মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩- ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২২৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২২৯। আহমাদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ হাদীসটি যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তবে তিরমিযী ও আবু দাউদ ثَلَاثٌ لَّا يَغِلُّ হতে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেননি।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩০। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি , আল্লাহ্ পাক সেই ব্যক্তির চেহারা জ্যোতির্ময় করুন, যে ব্যক্তি আমার কথা শুনে অবিকল সেভাবেই তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। কেননা বহুক্ষেত্রে যাকে পৌঁছানো হয়, সে ব্যক্তি শ্রোতা অপেক্ষা অধিক সংরক্ষণকারী বা জ্ঞানী হয়ে থাকে। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩১। এ হাদীসটি দারিমী আবুদ্ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার তরফ হতে হাদীস রেওয়ায়েতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবে- তবে যা তোমরা সুনিশ্চিত ভাবে জানো। কেননা যে ব্যক্তি আমার প্রতি জেনে শুনে মিথ্যারোপ করে, সে যেন তার ঠিকানা দোযখে বানিয়ে নেয়। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৩। ইবনু মাজাহ্ এ হাদীসকে ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন এবং প্রথম অংশ ’আমার পক্ষ হতে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবে’ অংশটুকু বর্ণনা করেননি।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কুরআনে পাকে নিজের মতানুসারে কোন কথা বলবে, সে যেন তার ঠিকানা দোযখে বানিয়ে নেয়। বর্ণনাস্তরে রয়েছে, যে ব্যক্তি কুরআনে পাকে নিশ্চিত ইলম ছাড়া কোন কথা বলবে সে যেন তার ঠিকানা দোযখে বানিয়ে নেয়। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৫। হযরত জুনদুব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কুরআনে পাকের ব্যাখ্যায় নিজের মনগড়া কোন কথা বলবে (এবং ঘটনাক্রমে) তা যথার্থ হবে। নিশ্চয়ই সে ভুল করেছে। (কেননা সত্য উদঘাটনে সে ভুলপথ অবলম্বন করেছে)। -তিরমিযী, আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কুরআনে পাকের কোন বিষয় নিয়ে বাদ-বিতণ্ডা করা কুফরী। -আহমদ, আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৭। হযরত আমর ইবনে শুআয়েব তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে রেওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলে পাক (ﷺ) একদল লোককে কুরআনে পাকের বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ করতে শুনে বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এই কারণেই ধ্বংস হয়েছে। তারা আল্লাহর কিতাবের এক অংশকে অপর অংশ দ্বারা রহিত করার প্রয়াস পেয়েছিল। অথচ আল্লাহর কিতাব নাযিল হয়েছে তার এক অংশ অপরাংশের সত্যায়নকারী ও সাহায্যকারী হিসাবে; সুতরাং তোমরা এর এক অংশকে অপর অংশ দ্বারা অসত্য প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে না; বরং যতটুকু তোমরা জান শুধু তাই বলবে। আর যা তোমরা জান না তা আলিমের কাছে সোপর্দ করবে। -আহমদ, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কুরআনে পাক সাত হরফসহ নাযিল হয়েছে। তার প্রত্যেক আয়াতের একটি বাহ্যিক এবং একটি আভ্যন্তরীণ দিক আছে। আর প্রত্যেক দিকেরই একটি সীমা আছে এবং প্রত্যেক সীমারই একটি জানবার স্থান আছে। -শারহুস সুন্নাহ
* (১) আল্লামা ইবনে হিব্বানের মতে سَبْعَةِ أَحْرُفٍ দ্বারা সাত ধরনের বিধান তথ্য ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মোস্তাহাব, হালাল, হারাম, মাকরূহ ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে।
(২) এর দ্বারা সাতটি قراءة متواتره উদ্দেশ্য।
* (১) আল্লামা ইবনে হিব্বানের মতে سَبْعَةِ أَحْرُفٍ দ্বারা সাত ধরনের বিধান তথ্য ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মোস্তাহাব, হালাল, হারাম, মাকরূহ ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে।
(২) এর দ্বারা সাতটি قراءة متواتره উদ্দেশ্য।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৩৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ইলম তিন প্রকার। অর্থাৎ তিন প্রকারের ইলমই সত্যিকার ইলম। যেমন আয়াতে মুহকামের ইলম, সুন্নতে কায়েমার ইলম এবং ফরিজায়ে আদেলার ইলম। এছাড়া বাকী সমস্ত অতিরিক্ত। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪০। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজাঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, খোদ আমীর কিংবা তার তরফ হতে নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ছাড়া আর কেউ বক্তৃতা ভাষণ দান করে না। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪১। দারিমী এ হাদীসটি ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) থেকে তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। হাদীসের এ বর্ণনায় শব্দ مختال এর পরিবর্তে مراء উল্লেখ রয়েছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪২। হতরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তিকে ইলম ছাড়া ফতোয়া দেয়া হয়েছে (এবং সে তদনুযায়ী কাজ করেছে) এর গুনাহ যে তাকে ফতোয়া দিয়েছে তার উপরই প্রযুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি তার ভাইকে এমন পরামর্শ দিয়েছে যে সম্পর্কে সে জানে যে, সঠিক বিষয় অন্যটি। সে নিশ্চয়ই তার ভ্রাতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৩। হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারক কথা বলতে বারণ করেছেন। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৪। হযরত আবু হুায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফারায়েজ ও কুরআন শিখে নাও আর মানুষকে শিক্ষা দিতে থাক। কেননা আমাকে তুলে নেয়া হবে। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৫। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন, এটা এমন এক সময়, যখন ইলম মানুষের থেকে ছো মেরে তুলে নেয়া হবে। এমনকি তারা ইলমের এতটুকু অংশও রাখতে পারবে না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এমন সময় প্রায় নিকটবর্তী, যখন মানুষ ইলমের অনুসন্ধানে দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোন স্থানে মদীনার আলিমদের তুলনায় বিজ্ঞ আলিমের সন্ধান পাওয়া যাবে না। ইমাম তিরমিযী (রহ) তাঁর জামে তিরমিযীতে বর্ণনা করেন, ইমাম মালেকের শিষ্য সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলেছেন- মদীনার সে আলিম হযরত ইমাম মালেক ইবনে আনাস (রহ) এরূপ অভিমত প্রসিদ্ধ ইমামুল হাদীস আব্দুর রাজ্জাক (রহ) হতেও বর্ণিত আছে। তবে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার শিষ্য ইসহাক ইবনে মুসা বলেছেন, আমি হযরত সুফিয়ান ইবনে উয়ইনাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, তিনি হলেন উমরী আয-যাহেদ। তাঁর প্রকৃত নাম আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এই কথা জেনেছি যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ পাক এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর পরে এমন ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন, যিনি তাদের দ্বীনের সংস্কার করবেন। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৮। (তাবেয়ী) হযরত ইবরাহীম ইবনে আব্দুর রহমান উযরী (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক পরবর্তী দলের উত্তম লোকগণই এই ইলমকে গ্রহণ করবে। যারা এটা হতে সীমা লঙ্ঘনকারীদের রদবদল, বাতিল লোকদের মিথ্যারোপ এবং অজ্ঞ-মূর্খদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দূর করবেন। -বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান