মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৩২

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩৩২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, চুম্বন করা লমস (সহবাস)-এরই শামিল। সুতরাং চুম্বন করে তোমরা অজু করবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩৩৩। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয হযরত তামীম দারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক প্রবাহমান রক্তের কারণেই অজু করতে হবে।
দারা কুতনী হাদীস দুইটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, উমর ইবনে আব্দুল আযীয এটা তামীম দারী (রাযিঃ) হতে শোনেননি এবং তার সাথে তার সাক্ষাতও হয়নি। অপর রাবী ইয়াযিদ ইবনে খালেদ ও ইয়াযিদ ইবনে মুহাম্মাদ দুইজনই অজ্ঞাত।
দারা কুতনী হাদীস দুইটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, উমর ইবনে আব্দুল আযীয এটা তামীম দারী (রাযিঃ) হতে শোনেননি এবং তার সাথে তার সাক্ষাতও হয়নি। অপর রাবী ইয়াযিদ ইবনে খালেদ ও ইয়াযিদ ইবনে মুহাম্মাদ দুইজনই অজ্ঞাত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৪। হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা পায়খানায় গিয়ে কিবলাকে সম্মুখে বা পিছনে রাখবে না। বরং পূর্বদিকে ফিরে বসবে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। -বুখারী, মুসলিম
শায়খ মুহীউস সুন্নাহ বাগাবী (রহ) বলেন যে, হাদীসটি উন্মুক্ত প্রান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; কিন্তু প্রাচীর ঘেরা স্থানে বসলে দোষণীয় হবে না।
শায়খ মুহীউস সুন্নাহ বাগাবী (রহ) বলেন যে, হাদীসটি উন্মুক্ত প্রান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; কিন্তু প্রাচীর ঘেরা স্থানে বসলে দোষণীয় হবে না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি একবার কোন প্রয়োজনে হাফসা (রাযিঃ)-এর গৃহের ছাদে উঠেছিলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিবলাকে পিছনে রেখে সিরিয়ার দিকে ফিরে তাঁর (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন পূরণ করছেন। —বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৬। হযরত সালমান ফারেসী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে কিবলার দিকে ফিরে পায়খানা পেশাবে বসতে, ডান হাতে কুলুখ নিতে, কুলুখ তিনটির কম ব্যবহার করতে এবং শুষ্ক গোবর বা হাড় দ্বারা ইস্তেঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৭। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পায়খানায় যাবার সময়ে পাঠ করতেন, اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخبث والخبائث অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাচ্ছি। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু'টি কবরের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময়ে বললেন, এই কবর দুটির অধিবাসীদ্বয়কে শাস্তি দেয়া হচ্ছে; কিন্তু কোন গুরুতর পাপ কাজের কারণে নয়। এদের একজন প্রস্রাব করার কালে আড়াল করত না। মুসলিমের বর্ণনান্তরে রয়েছে যে, উত্তমরূপে পবিত্রতা লাভ করত না। আর দ্বিতীয়জন চোগলখুরী করে বেড়াত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি কাঁচা খেজুর শাখা নিয়ে তা দুইখণ্ড করতঃ একেকটি খণ্ড একেকটি কবরের উপর গেড়ে দিলেন। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি এরূপ কেন করলেন? তিনি বললেন, শাখা দু'টি যতদিন না শুকাবে ততদিন পর্যন্ত হয়তো বা তাদের আযাব হাল্কা করা হবে। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৩৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা দু'টি অভিশাপের কারণ হতে বেঁচে থাকবে। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে দু'টি অভিশাপের কারণ কি? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি মানুষের চলার পথে বা ছায়ায় পায়খানা করে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান