মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩- ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৫০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫০। হযরত হাসান বসরী (রহ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বনী ইস্রাঈলের দু’জন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। এদের একজন ছিলেন আলিম। যিনি ফরজ নামায পড়ে বসতেন। তারপর মানুষকে ইলম শিক্ষা দিতেন। অপর ব্যক্তি সর্বদা রোযা রাখতেন এবং সারারাত নামায পড়তেন। এদের মধ্যে উত্তম কে? এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে আবেদ সারাদিন রোযা রাখে আর সারারাত নামায পড়ে, তার তুলনায় সেই আলিমের ফজীলত যে ফরয নামায পড়ে বসে, তারপর লোকদেরকে ইলম শিক্ষা দেয় এইরূপ বেশী, যেমন আমার ফজীলত তোমাদের কোন এক সাধারণ ব্যক্তির উপর। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫১। হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দ্বীনের আলিম কত উত্তম লোক, যদি তার প্রতি মানুষ মুখাপেক্ষী হয় তাহলে সে তাদের উপকার করে। আর যদি তার প্রতি লোকের কোন প্রয়োজন না থাকে, তখন সে নিজেকে যথাস্থানে সুস্থির রাখে। -রাযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২। হযরত ইকরিমাহ (রহ) হতে বর্ণিত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, প্রত্যেক শুক্রবারে একবার মানুষের মাঝে ওয়াজ নছীহত করবে। এটা অস্বীকার করলে দুইবার করবে। আর এটা হতেও বেশী করতে চাইলে তিনবার করবে। এই কুরআনকে মানুষের নিকট বিরক্তিকর করে তুলবে না। আর আমি যেন কখনও এরূপ না দেখি যে, লোকগণ যখন নিজেদের কোন বিষয় নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত রয়েছে। আর সেই সময় তুমি তাদের মাঝে গিয়ে ওয়াজ নছীহত শুরু করে দিয়েছ আর তাদের আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাদের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি করেছ; বরং ঐরূপ অবস্থায় তুমি নীরব থাকবে। যখন তারা তোমাকে ওয়াজ নছীহত করতে বলবে তখনই তুমি তা শুরু করবে এবং তাতে রত থাকবে যতক্ষণ তারা তোমার ওয়াজ শুনতে আগ্রহ করবে। কবিতার ছন্দে দোয়া প্রার্থনা পরিত্যাগ করবে এবং ঐরূপ অভ্যাস হতে বিরত থাকবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণকে দেখেছি, তারা কখনও এরূপ করতেন না। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩। হযরত ওয়াছেলাহ ইবনে আসকা' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইলম তলব করে তা হাছিলে সক্ষম হয়েছে। তার জন্য দ্বিগুণ বিনিময় রয়েছে। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মু'মিনের মৃত্যুর পরেও তাঁর আমল ও সৎকাজসমূহের মধ্যে যার ছওয়াব তার নিকট সর্বদা পৌঁছতে থাকবে। তা হলঃ (১) যে ইলম সে শিক্ষা করেছে, অতঃপর তা বিস্তার করেছে। অথবা (২) তার দুনিয়ায় রেখে যাওয়া নেককার সন্তান। অথবা (৩) মীরাছরূপে রেখে যাওয়া কুরআন। অথবা (৪) নির্মাণকৃত মসজিদ অথবা (৫) পথিক মুসাফিরদের জন্য তৈয়ারকৃত মুসাফিরখানা অথবা (৬) খননকৃত খাল, কূপ, তালাব প্রভৃতি অথবা (৭) সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় দান-খয়রাত করার জন্য আলাদা করে রেখে যাওয়া ধন-দৌলত। (এগুলোর ছওয়াব) তার মৃত্যুর পরও তার নিকট পৌঁছে থাকে। – ইবনে মাজাহ, বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৫। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক আমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছেন, যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের জন্য কোন পথে চলবে, তাঁর জন্য আমি বেহেশতের পথ সহজ করে দিব এবং যার দুই চক্ষু আমি নিয়ে গিয়েছি তাকে তার বদলে আমি বেহেশত দান করব। ইবাদাত অধিক করার তুলনায় অধিক ইলম হাসিল করা উত্তম। দ্বীনের আসল বস্তু হল পরহেযগারী তথা সংশয় সন্দেহের বস্তু হতে বেঁচে থাকা। -বায়হাকী, শুআবুল ঈমান

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, রাত্রের কিছু সময় ইলমের চর্চা করা ইবাদাতে সারারাত্রি কাটিয়ে দেয়া হতে উত্তম। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মসজিদে সাহাবীগণের দুইটি মজলিসের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। (একটি মজলিসে দোয়া করা হচ্ছিল। আর অপর মজলিসে ইলমের আলোচনা চলছিল।) তখন তিনি বললেন, দুইটি মজলিসেই ভাল কাজ চলছে। তবে এর একটি অন্যটির তুলনায় উত্তম। অবশ্য এরা আল্লাহ্কে ডাকছে এবং আল্লাহর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। আল্লাহ্ পাক তাদের আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছা করলে পূর্ণ করতে পারেন, ইচ্ছা করলে অপূর্ণও রাখতে পারেন; আর এরা যে ইলম শিক্ষা করছে এবং অশিক্ষিতদেরকে শিক্ষাদান করছে এরাই উত্তম। আর আমিই তো শিক্ষাদানকারীরূপে প্রেরিত হয়েছি। এই কথা বলে তিনি এই দলটির মাঝেই বসে গেলেন। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৮। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস এবং বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইলমের কোন স্তর পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি ফকীহ আলিম হতে পারে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনের বিষয়ে চল্লিশটি হাদীস হিফজ (মুখস্থ) করবে রোজ কিয়ামতে আল্লাহ্ তাকে ফকীহ আলিমরূপে* উঠাবেন। আর আমি রোজ কিয়ামতে তার জন্য সাক্ষী ও শাফায়াতকারী হব।
* সঠিক বর্ণনাঃ "আল্লাহ্ তার হাশর ফকীহ আলেমের সাথে করবেন।"
* সঠিক বর্ণনাঃ "আল্লাহ্ তার হাশর ফকীহ আলেমের সাথে করবেন।"

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৯। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (স) আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, দান-খয়রাতের দিক হতে সর্বাপেক্ষা বড় দাতা কে তোমরা বলতে পার কি? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই তা সম্যক অবগত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহ্ পাকই হলেন সর্বাপেক্ষা বড় (দানশীল), তারপর আদম সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল। আমার পর বড় দানশীল হল সেই ব্যক্তি, যে ইলম শিক্ষা করবে এবং তা ছড়িয়ে দিবে। রোজ কিয়ামতে সে একাই একজন আমীর অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) একটি উম্মতরূপে উত্থিত হবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬০। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দুই পিপাসার্ত ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয় না। (১) ইলমের জন্য পিপাসার্ত। সে তা থেকে কখনও পরিতৃপ্ত হয় না। আর (২) দুনিয়ার জন্য পিপাসার্ত। সেও কখনও দুনিয়া লাভের ক্ষেত্রে পরিতৃপ্ত হয় না। —উপর্যুক্ত তিনটি হাদীসই বায়হাকী শুআবুল ঈমান-এ উল্লেখ করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬১। হযরত আওন (রহ) বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, দুই পিপাসার্ত ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয় না। একজন আলিম এবং অন্যজন দুনিয়াদার। তবে এই দুই ব্যক্তি একইরূপ নয়। আলিম যে, তার প্রতি তো আল্লাহর সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর দুনিয়াদার যে, সে আল্লাহর অবাধ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) দুনিয়াদারের ব্যাপারে কুরআনে পাকের একটি আয়াত পাঠ করলেনঃ إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عباده الْعلمَاء কখনও না, মানুষ তো সীমালঙ্ঘন করেই থাকে। কারণ সে নিজকে অভাবমুক্ত মনে করে। রাবী আওন (রহ) বলেন, এবং অপর ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই কেবল আল্লাহকে ভয় করে।” -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬২

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, সেই সময় খুব দূরে নয়, যখন আমার উম্মতের কিছু লোক দ্বীনের জ্ঞান লাভ এবং কুরআন শিক্ষা করবে। তারা বলবে যে, আমরা আমীর উমারাদের নিকট গিয়ে তাদের দুনিয়ার কিছু অংশ গ্রহণ করি। আবার আমাদের দীন নিয়ে তাদের নিকট হতে সরে পড়ব। কিন্তু তা কখনও সম্ভব নয়। যেমন কাটাওয়ালা কাতাদ বৃক্ষ। তা হতে যেমন কাটা ছাড়া কোন ফল আহরণ করা যায় না, তেমনই ঐ শ্রেণীর লোকদের নিকট হতেও কোন ফল লাভ করা যায় না। পরবর্তী বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনে সাব্বাহ (রহ) বলেছেন, কিন্তু শব্দটি দ্বারা মনে হয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গুনাহ্র প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। (অর্থাৎ আমীর উমারাদের সান্নিধ্য দ্বারা গুনাহ ছাড়া আর কিছু লাভ হবে না)।-ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আলিমগণ ইলমের মর্যাদা রক্ষা করলে এবং যোগ্য লোকদের হাতে তা সোপর্দ করলে নিশ্চয়ই তাঁরা তাদ্বারা নিজেদের যমানার লোকদের নেতৃত্ব দিতে পারবে; কিন্তু তারা তা দুনিয়াবী লোকদেরকে বিতরণ করেছেন। এই উদ্দেশ্যে যে, তাদের নিকট হতে কিছু পার্থিব স্বার্থ অর্জন করতে পারেন। যে কারণে তারা দুনিয়াবী লোকদের নিকট মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। আমি তোমাদের নবী করীম (ﷺ)-কে এইরূপ বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তাঁর সকল চিন্তাকে এক চিন্তায় অর্থাৎ আখেরাতের চিন্তায় পরিণত করবে তাঁর পার্থিব চিন্তার জন্য আল্লাহ্ পাকই যথেষ্ট হবেন। পক্ষান্তরে যাকে পার্থিব চিন্তাসমূহ নানাদিকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে তার প্রতি আল্লাহ্ পাক কোন লক্ষ্যই করবেন না। সে দুনিয়ার যে কোন স্থানে ধ্বংস হয়ে যাক না কেন? – ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৪। বায়হাক্বী এ হাদীসকে শু’আবুল ঈমানে ইবনু উমার (রাঃ) থেকে তার বক্তব্য হিসেবে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৫। আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ’ইলমের জন্য বিপদ হলো (’ইলম শিখে) তা ভুলে যাওয়া। অযোগ্য লোক ও অপাত্রে ’ইলমের কথা বলা বা জ্ঞান দেয়া ’ইলমকে ধ্বংস করার সমতুল্য। দারিমী মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৬। হযরত সুফিয়ান ছাওরী (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একদা কা'ব আহবারকে জিজ্ঞেস করলেন, (খাঁটি) আলিম কারা? তিনি বললেন, যারা ইলম অনুযায়ী আমল করেন, তারা। হযরত উমর (রাযিঃ) আবার জিজ্ঞেস করলেন, আলিমদের অন্তর হতে ইলমকে বের করে দেয় কোন বস্তু? তিনি বললেন, (ধন-সম্পদ ও মান-সম্মানের) লালসা। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৭। হযরত আহওয়াস ইবনে হাকীম তাঁর পিতা হতে রেওয়ায়াত করেছেন, তিনি (তাঁর পিতা) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, সর্বাপেক্ষা মন্দলোক কে? তিনি বললেন, আমাকে খারাপ (লোক) সম্পর্কে জিজ্ঞেস না করে বরং উত্তম (লোক) সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। এই কথা তিনি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, জেনে রাখ, সর্বাপেক্ষা মন্দলোক হল আলিমদের মধ্যে যারা সর্বাপেক্ষা মন্দ। আর সর্বাপেক্ষা উত্তম লোক হলো আলিমদের মধ্যে যারা সর্বোত্তম। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৮। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রোজ কিয়ামতে মর্যাদার ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা মন্দ ব্যক্তি সে-ই হবে, যে তার ইলম দ্বারা কোন উপকার লাভ করেনি। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৬৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৬৯। হযরত যিয়াদ ইবনে হুদাইর (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত উমর (রাযিঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি বলতে পার কোন বস্তু ইসলাম ধ্বংস করবে? যিয়াদ বলেন, আমি বললাম, না। তখন তিনি বললেন, আলিমদের পদস্খলন, মুনাফিকদের আল্লাহ্ কিতাব নিয়ে বাগ-বিতণ্ডায় লিপ্ত হওয়া এবং পথভ্রষ্ট রাষ্ট্রপতিদের দেশ শাসনই ইসলামকে ধ্বংস করবে। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান