মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৪০

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪০। হযরত আবু কাতাদাহ আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ পানি পান করার সময় যেন পানির পাত্রে নিঃশ্বাস না ছাড়ে, আর পায়খানায় গিয়ে কেউ যেন নিজ ডান হাতে স্বীয় পুরুষাঙ্গ স্পর্শ না করে। আর নিজের ডান হাতদ্বারা ইস্তেঞ্জা না করে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪১

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪১। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে কেউ অজু করে, সে যেন নাক ঝাড়ে। আর যে কুলুখ ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক (তিনটি) ঢিলা দ্বারা কুলুখ করে। —বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪২। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লহ (ﷺ) যখন পায়খানায় যেতেন। তখন আমি ও অপর একটি বালক পানির পাত্র এবং মাথায় ফলাওয়ালা একটি লাঠি নিয়ে (তাঁর সাথে) যেতাম। সেই পানি দ্বারা তিনি ইস্তেঞ্জা সম্পন্ন করতেন। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৩। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানায় যাবার সময় নিজের আংটিটি খুলে রাখতেন। -আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৪

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৪। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন মাঠে পায়খানায় যেতে মনস্থ করতেন তখন তিনি এত বেশী দূর গিয়ে পৌঁছতেন যে কেউই তাঁকে দেখতে পেত না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৫

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৫। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলাম। প্রস্রাব করার প্রয়োজন দেখা দেয়ায় তিনি একটি প্রাচীরের পাদদেশে গিয়ে একটি নরম জায়গায় প্রস্রাব করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কেউ প্রস্রাব করার ইচ্ছা করলে এইরূপ নরম স্থান খুঁজে নিও। (যাতে প্রস্রাবের ছিটা শরীরে না লাগে)। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৬

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৬। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানায় বসার সময় যমিনের একেবারে নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত কাপড় উঠাতেন না। -তিরমিযী, আবু দাউদ, দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪৭

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৪৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের জন্য পুত্রের প্রতি পিতার ন্যায়। আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দান করি তোমরা পায়খানায় গিয়ে কিবলাকে সামনেও রাখবে না, পিছনেও রাখবে না। এছাড়া তিনি তিনটি ঢিলা ব্যবহার করতে বললেন এবং শুকনা গোবর মাটিতে খাওয়া হাড় ইস্তেঞ্জায় ব্যবহার করতে নিষেধ করলেন। ডান হাতে ইস্তেঞ্জা করতেও বারণ করলেন। -ইবনে মাজাহ, দারেমী
* আল্লাহর রাসূল (ﷺ) নিজেকে মুমিনের জন্য পিতার সমতুল্য ঘোষণা দিয়েছেন। একথা সর্বজন স্বীকৃত যে পিতা সদাসর্বদা সন্তানের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করেন। সন্তানের প্রকার সাফল্য, মর্যাদা, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি সব ধরনের উন্নতির জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকেন এটা সন্তানের প্রতি পিতার অগাধ স্নেহ ও ভালবাসার কারণেই হয়ে থাকে। পিতা সন্তানের জন্য যতটুকু স্নেহশীল থাকেন দয়ালু নবী (ﷺ) তারচেয়ে শত শত গুণ স্নেহপরায়ণ ছিলেন মু'মিনদের উপর। মহানবী (ﷺ) দয়াপরবশ হয়ে মু'মিনদের জীবন চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন দয়ালু পিতার ন্যায়। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন যে, নবী হলেন মু'মিনদের নিকট তাদের জীবনের চেয়ে অধিক প্রিয়।
* আল্লাহর রাসূল (ﷺ) নিজেকে মুমিনের জন্য পিতার সমতুল্য ঘোষণা দিয়েছেন। একথা সর্বজন স্বীকৃত যে পিতা সদাসর্বদা সন্তানের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করেন। সন্তানের প্রকার সাফল্য, মর্যাদা, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি সব ধরনের উন্নতির জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকেন এটা সন্তানের প্রতি পিতার অগাধ স্নেহ ও ভালবাসার কারণেই হয়ে থাকে। পিতা সন্তানের জন্য যতটুকু স্নেহশীল থাকেন দয়ালু নবী (ﷺ) তারচেয়ে শত শত গুণ স্নেহপরায়ণ ছিলেন মু'মিনদের উপর। মহানবী (ﷺ) দয়াপরবশ হয়ে মু'মিনদের জীবন চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন দয়ালু পিতার ন্যায়। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন যে, নবী হলেন মু'মিনদের নিকট তাদের জীবনের চেয়ে অধিক প্রিয়।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান