মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৮। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ডানহাত ছিল তাঁর পবিত্রতা অর্জন এবং পানাহারের জন্য। আর বামহাত ছিল তাঁর ইস্তেঞ্জা এবং অন্যান্য নিকৃষ্ট ধরনের কাজের জন্য। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৯

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৯। - উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় যায়, সে যেন তিনটি ঢিলা সাথে করে নিয়ে যায়। এ ঢিলাগুলো দিয়ে সে পাক-পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট হবে। (আহমাদ, আবু দাউদ, নাসায়ী ও দারিমী)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫০

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫০। ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা শুকনা গোবর ও হাড় দিয়ে শৌচকর্ম করো না। কেননা এসব তোমাদের ভাই জিনদের খোরাক। (তিরমিযী) তবে ইমাম নাসায়ী ’জিনদের খোরাক’ বাক্যটি উল্লেখ করেননি।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫১

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫১। রুওয়াইফি’ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে রুওয়াইফি’! হয়তো তুমি আমার পরে দীর্ঘ জীবন লাভ করবে, তুমি তখন মানুষকে এ সংবাদ দিবে যে, যে ব্যক্তি নিজের দাড়ি জট পাকাবে অথবা ধনুকের রশি গলায় কবচ হিসেবে বাঁধবে অথবা পশুর গোবর বা হাড় দিয়ে শৌচকর্ম করবে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তার সাথে কোন সম্পর্ক রাখেন না। (আবু দাউদ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫২

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫২। আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সুরমা লাগায়, সে যেন বেজোড় সংখ্যায় লাগায়। যে এভাবে করলো সে ভালো করলো, আর যে এভাবে করলো না সে গর্হিত কাজ করলো না। আর যে ব্যক্তি (প্রস্রাব-পায়খানা করার পর) ঢিলা ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় ঢিলা ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি এভাবে করলো সে ভালো করলো, আর যে ব্যক্তি করলো না সে গর্হিত কাজ করলো না। যে ব্যক্তি খাবার খেলো এবং (খাবারের পর) খিলাল দ্বারা দাঁত হতে কিছু বের করলো, সে যেন তা মুখ থেকে ফেলে দেয়। আর যা জিহবা দিয়ে বের করে নেয় তা যেন গিলে ফেলে। যে এভাবে করলো সে উত্তম কাজ করলো, আর যে এরূপ করলো না সে গর্হিত কাজ করলো না। যে লোক পায়খানায় যায় সে যেন পর্দা করে। পর্দা করার জন্য যদি সে বালুর স্তূপ ছাড়া কিছু না পায় তাহলে স্তূপের দিকে যেন পিঠ দিয়ে বসে (কাপড় দিয়ে সামনের দিক ঢেকে রাখে)। কারণ শায়ত্বন (শয়তান) মানুষের বসার স্থান নিয়ে খেলা করে। যে এরূপ করলো ভালো করলো, আর না করলে মন্দ কিছু করলো না। (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৩। ’আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব না করে, এরপর আবার সেখানে গোসল করে অথবা উযূ করে। কারণ মানুষের অধিকাংশ ওয়াস্ওয়াসা এসব থেকেই উৎপন্ন হয়। (আবু দাউদ) কিন্তু শেষের দু’জন (তিরমিযী ও নাসায়ী), ’’এরপর সেখানে গোসল করে ও উযূ করে’’ উল্লেখ করেননি।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৪

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৪। ’আব্দুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গর্তে প্রস্রাব না করে। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)[1]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৫

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৫। মু’আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিনটি অভিশপ্ত হওয়ার যোগ্য কাজ- (১) পানির ঘাটে, (২) চলাচলের পথে ও (৩) কোন কিছুর ছায়ায় পায়খানা করা- এমন করা হতে বেঁচে থাকবে। (আবু দাউদ ও ইবনু মাজাহ্)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৬

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৬। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দুইজন লোক একসাথে যেন তাদের লজ্জাস্থান অনাবৃত করে পরস্পরে কথাবার্তা বলতে বলতে পায়খানা না করে। কারণ এতে আল্লাহ্ পাক রাগান্বিত হন। —আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৭

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৭। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পায়খানার স্থানসমূহই হল (জিন শয়তানদের) ঘাঁটি; সুতরাং তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় যাবে তখন সে যেন পাঠ করে, "أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبْثِ والخبائث " অর্থ হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পুরুষ ও নারী শয়তান হতে আশ্রয় চাচ্ছি। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৮

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৮। হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, শয়তানের চক্ষু এবং মানুষের গুপ্তাঙ্গের মধ্যে পর্দা হল তোমাদের কারো পায়খানায় যাবার সময় বিসমিল্লাহ বলা। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৫৯

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৯। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানা হতে বের হওয়ার সময় বলতেন, “গুফরানাকা” অর্থাৎ হে আল্লাহ্! তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬০

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানায় যাওয়ার সময় আমি তাঁর জন্য কখনও তাওরে করে আবার কখনও বা রাকওয়ায় করে পানি নিয়ে যেতাম। তিনি তাদ্বারা ইস্তেঞ্জা করতঃ মাটিতে হাত মুছতেন। তারপর আমি আর একপাত্র পানি আনতাম। তাদ্বারা তিনি অজু করতেন। আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬১

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬১। হযরত হাকাম ইবনে সুফিয়ান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন প্রস্রাব করে অজু করতেন তখন স্বীয় গুপ্তাঙ্গে পানি ছিটিয়ে দিতেন। -আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬২

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬২। হযরত উমাইমাহ বিনতে রুকাইকাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খাটের নীচে একটি কাঠের পেয়ালা থাকত, যাতে (বিশেষ ওজরের সময়) তিনি রাত্রে প্রস্রাব করতেন । -আবু দাউদ, নাসায়ী
* ১। রাতের বেলায় অসুস্থতাজনিত কারণে মহানবী (ﷺ) কাঠের পেয়ালায় প্রস্রাব করতেন।
২। রাতের বেলায় বাইরে বের হতে কষ্ট হতো বিধায় সাবধানতার স্বার্থে তাতে পেশাব করতেন।
* ১। রাতের বেলায় অসুস্থতাজনিত কারণে মহানবী (ﷺ) কাঠের পেয়ালায় প্রস্রাব করতেন।
২। রাতের বেলায় বাইরে বের হতে কষ্ট হতো বিধায় সাবধানতার স্বার্থে তাতে পেশাব করতেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৩। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, হে উমর! দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করবে না। তারপর আমি আর কখনও দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
শায়খ মুহিউস-সুন্নাহ বলেন, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বর্ণিত এ হাদীসটি সহীহ;
শায়খ মুহিউস-সুন্নাহ বলেন, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বর্ণিত এ হাদীসটি সহীহ;

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬৪

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৪। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বর্ণিত এ হাদীসটি সহীহ; নবী করীম (ﷺ) একদা কওমের ময়লা ফেলার স্থানে এলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলেন। কেউ কেউ বলেছেন যে, এটা ছিল ওযরবশত। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬৫

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৫। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতেন, তোমরা তার কথা সমর্থন করো না। কেননা তিনি সর্বদা বসেই প্রস্রাব করতেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান