মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের সুন্নত নিয়ম
৫৪৩। হযরত কায়স ইবনে আছেম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ইসলাম গ্রহণ করার পর নবী পাক (ﷺ) তাকে বললেন, বরই পাতা মিশ্রিত পানি দ্বারা গোসল কর। -তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - হায়য-এর বর্ণনা
৫৪৫। হযরত আনাস ইবন মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ইয়াহুদীদের মধ্যে যখন কোন মহিলার হায়েজাক্রান্ত হতো তখন তারা তার সাথে একত্রে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা করত না। তাদেরকে ঘরে রাখত না। একবার নবী পাক (ﷺ)-এর সাহাবীগণ তাঁর নিকট এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন। তখন আল্লাহর তরফ হতে নাযিল হলঃ “আর তারা আপনাকে হায়েজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে-শেষ পর্যন্ত। (সূরা বাকারাঃ ২২২) এই কথা ইয়াহুদীরা জানতে পেরে বলল, এই ব্যক্তি আমাদের কোন ব্যাপারে বিরুদ্ধাচরণ না করে ছাড়ে না। এরপর উসাইদ ইবনে হুযাইর এবং আব্বাদ ইবনে বিশর (রাযিঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীরা এই ধরনের কথা বলে, তবে কি আমরা এ সময়টাতে স্ত্রীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারি না? এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মুখমণ্ডল বিরূপ আকার ধারণ করল। আমরা মনে করলাম যে, তিনি তাদের উপর রাগান্বিত হয়েছেন। অতঃপর তারা বের হয়ে গেল। তারপরেই তাদের সম্মুখ দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কিছু পরিমাণ দুধের হাদিয়া উপস্থিত হল। এরপর তিনি তাদের পিছনে লোক পাঠালেন এবং তাদেরকে তা পান করালেন। যাতে তারা বুঝতে পারল যে, তিনি তাদের উপর রাগান্বিত হন নি। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - হায়য-এর বর্ণনা
৫৪৬। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি এবং নবী পাক (ﷺ) একই পাত্র হতে গোসল করতাম। অথচ তখন আমরা উভয়েই অপবিত্র এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিতেন। যাতে আমি শক্ত করে ইজার (কাপড়) পরতাম। আর তিনি আমার শরীর স্পর্শ করতেন। (অথবা আমার সাথে এক শয্যায় শায়িত হতেন) অথচ তখন আমি হায়েজাক্রান্ত। এভাবে তিনি তাঁর মস্তক আমার দিকে বাড়িয়ে দিতেন। অথচ তখন তিনি থাকতেন ই'তেকাফে লিপ্ত। আর আমি তাঁর মস্তক ধুয়ে দিতাম। অথচ তখন আমি থাকতাম হায়েজাক্রান্ত। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান