মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৭১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭১৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেহেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পূর্বদিক ও পশ্চিমদিকের মাঝখানেই কিবলা (অবস্থিত)। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭১৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭১৬। হযরত তালক ইবনে আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার আমরা গোত্রের প্রতিনিধি রূপে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে গেলাম। আমরা তাঁর হাতে বায়আত হয়ে তাঁর সাথে নামায পড়লাম। তারপর বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাদের এলাকায় আমাদের একটি গির্জা রয়েছে। (সেইটিকে আমরা কি করব?) এর পর আমরা বরকতের বস্তু হিসাবে তাঁর অজুর পানি চাইলাম। তিনি পানি এনে অজু করতে শুরু করলেন এবং কুলি করলেন। তারপর তা আমাদের জন্য একটি পাত্রে ঢেলে আমাদেরকে বললেন, তোমরা (এখন) রওয়ানা হয়ে যাও। তোমরা তোমাদের এলাকায় পৌঁছে সেই গির্জাটিকে ভেঙ্গে ফেলবে তৎপর ঐ স্থানে এই পানি ঢেলে দিয়ে স্থানটিকে মসজিদে পরিণত করবে। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! (একে তো) অঞ্চল অনেক দূরে, (তার ওপর) যেমন অধিক গরম এ পানিতো শুকিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আরও পানি মিলিয়ে তা বাড়িয়ে নিবে, তাতে এর বরকত ও পবিত্রতা বাড়বে ছাড়া কমবে না। -নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭১৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭১৭। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতি মহল্লায় মসজিদ বানাতে, তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং তাতে সুগন্ধি ইত্যাদি লাগাতে বলেছেন। -আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭১৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মসজিদসমূহকে অধিক উচ্চ এবং সুন্দর সুসজ্জিতরূপে নির্মাণ করতে আমি আদিষ্ট হই নি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, (কিন্তু দুঃখের বিষয়) তোমরা তাকে (স্বর্ণ-রৌপ্য) খচিত চাকচিক্যময় করে নির্মাণ করবে, যেভাবে ইয়াহুদী-নাছারারা (তাদের গির্জাসমূহকে) করেছে। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭১৯। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি হল, লোকগণ একে অপরের সাথে মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে। -আবু দাউদ, নাসায়ী, দারেমী, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২০। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার নিকট আমার উম্মতের সওয়াবসমূহ এমন কি মসজিদ হতে খড়কুটা বাইরে ফেলে দেবার সওয়াবও হাজির করা হয়েছে। এভাবে আমার নিকট আমার উম্মতের গুনাহসমূহও হাজির করা হয়েছে। তখন আমার নজরে এ গুনাহ হতে বড় কোন গুনাহ নজরে পড়েনি যে, কোন ব্যক্তিকে কুরআনের একটি সূরা অথবা একটি আয়াত দেয়া হয়েছে, তারপর সে তা ভুলে গিয়েছে। –তিরমিযী, আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২১। হযরত বুরাইদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তাদেরকে সুসংবাদ দাও যারা অন্ধকারের মধ্যে মসজিদে যায়। রোজ কিয়ামতে তারা পূর্ণ জ্যোতি লাভ করবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ,

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২২। ইবনে মাজাহ, সহল ইবনে সাদ এবং আনাস (রাযিঃ) হতে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কাউকেও তোমরা মসজিদে নিয়মিত যাতায়াত করতে এবং মসজিদ দেখাশোনা করতে দেখলে সে ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দিবে। কেননা আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেছেন, “ইন্নামা ইয়া'মুরু মাসাজিদাল্লাহি মান আমানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি”। (সূরা তাওবাঃ ১৮) অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি এবং পরকালের প্রতি ঈমানদার ব্যক্তিই মসজিদসমূহকে আবাদ করে। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৪। হযরত ওছমান ইবনে মাযউন (ব) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাদেরকে খোজা (নপুংসক) হতে অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে আমার তরীকায় নেই, যে কাউকেও খোজা করে কিংবা নিজে খোজা হয়। আমার উম্মতের খোজাত্ব গ্রহণ করা হল রোযা রাখা। তারপর হযরত ওছমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাদেরকে সফর করতে অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার উম্মতের সফর হল আল্লাহর পথে জিহাদে গমন করা। তারপর তিনি বললেন, আমাদেরকে বৈরাগ্য অবলম্বন করতে অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার উম্মতের বৈরাগ্য হল মসজিদে নামাযের অপেক্ষায় থাকা। —শরহে সুন্নাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৫। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে 'আয়েশ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একবার আমি আমার মহান প্রতিপালককে উত্তম অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, প্রধান প্রধান ফিরিশতাগণ কি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে? আমি বললাম, আপনিই তা ভাল জানেন। তখন আল্লাহ্ পাক তাঁর কুদরতের হাত আমার দুই স্কন্ধের মধ্যস্থলে রাখলেন, যার শীতলতা আমি আমার বুকের মধ্যে অনুভব করলাম। তখন আমি আসমান যমিনের সকল কিছুই জানতে পারলাম। (বর্ণনাকারী বলেন,) এর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। “এরূপে আমি ইবরাহীমকে আসমান ও যমিনের রাজ্যসমূহ দেখালাম। যাতে সে বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়। (সূরা আন'আমঃ ৭৫) দারেমী একে মুরসাল হিসেবে রেওয়ায়াত করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৬। তিরমিযীও এইরূপ বর্ণনা করেছেন, আব্দুর রহমান ইবনে আয়েশ থেকে ইবনে আব্বাস থেকে এবং মুআয ইবনে জাবাল থেকে এতে যুক্ত করেছেন, “তখন আল্লাহ্ পাক বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি জানেন, বড় বড় ফিরিশতাগণ কোন ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক করছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। কাফফারাত এর ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক করছে। আর কাফফারাত হল নামাযের পর মসজিদসমূহে অবস্থান করা, পায়ে হেঁটে জামাতে হাজির হওয়া এবং কষ্ট হলেও উত্তমরূপে পূর্ণাঙ্গ অজু করা। যে এটা করবে সে কল্যাণময় জীবন কাটাবে, কল্যাণময় মৃত্যুবরণ করবে এবং সে তার গুনাহ হতে মুক্ত হয়ে যাবে সেইদিনের ন্যায়, যেদিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল। অতঃপর আল্লাহ্ পাক বললেন, হে মুহাম্মাদ! নামায পড়ার কালে এই দোয়া করবেঃ “হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট নেককাজ সম্পাদন, বদকাজ বর্জন এবং দরিদ্রের প্রতি দয়া প্রদর্শন করার জন্য তাওফীক চাচ্ছি। হে আল্লাহ্! যখন তুমি তোমার বান্দাদেরকে ফেৎনা ফাসাদে ফেলতে চাইবে, তখন আমাকে ফেতনামুক্ত রেখে তোমার সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।” রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরও বললেন, উচ্চমর্যাদা লাভের পথ হল সালামের প্রচলন করা। গরীবদেরকে খাদ্য দান করা এবং রাত্রে নামায কায়েম করা যখন সকল লোক নিদ্রায় থাকে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৭। হযরত আবু উমামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি তারা সকলেই আল্লাহর দায়িত্বে থাকেঃ (১) যে আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হয়েছে, সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকে, যে পর্যন্ত না তাকে আল্লাহ্ উঠিয়ে নিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করান। অথবা তাকে ফিরিয়ে আনেন যুদ্ধের সওয়াব এবং যুদ্ধলব্ধ মালসহ। (২) যে ব্যক্তি মসজিদে গমন করে সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকে এবং (৩) যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে নিজ ঘরে প্রবেশ করে সেও আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৮। হযরত আবু উমামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার ঘর হতে অজু করে ফরজ নামাযের জন্য বের হয়, তার সওয়াব এহরামধারী হাজীর সওয়াবের সমান। আর যে চাশত নামাযের জন্য বের হয় তার সওয়াব ওমরাহকারীর সওয়াবের সমান। যখন সে ঐ নামায ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে বের হয় না এবং এক নামাযের পর অপর নামায পড়া, যার মাঝখানে কোন অনর্থক কাজ করা হয় না, তার সওয়াব ইল্লিয়্যীনে লিখা হয়ে থাকে। —আহমদ, আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭২৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭২৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা বেহেশতের বাগানসমূহের নিকট দিয়ে গমন করবে, তখন তার ফল সংগ্রহ করবে। আরজ করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! বেহেশতের বাগান কি? তিনি বললেন, তা হল মসজিদগুলো পুনরায় আরজ করা হল, তাতে ফল সংগ্রহ করা কি? তিনি বললেন, তা হল এই কালামটি পাঠ করাঃ “সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।” –তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭৩০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে যে কাজের জন্য আসবে তার ফলই হবে তার প্রাপ্য। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭৩১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩১। হযরত ফাতিমা বিনতে হোসায়েন তাঁর দাদী হযরত ফাতিমায়ে কুবরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ফাতিমায়ে কুবরা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মসজিদে ঢুকতেন তখন নিজের প্রতি দরূদ এবং সালাম পাঠ করতেন এবং বলতেন, হে প্রতিপালক! আমার গুনাহসমূহ মাফ করুন এবং আপনার রহমতের দরজাসমূহ আমার জন্য উন্মুক্ত করে দিন। আর যখন মসজিদ হতে বের হতেন (তখনও) নিজের উপর দরূদ এবং সালাম পাঠ করতেন আর বলতেন, হে প্রতিপালক! আমার গুনাহসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন। (তিরমিযী, আহমদ, ইবনে মাজাহ) আহমদ এবং ইবন মাজাহ (রহ) এর বর্ণনায় আছে, ফাতিমা (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন এবং যখন সেখান থেকে বের হতেন তখন বলতেন, বিসমিল্লাহি ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। অর্থাৎ এ বর্ণনায় পূর্ববর্তী বর্ণনার সাল্লা আলা মুহাম্মাদিন ওয়া সাল্লামা-এর স্থলে বিসমিল্লাহ... এসেছে। ইমাম তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এটির সনদ অবিচ্ছিন্ন নয় এবং হুসায়ন (রাযিঃ)-এর কন্যা ফাতিমা তাঁর দাদী হযরত ফাতিমা (রাযিঃ) এর সাক্ষাত পাননি।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭৩২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩২। হযরত আমর ইবনে শোআইব (রহ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে কবিতা পাঠ করতে, কোনকিছু ক্রয়-বিক্রয় করতে এবং জুম'আর দিনে জুম'আর নামাযের পূর্বে মসজিদে বৃত্তাকারে উপবেশন করতে নিষেধ করেছেন। -আবু দাউদ, তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭৩৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা মসজিদে কাউকে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখলে বলবে যে, আল্লাহ্ পাক তোমার এই ব্যবসায়ে লাভবান না করুন। এরূপে কাউকে মসজিদে কোন বস্তুর সন্ধান, হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে দেখলে বলবে যে, আল্লাহ্ পাক যেন তোমাকে তা ফেরত না দেন। –তিরমিযী, দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৭৩৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩৪। হযরত হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে, কবিতা আবৃত্তি করতে এবং অন্যান্য শাস্তি কার্যকর করতে নিষেধ করেছেন। আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান