মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বৃহত্তম দলের অনুসরণ করবে। কেননা যে ব্যক্তি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, সে বিচ্ছিন্নাবস্থায় দোযখে প্রবেশ করবে। ইবনে মাজাহ এটা হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে রেওয়ায়াত করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৫। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে বৎস! তুমি যদি সারাদিন এইভাবে কাটিয়ে দিতে পার যে, তোমার মনে কারো প্রতি কোনরূপ হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তবে তাই করো। তারপর তিনি বললেন, বৎস! এটা আমার সুন্নতের শামিল এবং যে আমার সুন্নতকে ভালবাসে সে আমাকেই ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে বেহেশতে আমার সাথেই থাকবে। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে, ব্যক্তি আমার উম্মতের ফাসাদ সৃষ্টির সময় আমার সুন্নতকে মজবুতভাবে ধরে থাকবে, তার জন্য একশত শহীদের ছওয়াব মিলবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৭। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন। যখন হযরত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে এসে বললেন, আমরা ইয়াহুদীদের নিকট তাদের বহু ধর্মীয় ঘটনা শুনে থাকি, যা অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়। তার কিছু লিখে রাখতে আপনার মত কি? (তার কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, তোমরাও কি (তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে) দ্বিধাগ্রস্ত, যদ্রূপ ইয়াহুদী নাছারারা দ্বিধাগ্রস্ত? আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের নিকট অত্যন্ত স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল দীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা (আ)-ও যদি জীবিত থাকতেন তা হলে তাকেও আমার ধর্মের অনুসরণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকতো না। আহমদ। বায়হাকীও তার শোয়াবুল ঈমান গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৮। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হালাল রুজি ভক্ষণ করবে এবং সুন্নতের সাথে আমল করবে, আর যার অপকার হতে মানুষ নিরাপদ থাকবে, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরূপ মানুষ বর্তমানে অনেক দেখা যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, (আল্লাহর মর্জি হলে) আমার পরবর্তী যুগসমূহেও এরূপ লোক দেখা যাবে। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা এমন যুগে রয়েছ, যে যুগে তোমাদের কেউ যদি তার প্রতি নির্দেশিত বিষয়ের এক-দশমাংশও পরিত্যাগ করে তবে সে হালাক হয়ে যাবে। তারপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ যদি তার প্রতি নির্দেশিত বিষয়ের এক-দশমাংশও আমল করে সে নাজাত পেয়ে যাবে। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮০

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮০। হযরত আবু উমামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কোন সম্প্রদায়ই হেদায়াত প্রাপ্তির পর পথভ্রষ্ট হয় নি; কিন্তু যখন তারা (ধর্মীয়) তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে (তখন ব্যতীত) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনে পাকের এ আয়াতটি পাঠ করলেনঃ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جدلا بل هم قوم خصمون “তারা বিতর্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য ব্যতীত আপনার সাথে তা উত্থাপন করে না। বস্তুতঃ তারা হল বিতর্ককারী।” –আহমদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮১। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এইরূপ বলতেন যে, নিজেদের উপর কঠোরতা চাপিও না, তাহলে আল্লাহ্ পাকও তোমাদের উপর শক্ত বিধান চাপিয়ে দিবেন। কারণ প্রাচীন একটি সম্প্রদায় নিজেদের জন্য কঠোরতা গ্রহণ করেছিল। যার ফলে আল্লাহ্ পাকও তাদের উপর শক্ত বিধান প্রয়োগ করলেন। গির্জায় এবং পাদ্রীদের উপাসনালয়ে যে লোকগুলি রয়েছে, এরা তাদেরই উত্তরসূরী (কুরআনে পাকে উল্লেখ রয়েছে) তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য বৈরাগ্য ও কৃচ্ছ্রতার সূচনা করেছিল। যা আমি তাদের উপর বিধিবদ্ধ করিনি। -আবু দাউদ
* رَهْبَانِيَّة (রুহবানিয়্যাহ্)-এর অর্থ ও হুকুমঃ ইবাদতের জন্য সন্ন্যাসব্রত বা 'বৈরাগ্যতা' পালন করাকে ‘রুহবানিয়াত' বলা হয়। যেমন ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বা মানুষের সংস্রব ত্যাগ করে বনে জঙ্গলে গমন করা, বিবাহ-শাদী না করে বৈরাগ্য অবলম্বন করা। হযরত নবী করীম (ﷺ) এ সম্পর্কে বলেছেন: ইসলামে বৈরাগ্যবাদের কোন স্থান নেই। সুতরাং ইসলাম ধর্মে বৈরাগ্যবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
* رَهْبَانِيَّة (রুহবানিয়্যাহ্)-এর অর্থ ও হুকুমঃ ইবাদতের জন্য সন্ন্যাসব্রত বা 'বৈরাগ্যতা' পালন করাকে ‘রুহবানিয়াত' বলা হয়। যেমন ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বা মানুষের সংস্রব ত্যাগ করে বনে জঙ্গলে গমন করা, বিবাহ-শাদী না করে বৈরাগ্য অবলম্বন করা। হযরত নবী করীম (ﷺ) এ সম্পর্কে বলেছেন: ইসলামে বৈরাগ্যবাদের কোন স্থান নেই। সুতরাং ইসলাম ধর্মে বৈরাগ্যবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮২। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কুরআনে পাকের নাযিলকৃত আয়াতসমূহ পাঁচ রকমের। যথাঃ (১) হালাল, (২) হারাম, (৩) মুহকাম, (৪) মুতাশাবিহ ও (৫) আমহাল তথা নছীহতমূলক ঘটনাবলী। সুতরাং তোমরা হালালকে হালাল মনে করবে। হারামকে হারাম মনে করবে। মুহকামের উপর আমল করবে। মুতাশাবিহ এর উপর ঈমান আনবে এবং আমহাল হতে উপদেশ গ্রহণ করবে।
মাছাবীহে এরূপ বিদ্যমান; কিন্তু বায়হাকী তার শুআবুল ঈমানে কিছুটা পার্থক্যের সাথে এইরূপ বর্ণনা করেছেন, তোমরা হালালের উপর আমল করবে, হারাম হতে বিরত থাকবে আর মুহকামের অনুসারী হবে।
মাছাবীহে এরূপ বিদ্যমান; কিন্তু বায়হাকী তার শুআবুল ঈমানে কিছুটা পার্থক্যের সাথে এইরূপ বর্ণনা করেছেন, তোমরা হালালের উপর আমল করবে, হারাম হতে বিরত থাকবে আর মুহকামের অনুসারী হবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, শরীয়তের বিষয় তিন প্রকার। যথাঃ (১) এরূপ বিষয়, যার হেদায়াত সম্পূর্ণ স্পষ্ট। সুতরাং তার অনুসরণ করবে। (২) এমন বিষয় যার ভ্রান্তি সম্পূর্ণ স্পষ্ট; সুতরাং তা বর্জন করবে এবং (৩) এমন বিষয় যাতে মতবিরোধ রয়েছে। তাকে আল্লাহ্ তাআলার প্রতি ন্যস্ত করবে। -আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৪। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, শয়তান মানুষের জন্য নেকড়ে বাঘসদৃশ। যেমন মেষপালের জন্য নেকড়ে বাঘ। সে মেষপালের মধ্যে যে মেষটি পাল হতে বিচ্ছিন্ন থাকে বা খাদ্যের তালাশে দূরে চলে যায় বা আলস্যবশতঃ এক কিনারায় শুয়ে থাকে, সেটিকে ধরে নিয়ে যায়; সুতরাং সাবধান! তোমরা সব সময় দলের সাথে এবং অধিকাংশের সাথে থাকবে। - আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৫। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জামাত দল হতে এক বিঘত পরিমাণও দূরে সরে গিয়েছে, সে ইসলামের রশি তার গ্রীবাদেশ হতে খুলে ফেলেছে। -আহমদ, আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান