মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৩৯
- ঈমানের অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১৩৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, মৃত ব্যক্তি কবরে পৌঁছার পর সে নেককার হলে ভয়-ভীতিহীন এবং অমঙ্গলজনক ভাবনামুক্ত অবস্থায় উঠে বসে। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কোন ধর্মে ছিলে? সে বলে, আমি ইসলাম ধর্মে ছিলাম। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এই ব্যক্তি কে? সে বলে, ইনি হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর তরফ হতে সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণসহ আমাদের নিকট আগমন করেছিলেন এবং আমরাও তাঁকে সত্যবাদীরূপে মেনে নিয়েছিলাম। পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি আল্লাহকে কখনও দেখেছ কি? সে বলে, পার্থিব জীবনে আল্লাহকে দেখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। অতঃপর তার জন্য দোযখের দিকে একটি ছিদ্রপথ খুলে দেওয়া হয়। সে সেই ছিদ্রপথে তাকিয়ে দেখে যে, আগুনের শিখাগুলি দাউ দাউ করছে। তখন তাকে বলা হয়, দেখ তোমাকে এ থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তারপর তার জন্য বেহেশতের দিকে একটি ছিদ্রপথ খুলে দেওয়া হয়। সে তখন সেই ছিদ্রপথে তাকিয়ে বেহেশতের সৌন্দর্য এবং তার অনুপম নিয়ামতসমূহ দেখে। তারপর তাকে বলা হয়, এটাই তোমার ঠিকানা। কেননা তুমি দুনিয়ায় মু'মিন বান্দা ছিলে এবং সে অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছ। আল্লাহর মর্জিতে এই অবস্থায়ই তুমি রোজ কিয়ামতে উত্থিত হবে। পক্ষান্তরে বদকার ব্যক্তি তার কবরের মধ্যে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় উঠে বসে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কোন ধর্মে ছিলে? সে জবাবে বলে, আমি জানি না। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এই ব্যক্তি কে? সে বলে, তার সম্পর্কে মানুষকে কিছু একটা বলতে শুনেছি, আমিও তাই বলেছি। তারপর তার জন্য বেহেশতের দিকে সরু পথ খুলে দেওয়া হয়। সে সেই পথ দিয়ে বেহেশতের সৌন্দর্য এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে তা দেখতে পায়। তখন তাকে বলা হয়, দেখ তোমা হতে আল্লাহ পাক কি সকল নিয়ামতরাজি দূরে রেখেছেন। তারপর তার জন্য দোযখের দিকে একটি পথ খুলে দেওয়া হয়। সেই পথে তাকিয়ে সে আগুনের লেলিহান শিখাসমূহ দেখতে পায়। তখন তাকে বলা হয়, এটাই তোমার ঠিকানা। তুমি সন্দেহ পোষণ করছিলে এবং তদবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছ। আল্লাহ্ মর্জিতে এই অবস্থায়ই রোজ কিয়ামতেও তুমি উত্থিত হবে। -ইবনে মাজাহ
كتاب الإيمان
باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثالث
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْمَيِّتَ يَصِيرُ إِلَى الْقَبْرِ فَيَجْلِسُ الرَّجُلُ الصَّالح فِي قَبره غير فزع وَلَا مشعوف ثمَّ يُقَال لَهُ فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ كُنْتُ فِي الْإِسْلَامِ فَيُقَالُ لَهُ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَصَدَّقْنَاهُ فَيُقَالُ لَهُ هَلْ رَأَيْتَ اللَّهَ فَيَقُولُ مَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَرَى اللَّهَ فَيُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةً قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يُحَطِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَا وَقَاكَ اللَّهُ ثمَّ يفرج لَهُ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَال لَهُ هَذَا مَقْعَدك وَيُقَال لَهُ عَلَى الْيَقِينِ كُنْتَ وَعَلَيْهِ مِتَّ وَعَلَيْهِ تُبْعَثُ إِن شَاءَ الله وَيجْلس الرجل السوء فِي قَبره فَزعًا مشعوفا فَيُقَال لَهُ فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي فَيُقَالُ لَهُ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ قولا فقلته فيفرج لَهُ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَا صَرَفَ اللَّهُ عَنْك ثمَّ يفرج لَهُ فُرْجَةً قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يُحَطِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ هَذَا مَقْعَدُكَ عَلَى الشَّك كنت وَعَلِيهِ مت وَعَلِيهِ تبْعَث إِن شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪০
- ঈমানের অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪০। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে কোন নতুন বস্তুর প্রচলন করে যা তাতে নেই, তার সেই বস্তু প্রত্যাখ্যানযোগ্য। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رد»
হাদীস নং: ১৪১
- ঈমানের অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪১। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, অতঃপর নিশ্চয় সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী হল, আল্লাহর বাণী এবং সর্বোত্তম পথ হল মুহাম্মাদের পথ। সর্ব নিকৃষ্ট বস্তু হল দ্বীনে নতুন বস্তুর প্রচলন এবং (এইরূপ নতুন কিছু প্রচলন করাই বেদআত) আর প্রত্যেক বিদআতই হলো গোমরাহী। -মুসলিম
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
হাদীস নং: ১৪২
- ঈমানের অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত। যথাঃ (১) যে ব্যক্তি মক্কার হরমে নিষিদ্ধ কাজ করে। (২) যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে জাহিলী যুগের রীতি-নীতির অনুসরণ করে এবং (৩) যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে শুধু হত্যার লক্ষ্যেই (বিচারকের কাছে) কোন মুসলমানের রক্ত কামনা করে। -বুখারী
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَبْغَضُ النَّاسِ إِلَى الله ثَلَاثَة ملحد فِي الْحرم وميتغ فِي الْإِسْلَام سنة الْجَاهِلِيَّة ومطلب دم امرىء بِغَيْر حق ليهريق دَمه» رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪৩
- ঈমানের অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার সমগ্র উম্মতই বেহেশতী হবে। কেবল সেই ব্যক্তি ছাড়া, যে বেহেশতী হতে অসম্মত। আরজ করা হল ইয়া রাসূলাল্লাহ! বেহেশতী হতে কে অসম্মত? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করেছে, সে বেহেশতী হবে। আর যে আমার অবাধ্য হয়েছে, সে বেহেশতী হতে অসম্মত। -বুখারী
كتاب الإيمان
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى. قِيلَ: وَمَنْ أَبَى؟ قَالَ: مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فقد أَبى رَوَاهُ البُخَارِيّ