে কুরায়েশদের ভিত্তির ন্যায় পুনরায় নির্মাণ করেন। অদ্যাবধি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের নির্মাণই বিদ্যমান রয়েছে। (ইসলামী বিশ্বকোষ, ই.ফা.)
* পবিত্র কাবা ঘর নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ সর্বমোট দশবার হয়েছিল-
১. সর্বপ্রথম ফিরিশতাগণ (আদম সৃষ্টির পূর্বে)
২. আদম (আ), ৩. তাঁর পুত্র শীশ (আ), ৪. হযরত ইবরাহীম ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আ), ৫. আমালিকা সম্প্রদায়, ৬. জুরহুম গোত্র, ৭. এরপর কুসাই সম্প্রদায়, ৮. কুরাইশ ৯. আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাযিঃ) ১০. হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কা'বাকে ভেঙ্গে কুরায়েশদের ভিত্তির ন্যায় পুনরায় নির্মাণ করেন। অদ্যাবধি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের নির্মাণই বিদ্যমান রয়েছে। (ইসলামী বিশ্বকোষ, ই.ফা.)
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الْأَرْضِ أَوَّلُ؟ قَالَ: «الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ» قَالَ: قُلْتُ: ثُمَّ أَيْ؟ قَالَ: «ثُمَّ الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى» . قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: «أَرْبَعُونَ عَامًا ثُمَّ الْأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ فَحَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فصل»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫৪
- নামাযের অধ্যায়
৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৪। হযরত ওমর ইবনে আবু সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এক কাপড়ে নামায পড়তে দেখেছি, উম্মে সালামার গৃহে ইশতেমালের নিয়ম অনুযায়ী। অর্থাৎ কাপড়ের দুইদিককে দুই কাঁধের উপর স্থাপন করে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ السَّتْرِ
عَن عمر بن أبي سَلمَة قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُشْتَمِلًا بِهِ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ وَاضِعًا طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقيهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫৫
- নামাযের অধ্যায়
৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যেন এইভাবে এক কাপড়ে নামায না পড়ে, যার কোন অংশ তার কাঁধের উপর থাকে না। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ السَّتْرِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَا يصلين أحدكُم فِي الثَّوْب الْوَاحِد لَيْسَ على عَاتِقيهِ مِنْهُ شَيْء»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫৬
- নামাযের অধ্যায়
৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এক কাপড়ে নামায পড়বে সে যেন তার দুই আঁচলকে (কাঁধের উপর) বিপরীত দিক হতে জড়িয়ে নেয়। -বুখারী
كتاب الصلاة
بَابُ السَّتْرِ
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فليخالف بَين طَرفَيْهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৫৭
- নামাযের অধ্যায়
৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৭। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি নক্সাওয়ালা চাদরে নামায পড়লেন। (নামাযের মধ্যে) একবার তাঁর নক্সার দিকে নজর পড়ল। নামায শেষ করে তিনি বললেন, আমার এই চাদরটি (এর দাতা) আবু জাহমকে দিয়ে দাও এবং (আমার জন্য) অন্য চাদরটি নিয়ে আস। কেননা এটা আমাকে নামাযের একাগ্রতা হতে বিরত রেখেছিল। —বুখারী, মুসলিম
কিন্তু বুখারীর অপর এক রেওয়ায়াতে রয়েছে, আমি এর নক্সার দিকে তাকাচ্ছিলাম, অথচ আমি তখন নামাযরত; সুতরাং আমার ভয় হচ্ছে যে, এটা আমাকে ঝামেলায় ফেলবে।
কিন্তু বুখারীর অপর এক রেওয়ায়াতে রয়েছে, আমি এর নক্সার দিকে তাকাচ্ছিলাম, অথচ আমি তখন নামাযরত; সুতরাং আমার ভয় হচ্ছে যে, এটা আমাকে ঝামেলায় ফেলবে।
كتاب الصلاة
بَابُ السَّتْرِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمِيصَةٍ لَهَا أَعْلَامٌ فَنَظَرَ إِلَى أَعْلَامِهَا نَظْرَةً فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «اذْهَبُوا بِخَمِيصَتِي هَذِهِ إِلَى أَبِي جَهْمٍ وَأَتُوْنِي بِأَنْبِجَانِيَّةِ أَبِي جهم فَإِنَّهَا ألهتني آنِفا عَن صَلَاتي»
وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَنْظُرُ إِلَى علمهَا وَأَنا فِي الصَّلَاة فَأَخَاف أَن يفتنني
وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَنْظُرُ إِلَى علمهَا وَأَنا فِي الصَّلَاة فَأَخَاف أَن يفتنني
তাহকীক: