মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের সুন্নত নিয়ম
৫৪৪। হযরত ইকরিমাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (একবার) ইরাকের কিছুলোক এসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করল, হে ইবন আব্বাস! আপনি কি জুমু'আর দিনের গোসলকে ওয়াজিব মনে করেন? তিনি বললেন, না। তবে যে গোসল করবে তা তার জন্য অধিক পবিত্রতার কারণ এবং অতি উত্তম কাজ হবে। মূলতঃ তা ওয়াজিব নয়। আমি তোমাদেরকে বলছি শোন, কিভাবে জুমু'আর দিনের গোসল শুরু হয়েছিল। লোকগণ অভাবগ্রস্ত ছিল। পশমের মোটা কাপড় পরত। তদুপরি পিঠে বোঝা বহনের পরিশ্রম করত। অথচ তখন মসজিদ ছিল ক্ষুদ্রায়তন বিশিষ্ট। ছাদ ছিল নীচু এবং খেজুর পাতায় তৈরী। এমতাবস্থায় একদিন গ্রীষ্মের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে এলেন। তখন লোকগণ পশমের বস্ত্র পরা অবস্থায় ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছিল, যাতে তাদের শরীর হতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই কারণে বললেন, হে লোকগণ। জুমু'আর দিনে তোমরা প্রত্যেকে গোসল করে আসবে এবং প্রত্যেকেই সুঘ্রাণযুক্ত তৈল এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে।
ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, অতঃপর আল্লাহ্ পাক মুসলমানদেরকে ধন-সম্পদ দান করলেন। তারা পশম ছাড়া অন্যান্য বস্ত্রও পরতে লাগলেন। পূর্বের ন্যায় পরিশ্রমজনিত কাজ হতেও তারা মুক্ত হলেন। মসজিদও আকারে বড় ও সম্প্রসারিত হতে লাগল। এই অবস্থায় তাদের পূর্বের ঘর্মজনিত দুর্গন্ধের কষ্ট দূর হয়ে গেল। (সুতরাং) তখন আর মুসলমানদের জুম'আর দিনের গোসলের পূর্বানুরূপ আবশ্যকতা থাকল না। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান