মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৬। হযরত মালেক ইবনে আনাস (রাযিঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের মধ্যে দু'টি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যে পর্যন্ত তোমরা সেই বন্ধু দু'টি মজবুতভাবে ধরে থাকবে পথ হারাবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নত। -মুয়াত্তা

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৭। হযরত গুযাইফ ইবনে হারেছ সুমালী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখনই কোন সম্প্রদায় একটি বেদআতের প্রচলন করেছে, তখনই একটি সুন্নত লোপ পেয়েছে; সুতরাং একটি সুন্নত মজবুতভাবে ধরে রাখা একটি বেদআতের প্রচলন করা হতে উত্তম। -আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৮। হযরত হাসসান ইবনে ছাবেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখনই কোন সম্প্রদায় তাদের দ্বীনের মধ্যে কোন বেদআত সৃষ্টি করেছে তখনই আল্লাহ্ পাক তাদের মধ্য হতে ঐ পরিমাণ সুন্নত তুলে নিয়েছেন। এরপর রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তা আর তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে না। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৯। হযরত ইবরাহীম ইবনে মাইসারা (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন বেদআতকারীকে সম্মান দেখায়, সে নিশ্চিতরূপে ইসলাম ধ্বংসের ব্যাপারে সাহায্য করে। বাইহাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯০

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করেছে, তারপর তাতে নিহিত বিষয়সমূহের অনুসরণ করেছে আল্লাহ্ তাকে দুনিয়ায় গোমরাহী থেকে হেদায়াত করবেন এবং পরকালে তাকে হিসাব নিকাশের খারাবী হতে রক্ষা করবেন। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআনে পাকের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়ায় গোমরাহ হবে না এবং পরকালেও বদনছীব হবে না। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। ভালো যে আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়ায় গোমরাহ হবে না এবং পরকালেও বদনছীব হবে না।" -রাযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯১

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক একটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করেছেন। যেমন একটি সরল সঠিক রাস্তা। তার দুইপার্শ্বে দু'টি প্রাচীর, যাতে বহু দরজা রয়েছে এবং সেই দরজাসমূহে পর্দা লটকানো। আর রাস্তার মাথায় জনৈক আহ্বানকারী, যে মানুষকে এভাবে ডাকছে যে, তোমরা এ রাস্তাটির উপর মজবুতভাবে থাকো। এদিকে সেদিকে যেও না। আর সে রাস্তার উপর রয়েছে অপর এক আহ্বানকারী। যখনই কোন লোক ঐ সকল দরজার কোন একটি দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে ইচ্ছা করছে অমনি সে তাকে ডেকে বলছে, সাবধান! ওটা খুলো না।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ব্যাখ্যায় বললেন যে, সেই সরল সঠিক রাস্তা হল ইসলাম। আর উক্ত খোলা দরজাসমূহ হল আল্লাহ' কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ। আর লটকানো পর্দা হল আল্লাহর নির্দেশিত সীমানা। রাস্তার মাথার আহ্বানকারী হল কুরআনে পাক। আর তার উপরের আহ্বানকারী হল প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে বিদ্যমান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়োজিত এক উপদেশদাতা। -রাযীন
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ব্যাখ্যায় বললেন যে, সেই সরল সঠিক রাস্তা হল ইসলাম। আর উক্ত খোলা দরজাসমূহ হল আল্লাহ' কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ। আর লটকানো পর্দা হল আল্লাহর নির্দেশিত সীমানা। রাস্তার মাথার আহ্বানকারী হল কুরআনে পাক। আর তার উপরের আহ্বানকারী হল প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে বিদ্যমান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়োজিত এক উপদেশদাতা। -রাযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯২

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯২। ইমাম বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে এ হাদীসটিকে নাও্ওয়াস ইবনু সাম্’আন (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযীও একই সাহাবী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন, তবে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্তাকারে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কারো তরীকা অনুসরণ করতে চায়, সে যেন দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণকারী লোকদের তরীকা অনুসরণ করে। কেননা জীবিত লোকেরা ফেতনা হতে নিরাপদ নয়। (যে মৃত ব্যক্তিদের কথা বললাম) তারা হলেন হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ, যারা এই উম্মতের সর্বোত্তম লোক ছিলেন নেক হৃদয়, গভীর জ্ঞান অকৃত্রিম স্বভাব হওয়ার দিক থেকে। আল্লাহ্ পাক তাদেরকে স্বীয় নবীর সাহচর্য ও দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মনোনীত করেছিলেন; সুতরাং তোমরা তাদের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উপলব্ধি কর। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ কর এবং তাদের স্বভাব-চরিত্র যথাসাধ্য অবলম্বন কর। কেননা তারা (সম্পূর্ণরূপে) সরল সঠিক পথে ছিলেন। -রাযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৪। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তাওরাত কিতাবের একটি নোসখা নিয়ে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা তাওরাত কিতাবের একটি কপি। রাসূলে পাক (ﷺ) নীরব রইলেন। হযরত উমর (রাযিঃ) তা পাঠ করতে শুরু করলেন। (সাথে সাথে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা পরিবর্তন হতে লাগল। তা লক্ষ্য করে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ওমর তোমার সর্বনাশ হয়েছে, তুমি কি দেখছ না! রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মুবারক কি রূপ ধারণ করেছে? তখন ওমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর নাখুশী এবং তাঁর রাসূলের নাখুশী হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমরা আল্লাহ্ পাককে প্রভু, ইসলামকে দীন এবং হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবীরূপে লাভ করে সন্তুষ্ট হয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন! এই সময় যদি তোমাদের নিকট হযরত মুসা (আ)-ও আত্মপ্রকাশ করতেন আর তোমরা আমাকে রেখে তার অনুসরণ করতে তা হলে নিশ্চিতরূপে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়তে। এমনকি মুসা (আ) যদি এখন জীবিত থাকতেন আর আমার নবুয়াতের যামানা পেতেন তবে তিনিও নিশ্চিতরূপে আমার অনুসরণ করতেন। -দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৫। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার কালাম আল্লাহর কালামকে রহিত করে না; বরং আল্লাহর কালাম আমার কালামকে রহিত করে। তাছাড়া আল্লাহর এক কালাম তাঁর অপর কালামকে রহিত করে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমাদের হাদীসসমূহ একটি অপরটিকে রহিত করে দেয়। ষেভাবে কুরআনে পাকের এক কালাম অপর একটি কালামকে রহিত করে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৭। হযরত আবু ছা'লাবা খুশানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক কতক বস্তুকে ফরজরূপে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। সেগুলোকে তোমরা বিনষ্ট তথা পরিত্যাগ করবে না। এমনিভাবে কিছু বিষয়কে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, সেগুলোর আমল করবে না, আর কতকগুলো সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেইগুলি লঙ্ঘন করবে না। আর যে সকল ব্যাপারে তিনি ভুলবশতঃ নয়; বরং ইচ্ছাকৃতভাবেই চুপ রয়েছেন, সেই বিষয়গুলোকে খুঁজতে যাবে না। —উপরোক্ত হাদীসত্রয় দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান