মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৩৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৬। হযরত যায়েদ ইবনে হারেছাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, প্রথম যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি অহী অবতীর্ণ হচ্ছিল, তখন একবার জিবরাঈল তাঁর নিকট এসে তাঁকে অজু এবং নামায শিখিয়েছিলেন। যখন তিনি (হুযুরে পাক সা) অজু শেষ করলেন, তখন এক কোষ পানি নিয়ে তা স্বীয় গুপ্তাঙ্গের উপর ছিটিয়ে দিলেন। —আহমদ, দারা কুতনী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, একবার আমার নিকট জিবরাঈল এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ! যখন আপনি অজু করবেন তখন পুরুষাঙ্গের উপর পানি ছিটিয়ে দিবেন। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৮। হযেরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রস্রাব করলেন এবং হযরত ওমর (রাযিঃ) তাঁর পিছনে একটি পানির পাত্র নিয়ে দাঁড়ালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, উমর! এটা কি? উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনার অজুর জন্য পানি। তিনি বললেন, আমি প্রত্যেকবারই প্রস্রাব করার পর অজু করার জন্য আদিষ্ট হইনি। আমি সর্বদা এরূপ করলে তা অবশ্যই সুন্নত হয়ে যাবে। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৬৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৯। হযরত আবু আইয়্যুব আনছারী (রাযিঃ), হযরত জাবের (রাযিঃ) ও হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন এ আয়াতটি নাযিল হলাে : "فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يحب المطهرين " তথায় (মসজিদে কুবায়) এরূপ লোকগণ রয়েছে, যারা পবিত্রতা অর্জন করা ভালবাসে এবং আল্লাহ্ পাক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন।” তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আনসারগণ! আল্লাহ্ পাক তোমাদের পবিত্রতা অর্জনের গুণ বর্ণনা করেছেন। তোমাদের পবিত্রতা কি? তারা বললেন, আমরা নামাযের জন্য অজু করি। অপবিত্রতা হতে গোসল করি এবং পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ কারণেই আল্লাহ্ পাক তোমাদের প্রশংসা করেছেন। অতএব তোমরা সর্বদা এই রীতি বজায় রাখবে। -ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭০। হযরত সালমান ফারসী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক মুশরিক ব্যক্তি আমাকে বিদ্রূপ করে বলল; আমি দেখছি তোমাদের প্রিয় ব্যক্তি তোমাদেরকে সব বিষয়ই শিক্ষা দিচ্ছেন এমন কি পায়খানায় বসার রীতিনীতি পর্যন্ত! আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি আমাদেরকে বলেছেন, আমরা যেন (পায়খানার সময়) কিবলার দিকে ফিরে না বসি। ডান হাতে শৌচক্রিয়া না করি এবং ইস্তেঞ্জার সময় তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার না করি। আর তাতে যেন গোবর ও হাড় না থাকে। -মুসলিম, আহমদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭১। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হাসানাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সামনে এলেন। তখন তাঁর হাতে একটি চামড়ার ঢাল ছিল। তিনি তা (পর্দাস্বরূপ) মাটির উপর খাড়া করে রাখলেন। অতঃপর বসে ঢালটির দিকে ফিরে প্রস্রাব করলেন। তখন তাদের একজন বলল, তোমরা দেখ এই লোকটি নারীদের ন্যায় প্রস্রাব* করছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা শুনে বললেন, তুমি কি জান না যে, এক বনী ইসরাইল ব্যক্তির কি দশা হয়েছিল? তাদের শরীরে বা কাপড়ে প্রস্রাব লাগলে তারা শরীরের বা কাপড়ের সেই অংশ কাচি দ্বারা কেটে ফেলত। ঐ ব্যক্তি তাদেরকে ঐরূপ করা হতে নিষেধ করল; যার কারণে তার কবরে সাজা দেয়া হল। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ। নাসায়ী তা হতে এবং আবু মুসা প্রমুখ হতে বর্ণনা করেছেন।

* ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো কাফির বা মুনাফিক মুসলমানদেরকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এ উক্তিটি করেছিল। তদানীন্তনকালে কাফের মুশরিকদের পুরুষেরা দাঁড়িয়ে এবং মহিলারা বসে প্রস্রাব করতো এবং মহিলারা সাধারণত আড়াল করে প্রস্রাব করতো।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭২। ইমাম নাসায়ী এ হাদীসটি ’আব্দুর রহমান ও আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭৩। হযরত মারওয়ান আছপার (রহ) বলেছেন, আমি হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে দেখলাম, তিনি কিবলার দিকে তার বাহন উটকে বসালেন, তারপর বসে তার দিকে প্রস্রাব করলেন। তখন আমি বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান। এরূপ করতে কি নিষেধ করা হয় নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অবশ্য তা নিষেধ করা হয়েছে উন্মুক্ত প্রান্তরের ক্ষেত্রে; কিন্তু যখন তোমার ও কিবলার মধ্যে আড়স্বরূপ কোন বস্তু থাকবে, তখন এতে কোন দোষ নেই। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭৪। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানা হতে বের হওয়ার সময় পাঠ করতেন, “الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي ” অর্থাৎ সেই আল্লাহ্ পাকের যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমা হতে ক্লেশকর বস্তু দূর করলেন এবং আমাকে নিরাপদ করলেন। ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৭৫। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জিনের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে যখন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার উম্মতকে বলে দিন তারা যেন হাড়, শুষ্ক গোবর ও কয়লার দ্বারা ইস্তেঞ্জা না করে। কেননা আল্লাহ্ পাক তা আমাদের খাদ্যদ্রব্যস্বরূপ নির্দিষ্ট করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উম্মতদেরকে ঐ কাজ হতে নিষেধ করে দিলেন। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৭৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৭৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যদি না আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টকর বলে মনে করতাম তাহলে আমি তাদেরকে নির্দেশ দিতাম, এশার নামায দেরি করে আদায় করতে এবং প্রত্যেক নামাযের সময় মেসওয়াক করতে। - বুখারী, মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান