আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৬৮
৫৫৩- খাটে উপবেশন।
১১৬৮. উরিয়ান ইব্‌ন হায়সাম বলেন, একবার আমার পিতা একটি প্রতিনিধিদলসহ হযরত মু'আবিয়া (রাযিঃ)-এর দরবারে গেলেন। আমি তখন বালক মাত্র। যখন তিনি তাঁহার দরবারে প্রবেশ করিলেন তখন তিনি মারহাবা! মারহাবা! বলিয়া তাঁহাকে স্বাগতম জানাইলেন। তখন অপর একব্যাক্তিও তাঁহার সাথে আসীন ছিলেন। তিনি বলিয়া উঠিলেনঃ কাহাকে স্বাগত জামাইতেছেন হে আমীরুল মু'মিনীন? জবাবে তিনি বলিলেন, ইনি হইতেছেন পূর্বদেশীয়দের সর্দার হায়সাম ইব্‌ন আস্‌ওয়াদ! আমি তখন প্রশ্ন করিলামঃ আর উনি? উপস্থিত সকলে বলিয়া উঠিলেনঃ উনি হইতেছেন আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন আম্‌র ইব্‌নুল আ'স (রাযিঃ)। আমি তখন তাহাকে প্রশ্ন করিলামঃ হে অমুকের পিতা! দাজ্জাল কোথা হইতে বাহির হইবে? তিনি বলিলেনঃ তুমি যে দেস্বে লোক সেখানের লোক ছাড়া নিকটের কথা ছাড়িয়া সুদূরের ব্যাপারসমূহ সম্পর্কে এরূপ প্রশ্ন করিতে আর কোথাকার লোককেও আমি দেখি নাই!
অতঃপর তিনি বলিলেনঃ বৃক্ষ ঘেঁরা ইরাকের খেজুর বীথিকা হইতে তাহার উদ্ভব হইবে।
بَابُ الْجُلُوسِ عَلَى السَّرِيرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُضَارِبٍ، عَنِ الْعُرْيَانِ بْنِ الْهَيْثَمِ قَالَ‏:‏ وَفَدَ أَبِي إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَأَنَا غُلاَمٌ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ‏:‏ مَرْحَبًا مَرْحَبًا، وَرَجُلٌ قَاعِدٌ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، قَالَ‏:‏ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَنْ هَذَا الَّذِي تُرَحِّبُ بِهِ‏؟‏ قَالَ‏:‏ هَذَا سَيِّدُ أَهْلِ الْمَشْرِقِ، وَهَذَا الْهَيْثَمُ بْنُ الأَسْوَدِ، قُلْتُ‏:‏ مَنْ هَذَا‏؟‏ قَالُوا‏:‏ هَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قُلْتُ لَهُ‏:‏ يَا أَبَا فُلاَنٍ، مِنْ أَيْنَ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ مَا رَأَيْتُ أَهْلَ بَلَدٍ أَسْأَلَ عَنْ بَعِيدٍ، وَلاَ أَتْرَكَ لِلْقَرِيبِ مِنْ أَهْلِ بَلَدٍ أَنْتَ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ‏:‏ يَخْرُجُ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ، ذَاتِ شَجَرٍ وَنَخْلٍ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৬৯
৫৫৩- খাটে উপবেশন।
১১৬৯. আবুল আলিয়া বলেন, আমি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাথে চৌকিতে বসিয়াছি।
আবু জামরাহ্‌ বলেন, আমি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাথে প্রায়ই বসিতাম। তিনি আমাকে তাঁহার চৌকিতে বসাইতেন। তিনি আমাকে বলেন, তুমি আমার সাথে থাকিয়া যাও, যাবত না আমার সম্পত্তির একাংশ আমি তোমাকে দিয়া দেই। অতঃপর আমি তাঁহার সাথে দুইমাস অবস্থান করি।
حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ قَالَ‏:‏ جَلَسْتُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى سَرِيرٍ‏.‏ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: كُنْتُ أَقْعُدُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَكَانَ يُقْعِدُنِي عَلَى سَرِيرِهِ، فَقَالَ لِي: أَقِمْ عِنْدِي حَتَّى أَجْعَلَ لَكَ سَهْمًا مِنْ مَالِي، فَأَقَمْتُ عِنْدَهُ شَهْرَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭০
৫৫৩- খাটে উপবেশন।
১১৭০. খালিদ ইব্‌ন দীনার আবু খালদাহ্‌ বলেন, হযরত আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) বসবার শাসনকর্তা হাকামের সাথে চৌকিতে উপবিষ্ট অবস্থায় বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) গরমের মৌসুমে রৌদ্রের তেজ কমিলে (মানে, একটু দেরী করিয়া) নামায পড়িতেন। পক্ষান্তরে, শীত মৌসুমে তিনি নামায একটু তাড়াতাড়ি (আউয়াল ওয়াক্তে) পড়িতেন।
حَدَّثَنَا عُبَيْدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ أَبُو خَلْدَةَ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، وَهُوَ مَعَ الْحَكَمِ أَمِيرٌ بِالْبَصْرَةِ عَلَى السَّرِيرِ، يَقُولُ‏:‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ الْحَرُّ أَبْرَدَ بِالصَّلاَةِ، وَإِذَا كَانَ الْبَرْدُ بَكَّرَ بِالصَّلاةِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৭১
৫৫৩- খাটে উপবেশন।
১১৭১.হযরত আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, একদা আমি নবী ক্রিম (ﷺ)- এর খেদমতে হাজির হইলাম, তিনি তখন খেজুরের চটে নির্মিত একটি চৌকির উপর শায়িত। তাঁহার মাথার নীচে চট নির্মিত একটি বালিশ যাহার ভিতরে খেজুরের ছাল পরিপূর্ণ। চৌকি এবং তাঁহার চটের মাঝখানে কোন কাপড় ছিল না। এমন সময় হযরত উমর (রাযিঃ) সেখানে আসিয়া প্রবেশ করিলেন। তিনি তো রীতিমত কাঁদিয়া ফেলিলেন। তখন নবী ক্রিম (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমাকেকিসে কাদাইতাছে হে উমর? বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! কসম আল্লাহর আমি যদি আল্লাহর নিকট রোম সম্রাট ও পারস্য সম্রাটের চাইতেও আপনার অধিক মর্যাদা সম্পন্ন হইয়ার কথা না জানিতাম, তবে হয়ত কাঁদিতাম না। তাহারা দুনিয়ার সকল রকম আরাম-আয়েশ লুটিতেছে, আর আপনাকে এখন কই অবস্থায় দেখিতেছি? তখন নবী করীম (ﷺ) ফরমাইলেনঃ হে উমর! তুমি কি ইহাতে খুশি নও যে, তাহারা দুনিয়ার মজাই কেবল লুটিবে আর আমাদের জন্য রহিয়াছে আখিরাতের নিয়ামতরাজি। আমি বলিলামঃ জ্বী, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! ফরমাইলেনঃ ব্যাপার স্যাপার এই রকমই।
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا مُبَارَكٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ‏:‏ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى سَرِيرٍ مَرْمُولٍ بِشَرِيطٍ، تَحْتَ رَأْسِهِ وِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ، مَا بَيْنَ جِلْدِهِ وَبَيْنَ السَّرِيرِ ثَوْبٌ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ فَبَكَى، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَا يُبْكِيكَ يَا عُمَرُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أَمَا وَاللَّهِ مَا أَبْكِي يَا رَسُولَ اللهِ، أَلاَّ أَكُونَ أَعْلَمُ أَنَّكَ أَكْرَمُ عَلَى اللهِ مِنْ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، فَهُمَا يَعِيثَانِ فِيمَا يَعِيثَانِ فِيهِ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ بِالْمَكَانِ الَّذِي أَرَى، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ أَمَا تَرْضَى يَا عُمَرُ أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ‏؟‏ قُلْتُ‏:‏ بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ‏:‏ فَإِنَّهُ كَذَلِكَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান