মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৪৭
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪৭। হযরত রাফে' ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন হিজরত করে মদীনায় এলেন, তখন তথাকার লোকেরা খেজুর বৃক্ষে তাবীর (পরাগায়ন) করছিল। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এটা করছ কেন? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সর্বদাই এটা করে আসছি। তিনি বললেন, মনে হয় এরূপ না করলেই ভাল হত। অতঃপর (তাঁর কথায়) লোকজন এটা পরিত্যাগ করল; কিন্তু তাতে (সেই বৎসর) গাছের ফলন কম হল। (বর্ণনাকারী বলেন,) লোকজন এ খবর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জানালে তিনি বললেন, আমি তোমাদেরই ন্যায় একজন মানুষ। আমি যখন তোমাদেরকে দীন সম্পর্কে কোন নির্দেশ দেই তখন তা তোমরা মেনে নেবে। আর যখন (পার্থিব কোন বিষয় সম্পর্কে) আমার নিজস্ব মতানুসারে তোমাদেরকে কোন কথা বলি, তখন (জেনে রাখো) আমি তো একজন মানুষ। অর্থাৎ তাতে আমারও ভুল-ত্রুটি হতে পারে। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَن رَافع بن خديج قَالَ: قَدِمَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وهم يأبرون النَّخْلَ فَقَالَ: «مَا تَصْنَعُونَ» قَالُوا كُنَّا نَصْنَعُهُ قَالَ «لَعَلَّكُمْ لَوْ لَمْ تَفْعَلُوا كَانَ خَيْرًا» فَتَرَكُوهُ فنفضت قَالَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ دِينِكُمْ فَخُذُوا بِهِ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ رَأْي فَإِنَّمَا أَنا بشر» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪৮। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার এবং আল্লাহর তরফ হতে আমার আনিত বিষয়ের উদাহরণ যেমন এক ব্যক্তি তার সম্প্রদায়ের কাছে এসে বলল, হে আমার সম্প্রদায়। আমি আমার নিজ চোখে (তোমাদের প্রতি ধাবমান) শত্রুসৈন্য দেখে এসেছি। আর আমি হলাম তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত সতর্ককারী। বাঁচতে হলে জলদি কর, জলদি কর। এটা শুনে তার সম্প্রদায়ের কিছুসংখ্যক লোক তার কথা মেনে নিল এবং রাতের মধ্যেই (ঐস্থান হতে) তাদের স্বাভাবিক গতিতে চলে গেল। ফলে তারা রক্ষা পেল। আর অপর কিছু লোক তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে ভোর পর্যন্ত সেই স্থানেই থেকে গেল। ভোর বেলা হঠাৎ শত্রুসৈন্য তাদের উপর হামলা চালাল এবং তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিল। এটা হল তাদের উদাহরণ যারা আমার আনুগত্য করেছে এবং আমি যা এনেছি তার অনুসরণ করেছে। আর তাদের উদাহরণ, যারা আমার অবাধ্য হয়েছে এবং আমি যে সত্য সংবাদ এনেছি তাকে তারা মিথ্যা মনে করেছে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمًا فَقَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَيْشَ بِعَيْنِي وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ الْعُرْيَانُ فَالنَّجَاءَ النَّجَاءَ فَأَطَاعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ قَوْمِهِ فَأَدْلَجُوا فَانْطَلَقُوا عَلَى مَهْلِهِمْ فَنَجَوْا وَكَذَّبَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ فَأَصْبَحُوا مَكَانَهُمْ فَصَبَّحَهُمُ الْجَيْشُ فَأَهْلَكَهُمْ وَاجْتَاحَهُمْ فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ أَطَاعَنِي فَاتَّبَعَ مَا جِئْتُ بِهِ وَمثل من عَصَانِي وَكذب بِمَا جِئْتُ بِهِ مِنَ الْحَقِّ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার উদাহরণ সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে আগুন জ্বালাল। অতঃপর আগুন তার চারদিকে আলোকিত করল। তখন পতঙ্গকুল এবং আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে সকল কীট ও পোকা সেগুলো দলে দলে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল। আর সে ব্যক্তি তাদেরকে বাধা দিতে লাগল; কিন্তু তারা তাকে পরাভূত করে এতে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল। (তদ্রূপ আমিও। হে লোকগণ!) তোমাদের কোমর ধরে তোমাদেরকে আগুন হতে টেনে ধরছি, আর তোমরা তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছ। ইমাম বুখারী (রহ)-এর বর্ণনা এই। ইমাম মুসলিম (রহ)-ও কিছুটা শাব্দিক পরিবর্তনের সাথে এই পর্যন্ত একইরূপ রেওয়ায়াত করেছেন। অবশ্য তিনি শেষভাগে কিছু কথা এইরূপ যুক্ত করেছেন। যেমন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটাই আমার এবং তোমাদের উদাহরণ। আমি তোমাদের কোমর ধরে তোমাদেরকে আগুন হতে টানছি এবং বলছি, আমার দিকে আস এবং আগুন হতে দূরে থাক, আমার দিকে আস এবং আগুন হতে দূরে থাক; কিন্তু তোমরা আমাকে পরাভূত করে আগুনে পতিত হচ্ছ। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِنَّمَا مثلي وَمثل النَّاس كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حوله جَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ الَّتِي تَقَعُ فِي النَّار يقعن فِيهَا وَجعل يحجزهن ويغلبنه فيقتحمن فِيهَا فَأَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ عَنِ النَّارِ وَأَنْتُمْ يقتحمون فِيهَا» . هَذِهِ رِوَايَةُ الْبُخَارِيِّ وَلِمُسْلِمٍ نَحْوَهَا وَقَالَ فِي آخرهَا: فَذَلِكَ مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ أَنَا آخِذٌ بِحُجَزِكُمْ عَنِ النَّارِ: هَلُمَّ عَنِ النَّارِ هَلُمَّ عَنِ النَّارِ فَتَغْلِبُونِي تَقَحَّمُونَ فِيهَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫০। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক আমাকে যে হেদায়াত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন, তার উদাহরণ হল মুষলধারায় বৃষ্টি, যা কোন ভূখণ্ডে বর্ধিত হয়েছে। সেই ভূখণ্ডের একাংশ উৎকৃষ্ট (উর্বর) যা বৃষ্টির পানি গ্রহণ করেছে এবং প্রচুর উদ্ভিদ ও তৃণরাজি উৎগত করেছে। আর একাংশ কঠিন ও গভীর। তা পানি আটকে রেখেছে। যদ্দ্বারা আল্লাহ পাক মানুষের উপকার সাধন করেছেন। মানুষ তা পান করেছে, (তাদের জীবজন্তুকে) পান করিয়েছে এবং তদ্দ্বারা কৃষিকাজ ও চাষাবাদ করেছে। আর কতক বৃষ্টি ভূখণ্ডের এমন অংশে পড়েছে, যা সমতল ও অনুর্বর। তা পানি আটকেও রাখে নি অথবা উদ্ভিদ, তৃণলতাও জন্মায়নি। এটা সেই ব্যক্তির উদাহরণ, যে আল্লাহর দীন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে এবং যা নিয়ে আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন, তা তার উপকার সাধন করেছে। সে তা শিক্ষা করেছে এবং শিক্ষা দিয়েছে। আর সেই ব্যক্তির উদাহরণ, যে তার দিকে মাথা তুলেও দেখে নি এবং আল্লাহর যে হেদায়াতসহ আমাকে পাঠানো হয়েছে তা কবুলও করে নি।-বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ مِنَ الْهُدَى وَالْعلم كَمثل الْغَيْث الْكثير أصَاب أَرضًا فَكَانَ مِنْهَا نقية قَبِلَتِ الْمَاءَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلَأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَكَانَتْ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاس فَشَرِبُوا وَسقوا وزرعوا وأصابت مِنْهَا طَائِفَةً أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لَا تُمْسِكُ مَاءً وَلَا تُنْبِتُ كَلَأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَلَّمَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫১
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনে পাকের এই আয়াতটি পাঠ করলেন, هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَات محكمات "তিনিই আপনার প্রতি কুরআন নাযিল করেছেন। যার কতক আয়াত মুহকাম।" এভাবে তিনি وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ পর্যন্ত পাঠ করলেন।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন তুমি দেখবে-মুসলিমের বর্ণনায় তোমরা দেখবে সেই সকল লোককে, যারা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসরণ করছে (তখন মনে করবে) এদের কথাই আল্লাহ বলেছেন (এদেরই অন্তরে রয়েছে বক্রতা) সুতরাং তাদের (সঙ্গ) ত্যাগ করবে। -বুখারী, মুসলিম
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন তুমি দেখবে-মুসলিমের বর্ণনায় তোমরা দেখবে সেই সকল লোককে, যারা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসরণ করছে (তখন মনে করবে) এদের কথাই আল্লাহ বলেছেন (এদেরই অন্তরে রয়েছে বক্রতা) সুতরাং তাদের (সঙ্গ) ত্যাগ করবে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: تَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَات محكمات)
وَقَرَأَ إِلَى: (وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ)
قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِذَا رَأَيْتَ وَعِنْدَ مُسْلِمٍ: رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّاهُمُ الله فاحذروهم
وَقَرَأَ إِلَى: (وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ)
قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِذَا رَأَيْتَ وَعِنْدَ مُسْلِمٍ: رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّاهُمُ الله فاحذروهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫২
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন দ্বিপ্রহরের সময় আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তখন তিনি দুইজন লোকের কন্ঠস্বর শুনলেন। তারা একটি আয়াতের ব্যাপারে বাদানুবাদ করছিল। এটা শুনে তিনি আমাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। তখন তাঁর চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তিনি বললেন, তোমাদের পূর্বে যে সকল লোক ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা আল্লাহর কিতাব নিয়ে এইরূপ বাদানুবাদ করার কারণেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَن عبد الله بن عَمْرو قَالَ: هَجَّرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا قَالَ: فَسَمِعَ أَصْوَاتَ رَجُلَيْنِ اخْتَلَفَا فِي آيَةٍ فَخَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ فَقَالَ: «إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ باختلافهم فِي الْكتاب» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৩। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্বাছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মুসলমানদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধী হল সেই ব্যক্তি, যে এমন বিষয়ে (আল্লাহর নবীকে) প্রশ্ন করে, যা মানুষের জন্য পূর্বে নিষিদ্ধ ছিল না; কিন্তু তাদের প্রশ্নের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَن أعظم الْمُسلمين فِي لامسلمين جُرْمًا مَنْ سَأَلَ عَنْ شَيْءٍ لَمْ يُحَرَّمْ على النَّاس فَحرم من أجل مَسْأَلته»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হত বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, শেষ যুগে কতিপয় মিথ্যুক দাজ্জালের অভ্যুদয় ঘটবে। তারা তোমাদের নিকট বেশ কিছু এমন সব হাদীস পেশ করবে, যা কখনও তোমরা শোননি এবং তোমাদের পিতা পিতামহও শোনে নি। সাবধান! তাদের নিকট হতে দূরে থাকবে, যেন তারা তোমাদেরকে গোমরাহ ও বিপদাপন্ন করতে না পারে। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ يَأْتُونَكُمْ مِنَ الْأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لَا يُضِلُّونَكُمْ وَلَا يَفْتِنُونَكُمْ» . . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাবগণ তাওরাত কিতাব হিব্রু ভাষায় পাঠ করত এবং মুসলমানদেরকে তা আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করে শোনাত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা আহলে কিতাবদের সত্যবাদীও বলো না এবং তাদেরকে মিথ্যাবাদীও বলো না বরং তোমরা তাদেরকে বল, “আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। আর যা আমাদের উপর নাযিল হয়েছে তার উপর” আয়াতের শেষ পর্যন্ত। -বুখারী
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ أهل الْكتاب يقرؤون التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ وَ (قُولُوا آمنا بِاللَّه وَمَا أنزل إِلَيْنَا» الْآيَة. رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৬
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেহেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যাকিছু শুনে (তার সত্যতা যাচাই না করে) তাই বর্ণনা করে। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سمع» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৭
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার পূর্বে আল্লাহ পাক এমন কোন নবীকে তার উম্মতের মধ্যে প্রেরণ করেন নি; যার উম্মতের মধ্যে তার কোন বিশিষ্ট অনুসারী বা সহচর ছিলেন না। তারা তার তরীকানুযায়ী আমল করতেন এবং তার নির্দেশ পালন করতেন। তারপর এমন লোকেরা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, যারা অপর লোকদেরকে তাই বলত, যা নিজেরা আমল করত না; বরং করত তাই, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হয় নি। (সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যেও এরূপ লোক হতে পারে।) অতএব যে ব্যক্তি তার হাত দ্বারা ঐরূপ লোকদের সাথে জিহাদ করবে, সে (কামিল) মু'মিন। আর যে ব্যক্তি (অন্ততঃ ) মন দ্বারা তাদের সাথে জিহাদ করবে সেও মু'মিন। আর এর পর একটি সরিষার দানা সদৃশও ঈমান অবশিষ্ট থাকবে না। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا من نَبِي بَعثه الله فِي أمة قبلي إِلَّا كَانَ لَهُ من أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ وَأَصْحَابٌ يَأْخُذُونَ بِسُنَّتِهِ وَيَقْتَدُونَ بِأَمْرِهِ ثُمَّ إِنَّهَا تَخْلُفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ وَيَفْعَلُونَ مَا لَا يُؤْمَرُونَ فَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِيَدِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِلِسَانِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِقَلْبِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৮
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৮। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কাউকে সৎপথের দিকে ডাকে তার জন্য সেই পরিমাণ পুণ্য রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। অথচ এটা তাদের পুণ্যের কোন অংশকেই হ্রাস করবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কাউকে বিপথের দিকে ডাকে, তার জন্যও সেই পরিমাণ গুনাহ রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য নির্ধারিত। অথচ এটা তাদের গুনাহর এতটুকু অংশও হ্রাস করবে না। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئا» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৯
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৫৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ইসলাম প্রবাসীরূপে (অপরিচিত এবং সহায়-সঙ্গীহীন অবস্থায় ) শুরু হয়েছে এবং এটা ঐভাবেই প্রত্যাবর্তন করবে, যেভাবে শুরু হয়েছে; সুতরাং প্রবাসীদের জন্য রয়েছে সুখবর। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَدَأَ الْإِسْلَامُ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ كَمَا بَدَأَ فَطُوبَى للغرباء» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬০
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ইসলাম মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। যেভাবে সাপ তার গর্তের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْإِيمَانَ لَيَأْرِزُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تأرز الحية إِلَى جحرها»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬১
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬১। হযরত রাবীআ আল-জুরাশী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একবার কয়েকজন ফিরিশতা আগমন করে তাঁকে বললেন, আপনার চক্ষু নিদ্রা যেতে থাকুক, আপনার কর্ণ শ্রবণ করতে থাকুক এবং আপনার অন্তর অনুধাবন করতে থাকুক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এর পর আমার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা গেল। আমার কর্ণদ্বয় শ্রবণ করল এবং আমার অন্তর্দেশ অনুধাবন করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তখন আমাকে (একটি উদাহরণ) বলা হল, একজন মহৎ ব্যক্তি একটি ঘর নির্মাণ করলেন এবং তাতে একটি ভোজানুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। তারপর (লোকদেরকে দাওয়াত করার জন্য) জনৈক দাওয়াতকারীকে প্রেরণ করলেন। তখন যে ব্যক্তি দাওয়াতকারীর দাওয়াতে সাড়া দিল সে ঘরে ঢুকতে পারল এবং দত্তরখান থেকে খানাও খেতে পারল। আর ঘরের মালিকও তার প্রতি সন্তুষ্ট হলেন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দাওয়াতকারীর দাওয়াতে সাড়া দিল না; সে ঘরে ঢুকতে পারল না, খানা খেতেও পারল না, আর ঘরের মালিকও তার প্রতি নাখোশ হলেন। অতঃপর ফিরিশতাগণ বললেন, ঘরের মালিক হলেন আল্লাহ্ পাক। দাওয়াতকারী মুহাম্মাদ (ﷺ)। ঘরটি হল ইসলাম আর ভোজানুষ্ঠান হল বেহেশত। -দারেমী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
عَن ربيعَة الجرشِي يَقُول أُتِي النَّبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ لِتَنَمْ عَيْنُكَ وَلِتَسْمَعْ أُذُنُكَ وَلِيَعْقِلْ قَلْبُكَ قَالَ فَنَامَتْ عَيْنَايَ وَسَمِعَتْ أُذُنَايَ وَعَقَلَ قَلْبِي قَالَ فَقِيلَ لِي سيد بنى دَارا فَصنعَ مَأْدُبَةً وَأَرْسَلَ دَاعِيًا فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ دَخَلَ الدَّارَ وَأَكَلَ مِنَ الْمَأْدُبَةِ وَرَضِيَ عَنْهُ السَّيِّدُ وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّاعِيَ لَمْ يَدْخُلِ الدَّارَ وَلم يطعم مِنَ الْمَأْدُبَةِ وَسَخِطَ عَلَيْهِ السَّيِّدُ قَالَ فَاللَّهُ السَّيِّدُ وَمُحَمَّدٌ الدَّاعِي وَالدَّارُ الْإِسْلَامُ وَالْمَأْدُبَةُ الْجَنَّةُ. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬২
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬২। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের কাউকেও যেন এইরূপ দেখি না যে, সে তার গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, আর তার নিকট আমার আদেশসমূহের কোন একটি আদেশ বা আমার নিষেধসমূহের কোন একটি নিষেধ পৌঁছার পর সে বলবে, আমি এই সমস্ত জানি না। আল্লাহর কিতাবে যা পাব, তদনুসারে চলব। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, বায়হাকী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَن أبي رَافع وَغَيره رَفعه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ أَمر مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيّ فِي دَلَائِل النُّبُوَّة.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৩
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬৩। হযরত মিকদাম ইবনে মা'দীকরিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, জেনে রাখ আমাকে কুরআন দেওয়া হয়েছে এবং তার সাথে তদনুরূপ বস্তুও। জেনে রাখ এমন সময় উপস্থিত হবে, যখন কোন পানাহারতৃপ্ত ব্যক্তি তার গদিতে বসে বলবে, তোমরা শুধু কুরআনের উপর আমল করবে। কুরআন কর্তৃক বৈধ বস্তুগুলোকে বৈধ এবং কুরআন কর্তৃক অবৈধ বস্তুগুলোকে অবৈধ জানবে। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা হালাল করেছেন তা আল্লাহর কৃত হারামেরই অনুরূপ। জেনে রাখ গৃহপালিত গাধার গোশত তোমাদের জন্য হালাল নয় এবং ধারালো দাঁতবিশিষ্ট কোন হিংস্র পশুর মাংসও হালাল নয়। এইরূপে সন্ধিচুক্তিবদ্ধ বেদ্বীনদের হারান দ্রব্যও তোমাদের জন্য হালাল নয়। অবশ্য সে যদি তার তোয়াক্কা না করে তা স্বতন্ত্র। কোন কওমের নিকট কোন লোক আগমন করলে ঐ কাওমের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা তা না করলে জবরদস্তিমূলক হলেও তাদের নিকট হতে মেহমানদারীর পরিমাণ মাল আদায় করে নেয়ার অধিকার তার আছে। (অথচ কুরআনে পাকে এই সকল বিষয়ের উল্লেখ নেই।) -আবু দাউদ
দারেমীও অনুরূপ একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে মাযাহ্ও “যা আল্লাহ হারাম করেছেন তার অনুরূপ” বাক্য পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
দারেমীও অনুরূপ একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে মাযাহ্ও “যা আল্লাহ হারাম করেছেন তার অনুরূপ” বাক্য পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَن الْمِقْدَام بن معدي كرب عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنه قَالَ: «أَلا إِنِّي أُوتيت الْكتاب وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلَا يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَقُولُ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ فَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَلَالٍ فَأَحِلُّوهُ وَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ فَحَرِّمُوهُ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ الله كَمَا حَرَّمَ اللَّهُ أَلَا لَا يَحِلُّ لَكُمُ لحم الْحِمَارُ الْأَهْلِيُّ وَلَا كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبع وَلَا لُقَطَةُ مُعَاهَدٍ إِلَّا أَنْ يَسْتَغْنِيَ عَنْهَا صَاحِبُهَا وَمَنْ نَزَلَ بِقَوْمٍ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يُقْرُوهُ فَإِنْ لَمْ يَقْرُوهُ فَلَهُ أَنْ يُعْقِبَهُمْ بِمِثْلِ قِرَاهُ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ نَحْوَهُ وَكَذَا ابْنُ مَاجَهْ إِلَى قَوْلِهِ: «كَمَا حَرَّمَ الله»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৪
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬৪। হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আমাদের মাঝে) দাঁড়িয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার গদিতে হেলান দিয়ে বসে এইরূপ মনে করে যে, আল্লাহ্ পাক যা এই কুরআনে হারাম করেছেন, তা ছাড়া তিনি আর কিছু হারাম করেন নি? তোমরা জেনে রাখ, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে অনেক বিষয়ের আদেশ ও উপদেশ দিয়েছি এবং অনেক বিষয়ে নিষেধও করেছি। আমার সে বিষয়গুলো নিশ্চয় কুরআনে পাকের বিষয়ের সমান বরং তারও বেশী হবে। তোমরা জেনে রাখবে, কিতাবী যিম্মীরা যদি তাদের উপর নির্ধারিত কর নিয়মিত আদায় করে, তবে অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের বাসগৃহে প্রবেশ করা, তাদের মহিলাদেরকে প্রহার করা এবং তাদের ফল-শস্য খাওয়াকেও আল্লাহ্ পাক তোমাদের জন্য হালাল করেননি। (অথচ এ বিষয়গুলি কুরআনে নেই। আমার মাধ্যমেই আল্লাহ্ এটা অবৈধ করেছেন।) হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণিত। কিন্তু তিনি বলেছেন, এর সনদের অন্যতম আশআছ ইবনে শো'বা আল-মিসসীসী সমালোচিত ব্যক্তি।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أيحسب أحدكُم متكأ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَظُنُّ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يُحَرِّمْ شَيْئًا إِلَّا مَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ أَلَا وَإِنِّي وَاللَّهِ قَدْ أَمَرْتُ وَوَعَظْتُ وَنَهَيْتُ عَنَ أَشْيَاءَ إِنَّهَا لَمِثْلُ الْقُرْآنِ أَوْ أَكْثَرُ وَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يُحِلَّ لَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا بُيُوتَ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا بِإِذْنٍ وَلَا ضَرْبَ نِسَائِهِمْ وَلَا أَكْلَ ثِمَارِهِمْ إِذَا أَعْطَوْكُمُ الَّذِي عَلَيْهِمْ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَفِي إِسْنَادِهِ: أَشْعَثُ بْنُ شُعْبَة المصِّيصِي قد تكلم فِيهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৫
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬৫। হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নামায পড়িয়ে আমাদের দিকে ফিরলেন। অতঃপর তিনি আমাদেরকে এমন কিছু হৃদয়স্পর্শী উপদেশ দান করলেন যে, তাতে সকলের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল এবং অন্তরসমূহ বিগলিত হয়ে গেল। আমাদের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা যেন কোন বিদায়ী ব্যক্তির উপদেশের ন্যায় মনে হচ্ছে। আমাদেরকে কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করতে এবং নেতা বা আমীরকে মেনে চলার নসীহত করছি-সে হাবশী গোলাম হলেও। কারণ আমার পর তোমাদের মধ্যে যে জীবিত থাকবে সে অচিরেই নানারূপ মতানৈক্য দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নত এবং সুপথপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের রীতিনীতি দাঁতে কামড়ে ধরার ন্যায় মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! তোমরা (ধর্মীয় ব্যাপারে জীবিত থাকবে সে কুরআন ও হাদীসের বাইরে) যে কোন নতুন বস্তু বা মত গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন বস্তুই বেদআত এবং প্রত্যেক বেদআতই পথভ্রষ্টতা। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ। তবে তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ নামাযের কথা উল্লেখ করেননি।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَنْهُ: قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا قَالَ: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ كَانَ عبدا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ من يَعش مِنْكُم يرى اخْتِلَافًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَّا أَنَّهُمَا لَمْ يَذْكُرَا الصَّلَاةَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬
- ঈমানের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৬৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সরল রেখা টেনে বললেন, এটা আল্লাহ্ পাকের রাস্তা। তারপর ঐ রেখার ডানে-বামে আরও কতকগুলো রেখা টেনে বললেন, এইগুলোও রাস্তা। তবে এর প্রত্যেকটির উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে। তারা মানুষকে ঐ রাস্তাগুলোর দিকে ডাকে। অতঃপর রাসূলে পাক (ﷺ) কুরআনে পাকের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ إِن هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبعُوهُ "নিশ্চয়ই এটাই আমার সােজা সরল পথ। তােমরা এই পথেই চলবে।" —আহমদ, নাসায়ী, দারেমী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطًّا ثُمَّ قَالَ: «هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ ثُمَّ خَطَّ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَقَالَ هَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو إِلَيْهِ» ثمَّ قَرَأَ (إِن هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبعُوهُ)
الْآيَة. رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ والدارمي
الْآيَة. رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ والدارمي
তাহকীক: