মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (সালাতের) সময়সমূহ
৫৮৫। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি তাঁর প্রশাসকদের নিকট লিখলেন, আমার নিকট আপনাদের যাবতীয় কাজের মধ্যে নামাযই হল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি তার হেফাজত করে এবং যথোচিতভাবে তা রক্ষা করে, সে তার দ্বীনকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তাকে বিনষ্ট করেছে, সে তা ব্যতীত অপরগুলোর জন্য আরও বেশী বিনষ্টকারী সাব্যস্ত হবে। তারপর তিনি লিখলেন, যোহর পড়বে যখন ছায়া এক হাত হতে তোমাদের প্রত্যেকের সমান হয়। আছর পড়বে যখন সূর্য উচ্চে পরিষ্কার সাদা থাকে। যাতে একজন উষ্ট্রারোহী সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই দুই বা তিন ফর্সখ (পথ) অতিক্রম করতে পারে* এবং মাগরিব পড়বে যখনই সূর্য অদৃশ্য হয়। এশা পড়বে যখন লালিমা অদৃশ্য হয়, রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত । যে এর পূর্বে নিদ্রা যাবে, তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায় এবং ফজর পড়বে যখন তারকাসমূহ পরিষ্কার থাকে ও দৃশ্যমান থাকে। -মালেক
* ০৩ মাইলে = ১ ফারসাখ। -আল মু'জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৬৮১।
প্রায় ১৬০৯ মিটার = ০১ মাইল। -আল মু'জামুল ওয়াসীত পৃ. ৮৯৪ (সম্পাদক)
* ০৩ মাইলে = ১ ফারসাখ। -আল মু'জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৬৮১।
প্রায় ১৬০৯ মিটার = ০১ মাইল। -আল মু'জামুল ওয়াসীত পৃ. ৮৯৪ (সম্পাদক)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (সালাতের) সময়সমূহ
৫৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, গ্রীষ্মকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যোহরের নামাযের পরিমাণ (অর্থাৎ ছায়ার পরিমাণ) ছিল তিন হতে পাঁচ পা পর্যন্ত এবং শীতকালে ছিল, পাঁচ হতে সাত পা পর্যন্ত। -আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৮৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়
৫৮৭। হযরত সাইয়ার ইবনে সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি এবং আমার পিতা হযরত আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। আমার পিতা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরজ নামায কিভাবে পড়তেন? তিনি বললেন, যোহর যাকে প্রথম নামায বল, যখন সূর্য ঢলে পড়ত তখনই পড়তেন। আর আছর পড়তেন, যার পর আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে তার বাড়িতে ফিরত অথচ সূর্য তখনও পরিষ্কার থাকত। (বর্ণনাকারী বলেন,) মাগরিব সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য আমি ভুলে গিয়েছি। আর এশা যাকে তোমরা আতামাহ বল, তা বিলম্ব করে পড়তেই তিনি ভালবাসতেন এবং তা পড়ার আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথা বলা অপছন্দ করতেন। তিনি ফজরের নামায যখন শেষ করতেন তখন নামাযী ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে বসা ব্যক্তিকে চিনতে পারত এবং তাতে ষাট হতে একশত আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন। বর্ণনাস্তরে রয়েছে, এশাকে রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করতেও তিনি দ্বিধা করতেন না এবং তার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া ও পরে কথা বলা পছন্দ করতেন না। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান