আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৯৯
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৩৯৯। হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ একে অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করিও না। একে অপরের পিছনে লাগিও না এবং আল্লাহ্র বান্দা ও পরস্পর ভাই ভাই হইয়া যাও। আর কোন মুসলমানের জন্য তাহার অপর মুসলমান ভাইয়ের সহিত তিন রাত্রির অধিক সম্পর্কচ্ছেদ করিয়া থাকা জায়িয নহে ।
بَابُ هِجْرَةِ الْمُسْلِمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا، وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০০
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৪০০। আতা ইব্ন ইয়াযীদ আল লায়হী আল-জুনদাঈ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কাহারও জন্য তাহার (মুসলমান) ভাইয়ের সহিত তিন রাত্রির অধিককাল সম্পর্কচ্ছেদ করিয়া থাকা বৈধ নহে, রাস্তায় দুইজনের সাক্ষাৎ হয়, এ-ও মুখ ফিরাইয়া লই ও সেও মুখ ফিলাইয়া লয়। (কেহ কাহারও সহিত কথা বলে না। এমতাবস্থায় তাহাদের দুইজনের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে প্রথম সালাম দেয়)।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ ثُمَّ الْجُنْدَعِيِّ، أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ صَاحِبَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيَصُدُّ هَذَا وَيَصُدُّ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلامِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০১
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৪০১। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করিবে না, বিবাদ করিবে না, আল্লাহ্ বান্দা ভাই ভাই হইয়া থাকিবে।
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَنَافَسُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৪০২। হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ সেই দুইজনের ভালবাসা আল্লাহ্র জন্য বা ইসলামের জন্য নহে, যাহা তাহাদের কোন একজনের প্রথম ত্রুটিতেই ভাঙ্গিয়া যায়।১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَا تَوَادَّ اثْنَانِ فِي اللهِ جَلَّ وَعَزَّ أَوْ فِي الإِسْلاَمِ، فَيُفَرِّقُ بَيْنَهُمَا إِلاَّ بِذَنْبٍ يُحْدِثُهُ أَحَدُهُمَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৪০৩। হযরত আনাস ইব্ন মালিকের চাচাতো ভাই হিশাম ইব্ন আমির আল-আনসারী যাহার পিতা ওহুদের যুদ্ধের দিন শহীদ হন— বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি—কোন মুসলমানের জন্য অপর কোন মুসলমানের সহিত তিন দিনের অধিককাল সম্পর্কচ্ছেদ করিয়া থাকা জায়িয নহে। যদি তাহারা এরূপ সম্পর্কচ্যূতভাবে থাকে তবে যতক্ষণ তাহারা এভাবে সম্পর্কচ্যূত থাকিবে ততক্ষণ পর্যন্ত উহারা দুইজনেই সত্য বিমুখ বলিয়া গণ্য হইবে। তাহাদের মধ্যে যে প্রথম বলার উদ্যোগ গ্রহণ করিবে তাহার এই উদ্যোগ তাহার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহের কাফ্ফারা স্বরূপ হইবে। আর যদি তাহারা দুইজনই এইরূপ সম্পর্কচ্যূতভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তাহারা দুইজনের কেহই কখনও বেহেশতে যাইতে পারিবে না। যদি তাহাদের একজন অপরজনকে সালাম করে আর দ্বিতীয়জন উহা গ্রহণ করিতে রাযী না হয় তবে তাহার সালামের জবাব একজন ফিরিশতা দিয়া থাকেন, আর দ্বিতীয়জনকে জবাব দেয় শয়তান।
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ قَالَ: قَالَتْ مُعَاذَةَ: سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ عَامِرٍ الأَنْصَارِيَّ، ابْنَ عَمِّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَ قُتِلَ أَبُوهُ يَوْمَ أُحُدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُصَارِمَ مُسْلِمًا فَوْقَ ثَلاَثٍ، فَإِنَّهُمَا نَاكِبَانِ عَنِ الْحَقِّ مَا دَامَا عَلَى صِرَامِهِمَا، وَإِنَّ أَوَّلَهُمَا فَيْئًا يَكُونُ كَفَّارَةً عَنْهُ سَبْقُهُ بِالْفَيْءِ، وَإِنْ مَاتَا عَلَى صِرَامِهِمَا لَمْ يَدْخُلاَ الْجَنَّةَ جَمِيعًا أَبَدًا، وَإِنْ سَلَّمَ عَلَيْهِ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ تَسْلِيمَهُ وَسَلاَمَهُ، رَدَّ عَلَيْهِ الْمَلَكُ، وَرَدَّ عَلَى الْآخَرِ الشَّيْطَانُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৪
১৮৯- মুসলমানের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ
৪০৪। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা আমাকে বলিলেনঃ আমি তোমার সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি টের পাইয়া থাকি। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, কেমন করিয়া আপনি তাহা টের পান ? বলিলেনঃ যখন তুমি প্রসন্ন থাক তখন বলিয়া থাক, হ্যাঁ, দোহাই মুহাম্মাদের প্রভুর। আর যখন অপ্রসন্ন হও তখন বল, না, দোহাই ইবরাহীমের প্রভুর। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঠিকই ধরিয়াছেন। আমি তখন আপনার নামটাই কেবল পরিহার করিয়া থাকি।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: إِنِّي لَأَعْرِفُ غَضَبَكِ وَرِضَاكِ، قَالَتْ: قُلْتُ: وَكَيْفَ تَعْرِفُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: إِنَّكِ إِذَا كُنْتِ رَاضِيَةً قُلْتِ: بَلَى، وَرَبِّ مُحَمَّدٍ، وَإِذَا كُنْتِ سَاخِطَةً قُلْتِ: لاَ، وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ، قَالَتْ: قُلْتُ: أَجَلْ، لَسْتُ أُهَاجِرُ إِلا اسْمَكَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান